ইসলামি স্বর্ণযুগ

ইসলামি স্বর্ণযুগ ৬২২ সালে মদিনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি শক্তির উত্থানের সময় থেকে শুরু হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর শেষ ধরা হয়। ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ্রানাডা আমিরাতের পতনকেও এর সমাপ্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের (৭৮৬-৮০৯) সময় বাগদাদে বাইতুল হিকমাহর প্রতিষ্ঠার ফলে জ্ঞানচর্চার প্রভূত সুযোগ সৃষ্টি হয়।[1][2] ফাতেমীয় যুগে (৯০৯-১১৭১) মিশর সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি, ফিলিস্তিন, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূল, তিহামা, হেজাজ ও ইয়েমেন এর অন্তর্গত ছিল। এই যুগে মুসলিম বিশ্বের রাজধানী শহর বাগদাদ, কায়রো ও কর্ডো‌বা বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। [3][4] আরবরা তাদের অধিকৃত অঞ্চলের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিল। হারিয়ে যেতে থাকা অনেক ধ্রুপদি রচনা আরবি ও ফারসিতে অনূদিত হয়। আরো পরে এগুলো তুর্কি, হিব্রু ও ল্যাটিনে অনূদিত হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, পারসিয়ান, ভারতীয়, চৈনিক, মিশরীয় ও ফিনিশিয় সভ্যতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তারা গ্রহণ, পর্যালোচনা ও অগ্রগতিতে অবদান রাখে।[5][6][7]

জ্ঞান অন্বেষীরা আব্বাসিয় পাঠাগারের আল- হারিরি মাকামাতে,বাগদাদ,১২৩৭ সালে

ইতিহাস
খিলাফতের সম্প্রসারণ, ৬২২-৭৫০।
  মুহাম্মদ (সা) এর অধীনে সম্প্রসারণ, ৬২২-৬৩২
  রাশিদুন খিলাফতের অধীনে সম্প্রসারণ, ৬৩২-৬৬১
  উমাইয়া খিলাফতের অধীনে সম্প্রসারণ, ৬৬১-৭৫০

স্বর্ণযুগের উত্থান ও কারন

ধর্মীয় প্রভাব

কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা আর জ্ঞান অর্জনের যথাযথ গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে এবং জ্ঞান অর্জনের উপর জোর দেয়া হয়েছে।তৎকালিন মুসলমানদের জ্ঞানঅর্জন,বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও শিক্ষালাভে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধ যথাযথ ভূমিকা পালন করেছিল।[8][9][10]

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা

তৎকালিন ইসলামি সাম্রাজ্য জ্ঞানী-পন্ডিতদের যথাযথ পৃষ্ঠপোষক ছিল।সকল খরচ রাষ্ট্র বহন করতো।সে সময়ের ট্রান্সেলেশন মুভমেণ্ট বা তরজমা সংস্থার তরজমা করার কাজে যে অর্থ ব্যয় হতো তার পরিমাণ আনুমানিক যুক্তরাজ্যের মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের দুই বছরের বার্ষরিক রিসার্চ বাজেটের সমান।[11] হুনাইন ইবনে ইসহাক-এর মতো বড় বড় জ্ঞানীবর্গ ও তর্জমাকারকদের বেতনের পরিমাণ ছিল আজকালকার পেশাগত এথলেটিক্সদের বেতনের মতো।আব্বাসীয় যুগে আল মনসুর ইরাকের বাগদাদ শহরে 'দ্য হাউস অফ উইজডম' নামে একটি বৃহৎ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত করেন। [12]

পূর্ব সংস্কৃতির প্রভাব

মুসলিমরা জ্ঞানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা গ্রিক, পারস্য, ভারতীয়, চীনা, মিশরের সভ্যতার প্রাচীন জ্ঞানের বইগুলো আরবী ও পরে তুর্কিতে অনুবাদ করেন। [2]

হুনাইন ইবনে-ইসহাক আল-ইবাদি ,আইসাগোর পান্ডুলিপি থেকে ।

উমাইয়া ও আব্বাসিয়া খলিফাদের পৃষ্ঠপোষকোতায় গ্রিক দার্শনিকদের কাজগুলো এবং বিজ্ঞানের প্রাচীন জ্ঞানগুলোকে সিরিয়ো ভাষা অনুবাদ করান যা পরে আরবিতে অনুদিত হয়।[13][14] তারা জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন দর্শন, বিজ্ঞান (যেমন হুনাইন ইবনে ইসহাক,[15][16] তাবিত ইবনে কুর্রা,[17] ইউসুফ আল খুরী,[18] আল হিসিমি,[19] কুসতা ইবনে লুকা,[20] মাসাওয়াইয়া,[21][22] সাইদ ইবনে বাতরিক,[23] এবং জাবরিল ইবনে বিখতিছু[24]) এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহ দেখান। একটা লম্বা সময় ধরে আব্বাসিয় খলিফাদের চিকিৎসকরা ছিলেন আসারিয়ান খ্রিস্টান।[25][26] এদের মধ্যে বেশিভাগ খ্যাতনামা খ্রিস্টান চিকিৎসক ছিলেন বুখতিশু বংশের।[27][28]

চতুর্থ থেকে ৭ম শতাব্দী জুড়ে গ্রীক এবং সিরিয়াক ভাষায় খ্রিস্টান পণ্ডিতের কাজটি নতুনভাবে অনুবাদ হয়েছিল বা হেলেনীয় কাল থেকেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তখন জ্ঞান চর্চাও এবং প্রেরণের শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রগুলির মধ্যে খ্রিস্টান স্কুল্গুলো ছিল যেমন নিসিবিসের স্কুল[29] , এডেসার স্কুল[30], পৌত্তলিক হারান বিশ্ববিদ্যালয়[31][32] এবং খ্যাতিমান হাসপাতাল এবং মেডিকেল জুন্ডিশাপুর একাডেমি, যা প্রাচ্যের চার্চের বৌদ্ধিক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র ছিল।[33][34][35]

নব্য প্রযুক্তি
আব্বাসিয় আমলে কাগজে লিখিত পান্ডুলিপি।

স্বর্ণ যুগে কাগজের নতুনভাবে ব্যবহার বই রচনা ও জ্ঞান চর্চাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।[36][37][38] অষ্টম শতাব্দীতে চীন থেকে মুসলিম অঞ্চলে কাগজের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছিল, দশম শতাব্দীতে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আল-আন্দালুস (আধুনিক স্পেন এবং পর্তুগাল) পৌঁছেছিল।

উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ শো

শিক্ষাক্ষেত্র

ইসলামিক ঐতিহ্য ও আচারানুষ্ঠান ছিল ধর্মশাস্ত্র ও ধর্মীয়গ্রন্থ কেন্দ্রিক। কোরআন,হাদিস এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপক প্রসারতার কারনে মূলত তখন শিক্ষা ছিল ধর্মের প্রধান বুনিয়াদ এবং তা ইসলামের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।[39] ইসলাম ধর্মে শিক্ষালাভ ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব বিভিন্ন হাদিসসমূহে উল্লেখ রয়েছে।এগুলো মধ্যে একটি হলো, "জ্ঞানার্জনের জন্যে সুদূর চীন দেশ হলেও যাও"। এইরকম হাদিসসমূহের বিভিন্ন বিধিধারা বিশেষভাবে মুসলিম পন্ডিতগণ এবং বিশ্বব্যাপি মুসলিমদের মাঝে প্রয়োগ ও প্রসার করতে দেখা গিয়েছিল।উল্লেখ্যসরূপ, শিক্ষা নিয়ে আল-জারনুযি-এর একটি উক্তি ছিল,বিদ্যার্জন করা আমাদের প্রত্যেকের জন্য যথাবিহিত ও বাধ্যতামূলক। প্রাক-আধুনিক কালের ইসলামি সাম্রজ্যের শিক্ষার হার নির্ণয় করা অসম্ভব হলেও এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে তারা শিক্ষাক্ষেত্রে ও জ্ঞানার্জনে তুলনামূলকভাবে অনেক উচ্চস্তরে ছিল।বিশেষ করে তাদের সাথে তৎকালিন ইউরোপিয় পন্ডিতদের তুলনা করলে ইসলামিক পন্ডিতদের জ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যায়।

৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত কায়রোতে অবস্থিত তৎকালিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আজহার মসজিদ

সবাই ছোটবয়স থেকে শিক্ষার্জন করা শুরু করতো আরবি এবং কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি; হয়ত বাড়িতে না হয় কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যেটা কোন মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকত।তারপর অনেক শিক্ষার্থী তাফসীর(ইসলামিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন) এবং ফিকহ(ইসলামিক মাসায়ালা) বিষয়ে অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতো।এসব শিক্ষাকেও যথাযথ গুরুত্বের সহিত দেখা হতো।শিক্ষাব্যাবস্থা ছিল মুখস্থকরা কেন্দ্রিক। কিন্তু এছাড়াও অগ্রগতিশীল মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাঠ্যগ্রন্থসমূহের প্রণেতা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে পাঠক ও লেখক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। এই প্রক্রিয়া সকল উচ্চাকাঙ্খী শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার জড়িত রাখত।ফলঃশ্রুতিতে উলামাদের তালিকায় তাদের সবধরনের সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। [40] ১১শ শতাব্দীর আগে এই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিকরুপ লাভ করেনি। ১২শ শতাব্দীর দিকে শাসকদের দ্বারা মাদ্রাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। যেখানে ইসলাম সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষার আলো ছড়ানো হতো।[39] যখন মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুধু পুরুষদের জন্য উন্মুক্ত ছিলো তখন নারীরা তাদের পরিবারে ব্যাক্তিগণ তত্তাবধানে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে থাকে। পরে তাদের হাদিস অধ্যায়ন, ক্যালিগ্রাফি আকা ও কবিতা আবৃত্তির শরীয়াহ সম্মত অনুমতি প্রদান করা হয়।[41][42]

আইনশাস্ত্র

ধর্মতত্ত্ব ও অনুশাসন

দর্শন
১৩ শতকের আরবি পান্ডুলিপিতে সক্রেটিস ও তার ছাত্ররা

অধিবিদ্যা

ইবনে সিনা তার ভাসমান মানব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে মুক্ত ভাবে পতন কালেও মানুষ আত্ন-সচেতন থাকে।[43]

জ্ঞানতত্ত্ব

জ্ঞানতত্ত্বে, ইবনে তুফায়েল হায় ইবন ইয়্যাকদান নামে উপন্যাস রচনা করেন এবং তার উত্তরে ইবনে আন নাফীস লিখেন Theologus Autodidactus.

গণিত

বীজগণিত
তুরস্কের বুরসায় ওটোম্যান গ্রীন মসজিদে অবস্থিত সুলতানদের বীবরের মধ্যে একটি আর্কওয়ে়।এটি গিরি স্ট্র্যাপওয়ার্ক ১০ কোণাকৃতি তারা আর পঞ্চভূজ নিয়ে গঠিত

বীজগণিত, এলগরিদম এবং হিন্দু-আরবীয় সংখ্যার বিকাশ ও উন্নয়নে মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারিজমি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।তাকে বীজগণিতের জনক বলা হয়।

জ্যামিতি

ইসলামী শিল্পকলায় জ্যামিতিক প্যার্টান ও প্রতিসাম্যতা দেখা যায় বিশেষ করে দেয়ালের টাইলসে। সেগুলোতে রয়েছে দশভূজ,ষড়ভূজ,রম্বস এবং পঞ্চভূজ এর নানা রকম সমাবেশ। এদের প্রত্যেক বাহু ছিল সমান এবং সব কোণ গুলো ৩৬° (π/৫রেডিয়ান) বা এর গুনিতক । ২০০৭ সালে পদার্থবিদ পিটার লু এবং পল স্টিনহাট প্রমাণ করেন ১৫ শতাব্দীর গ্রিল্থ টাইলসগুলো ছিলো পেনরোজ বা গোলাপ কলম রকমের ডিজাইনকৃত।[44][45][46]

ত্রিকোণমিতি
সাইনের সুত্রের গাঠুনিক উপাংশ দ্বারা সম্পৃক্ত একটি ত্রিভুজ।বড় হাতের A,B,C হলো ত্রিভুজটির তিনটি কোন।আর ছোট হাতের a,b,c হলো যথাক্রমে কোণগুলোর বিপরীত বাহু(যেমন A কোণের বিপরীত বাহু a)।

ইবনে মুয়াজ আল-জাইয়্যানি হলেন অন্যতম ইসলামিক একজন গণিতবিদ যিনি সাইনের সূত্র আবিষ্কারের জন্য খ্যাত।১১ শতকে তিনি "The Book of Unknown Arcs of a Sphere" নামে একটি বই রচনা করেন।শুধুমাত্র সমকোণী ত্রিভুজ ছাড়াও সাইনের এই সূত্রটি যেকোনো ত্রিভুজের বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্যের সাথে কোণদ্বয়ের সাইনের মানের সম্পর্ক গঠন করেছে।[47] তার এই সূত্র অনুযায়ী,

যেখানে a,bও c হলো বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্য আর A,B ও C হলো যথাক্রমে বাহুদ্বয়ের বিপরীত কোণ(চিত্র দেখুন)।

ক্যালকুলাস

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি

হাসান ইবনে আল-হাইসাম হলেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ইতিহাসে পরীক্ষা নির্ভর পদ্ধতির কারণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।[48][49][50][51].[52]

জ্যোতিঃশাস্ত্র
তুসি কাপল

আনুমানিক ৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে পারস্য জ্যোতিঃর্বিদ আব্দুর রহমান আল সূফি তার রচিত "Book of Fixed Stars" গ্রন্থে এন্ড্রোমিডা কন্সটিলেশনের মধ্যে নীহারিকাবেষ্টিত স্থানের বর্ণনা করেন।তিনিই সর্বপ্রথম ঐ স্থানের যথাযথ তথ্য প্রদান করেন এবং উদ্ধৃতি দেন যেটা এখন এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি নামে পরিচিত।যেটা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সবচেয়ে নিকটতম সর্পিলাকার গ্যালাক্সি।টলেমির সমস্যাযুক্ত ইকুয়্যাণ্ট সংশোধিত করতে নাসির আল দীন তুসী 'তুসি কাপল' নামে একধরনের জ্যামিতিক পদ্ধতির আবিষ্কার করেন।এই পদ্ধতি দ্বারা দুইটি বৃত্তাকার গতির সারাংশ থেকে রৈখিক গতি সৃষ্টির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।এই তুসি কাপল পদ্ধতিটি পরবর্তীতে ইবনে আল-শাতিরের ভূ-কেন্দ্রিক মডেল এবং নিকোলাস কোপার্নিকাসের সূর্য-কেন্দ্রিক মডেলের উদ্ভাবন ও বিকাশে প্রয়োগিত হয়।যদিও এর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কে ছিলেন বা কোপার্নিকাস নিজেই এই পদ্ধতি পুনরায় আবিস্কার করেছিলেন কিনা তা জানা ন]]

পদার্থবিজ্ঞান

আল বিরুনি তার আলোক বিষায়ক গ্রন্থে উল্লেখ যে আলোর গতি শব্দের তুলানায় অসীম হতে পারে। [53]

রসায়ন

আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল-কিন্দি আল-কেমির মাধ্যমে সাধারণ ধাতুকে সোনায় রুপান্তর করতে পারতেন।[54]

ভূ-গণিত

আবু রায়হান আল বিরুনি (৯৭৩-১০৪৮) প্রথম পৃথিবীর ব্যসার্ধ ৬৩৩৯.৬ কিমি (বর্তমান মান প্রায়. ৬৩৭১ কিমি ) নির্ণয় করেন। [55]

জীববিজ্ঞান
১২০০ শতাব্দীর হুনাইন ইবনে ইসহাক আঁকা চোখেরগঠন।

রক্তসংবহন তন্ত্র সম্পর্কিত ইবনে আন নাফীস তার Commentary on Anatomy in Avicenna's Canon বইতে গ্যালেন স্কুলের রক্তপ্রবাহে, হৃদপিণ্ডর নিলয়গুলোর ভূমিকা সংক্রান্ত ভুলগুলো তুলে ধরেন।[56]

প্রকৌশল

বনু মুসা ভ্রাতাগণ তাদের বুক অব ইনজিনিয়াস ডিভাইস বইয়ে, এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বাঁশির কথা উল্লেখ করেন যা সম্ভত প্রথম প্রোগামসম্পন্ন যন্ত্র।[57] বাঁশিতে বাষ্প ব্যবহার করে শব্দ তৈরি করা হতো আর ব্যবহারকারী তা প্রয়োজন মতো এক এডজাস্ট করতে পারত।[58]

সামাজিক বিজ্ঞান

ইবনে খালদুনকে আধুনিক সমাজবিজ্ঞান,হিস্টোগ্রাফির, জনমিতি,অর্থনীতির জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[59]

স্বাস্থ্যসেবা

হাসপাতাল
মূল নিবন্ধ: হাসপাতাল
কায়রোর কোয়ালন হাসপাতালের প্রবেশ পথ।

ইসলামী বিশ্বে প্রথম হাসপতাল প্রতিষ্ঠা খলিফা হারুন-অর-রশিদ কর্তৃক ৮০৫ সালে বাগদাদে।[60] দশম শতাব্দীতে বাগদাদে ৫ গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল ছিলো সেখানে কর্ডোবাতেই ছিল ৫০ টিরও বেশি হাসপাতাল।[61] ত্রয়োদশ শতাব্দীর মিরশীয় গভর্নর আল মানসুর কালউন বিখ্যাত কালাউন হাসপাতাল তৈরি করেন যেখানে একটি মসজিদ ও চেপেল ছিল,পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের জন্য আলাদা বিভাগ ও ডাক্তারদের জন্য গ্রন্থাগার ছিল।[62] এটি চোখের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার হতো।[61] এখানে ৮০০০ রোগীর ধারণ ক্ষমতা ছিল – [63] "প্রতিদিন ৪০০০ গড়ে রোগীকে সেবা প্রদান করতো। "[64]

ফার্মেসি

ঔষধ

আবু বকর মোহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া আল রাযি প্রথম গুটিবসন্ত এবং হামএর মাঝে পার্থক্য করেন যা পূর্বে একটি রোগ হিসাবে বিবেচনা করা হতো।[65]

শল্যচিকিৎসা

আবুল কাসিম আল জাহরাউয়ি হলেন ১০ম শতকের একজন ডাক্তার। তাকে মাঝে মাঝে শল্যচিকিৎসার জনক বলা হয়।[66]

বাণিজ্য ও ভ্রমণ
আল ইদ্রিসির আকা মানচিত্র।

অনেক মুসলমান ব্যবসার জন্য চীন এ যায় এবং সাং রাজবংশের সময় আমদানি রপ্তানিতে তাদের ব্যাপক প্রভাব ছিল।(960–1279).[67]

শিল্প ও সংস্কৃতি

কবিতা
মূল নিবন্ধসমূহ: ইসলামী সাহিত্য এবং ইসলামী কবিতা
আরও দেখুন: আরব্য সাহিত্য, ফার্সি সাহিত্য, ও আরব্য রজনী

১৩ শতকে পারস্য কবি রুমীর অনেক বিখ্যাত কবিতা রচনা করেন যা আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বিক্রিত কবিতাগুচ্ছের অন্যতম।[68][69]

চারুকলা
মূল নিবন্ধ: ইসলামী শিল্প

স্থাপনা
কাইরুয়ান জামে মসজিদ

তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান জামে মসজিদ হলো পশ্চিমা মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ।[70] মসজিদটি ৬৭০ সালে আরব সেনানায়ক উকবা ইবনে নাফি কর্তৃক কাইরুয়ান নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হয়।[71]

পতনের কারণ

অর্থনীতি

সাংস্কৃতিক

অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ জয়েল মার্কারের মতে আল গাজালি (1058–1111) " ছিলেন ইসলামী বিজ্ঞান ধ্বংসের মূল হোতা", যা মুলত তার সূফীবাদ এবং পাশ্চাত্যবাদের মাধ্যমের হয়েছে।[72]

বহিরাক্রমন
ইবনে খালদুন এর মতে মুসলিমদের অধিকৃত বানিজ্য পথ গুলো মঙ্গোলদের আক্রমণের কারণে হারিয়ে যায়।

হালাকু খান কর্তৃক ১২৫৮ সালে বাগদাদ ও বাইতুল হিকমাহ ধ্বংসের পর থেকে জ্ঞানের ক্ষেত্রে মুসলিমদের পতন ঘটে বলে অনেকে মনে করেন।[73]

তথ্যসূত্র
  1. Medieval India, NCERT, আইএসবিএন ৮১-৭৪৫০-৩৯৫-১
  2. Vartan Gregorian, "Islam: A Mosaic, Not a Monolith", Brookings Institution Press, 2003, pg 26–38 আইএসবিএন ০-৮১৫৭-৩২৮৩-X
  3. George Saliba (1994), A History of Arabic Astronomy: Planetary Theories During the Golden Age of Islam, pp. 245, 250, 256–7. (ইংরেজি ভাষায়) New York University Press, আইএসবিএন ০-৮১৪৭-৮০২৩-৭.
  4. King, David A. (১৯৮৩)। "The Astronomy of the Mamluks"। Isis। 74 (4): 531–555। doi:10.1086/353360।
  5. "BBC Radio 4 - In Our Time, Al-Kindi"। BBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৯।
  6. Hyman and Walsh Philosophy in the Middle Ages Indianapolis, 3rd edition, p. 216
  7. Meri, Josef W. and Jere L. Bacharach, Editors, Medieval Islamic Civilization Vol.1, A - K, Index, 2006, p. 451 (ইংরেজি ভাষায়)
  8. Groth, Hans, সম্পাদক (২০১২)। Population Dynamics in Muslim Countries: Assembling the Jigsaw। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 9783642278815।
  9. Rafiabadi, Hamid Naseem, সম্পাদক (২০০৭)। Challenges to Religions and Islam: A Study of Muslim Movements, Personalities, Issues and Trends, Part 1। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 1141। আইএসবিএন 9788176257329।
  10. Salam, Abdus (১৯৯৪)। Renaissance of Sciences in Islamic Countries। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 9789971509460।
  11. "In Our Time - Al-Kindi,James Montgomery" (ইংরেজি ভাষায়)। bbcnews.com। ২৮ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ মে ১৮, ২০১৩।
  12. Brentjes, Sonja; Robert G. Morrison (২০১০)। "The Sciences in Islamic societies"। The New Cambridge History of Islam। 4। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 569।
  13. Hill, Donald. Islamic Science and Engineering. 1993. Edinburgh Univ. Press. আইএসবিএন ০-৭৪৮৬-০৪৫৫-৩, p.4
  14. "Nestorian - Christian sect"। ২০১৬-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৫।
  15. Rashed, Roshdi (২০১৫)। Classical Mathematics from Al-Khwarizmi to Descartes। Routledge। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-0-415-83388-2।
  16. "Hunayn ibn Ishaq - Arab scholar"। ২০১৬-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১২।
  17. Hussein, Askary। "Baghdad 767-1258 A.D.:Melting Pot for a Universal Renaissance"। Executive Intelligence Review.। ২০১৭-০৮-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  18. O'Leary, Delacy (১৯৪৯)। How Greek Science Passed On To The Arabs। Nature। 163। পৃষ্ঠা 748। doi:10.1038/163748c0। আইএসবিএন 9781317847489। বিবকোড:1949Natur.163Q.748T।
  19. Sarton, George। "History of Islamic Science"। ২০১৬-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  20. Nancy G. Siraisi, Medicine and the Italian Universities, 1250–1600 (Brill Academic Publishers, 2001), p 134.
  21. Beeston, Alfred Felix Landon (১৯৮৩)। Arabic literature to the end of the Umayyad period। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 501। আইএসবিএন 978-0-521-24015-4। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১১।
  22. "Compendium of Medical Texts by Mesue, with Additional Writings by Various Authors"। World Digital Library। ২০১৪-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০১।
  23. Griffith, Sidney H. (১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "Eutychius of Alexandria"। Encyclopædia Iranica। ২০১৭-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-০৭।
  24. Anna Contadini, 'A Bestiary Tale: Text and Image of the Unicorn in the Kitāb naʿt al-hayawān (British Library, or. 2784)', Muqarnas, 20 (2003), 17-33 (p. 17), টেমপ্লেট:Jstor.
  25. Bonner, Bonner; Ener, Mine; Singer, Amy (২০০৩)। Poverty and charity in Middle Eastern contexts। SUNY Press। পৃষ্ঠা 97। আইএসবিএন 978-0-7914-5737-5।
  26. Ruano, Eloy Benito; Burgos, Manuel Espadas (১৯৯২)। 17e Congrès international des sciences historiques: Madrid, du 26 août au 2 septembre 1990। Comité international des sciences historiques। পৃষ্ঠা 527। আইএসবিএন 978-84-600-8154-8।
  27. Rémi Brague, Assyrians contributions to the Islamic civilization ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে
  28. Britannica, Nestorian ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে
  29. Foster, John (১৯৩৯)। The church of the T'ang dynasty (ইংরেজি ভাষায়)। Society for Promoting Christian Knowledge।
  30. "The School of Edessa"। www.nestorian.org। ২০১৬-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৯।
  31. Frew, Donald H.। "Harran: Last Refuge of Classical Paganism"। Pomegranate: The International Journal of Pagan Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 13 (9): 17–29। doi:10.1558/pome.v13i9.17। আইএসএসএন 1528-0268।
  32. "Harran University"। ২০১৮-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  33. Kaser, Karl (২০১১)। The Balkans and the Near East: Introduction to a Shared History (ইংরেজি ভাষায়)। LIT Verlag Münster। আইএসবিএন 9783643501905।
  34. "University of Tehran Overview/Historical Events"। ২০১১-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৯।
  35. "Libraries of Ancient Merv"। www.turkmenhost.com। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৯।
  36. "In Our Time - Al-Kindi, Hugh Kennedy"। bbcnews.com। ২৮ জুন ২০১২। ২০১৪-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৮, ২০১৩।
  37. "Islam's Gift of Paper to the West"। Web.utk.edu। ২০০১-১২-২৯। ২০১৫-০৫-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  38. Kevin M. Dunn, ''Caveman chemistry : 28 projects, from the creation of fire to the production of plastics''। Universal-Publishers। ২০০৩। পৃষ্ঠা 166। আইএসবিএন 9781581125665। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  39. Jonathan Berkey (২০০৪)। "Education"। Richard C. Martin। Encyclopedia of Islam and the Muslim World। MacMillan Reference USA।
  40. Halm, Heinz. The Fatimids and their Traditions of Learning. London: The Institute of Ismaili Studies and I.B. Tauris. 1997.
  41. Lapidus, Ira M. (২০১৪)। A History of Islamic Societies। Cambridge University Press (Kindle edition)। পৃষ্ঠা 210। আইএসবিএন 978-0-521-51430-9।
  42. Berkey, Jonathan Porter (২০০৩)। The Formation of Islam: Religion and Society in the Near East, 600-1800। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 227।
  43. "our time: Exitence"। ৮ নভেম্বর ২০০৭। ২০১৩-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  44. Peter J. Lu; Paul J. Steinhardt (২০০৭)। "Decagonal and Quasi-crystalline Tilings in Medieval Islamic Architecture"। Science। 315 (5815): 1106–10। doi:10.1126/science.1135491। PMID 17322056। বিবকোড:2007Sci...315.1106L।
  45. "Advanced geometry of Islamic art"। bbcnews.com। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ২০১৩-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৩।
  46. Ball, Philip (২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "Islamic tiles reveal sophisticated maths"। News@nature। doi:10.1038/news070219-9। ২০১৩-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৩। "
  47. "Abu Abd Allah Muhammad ibn Muadh Al-Jayyani"। University of St.Andrews। ২০১৭-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৩।
  48. El-Bizri, Nader, "A Philosophical Perspective on Ibn al-Haytham's Optics", Arabic Sciences and Philosophy 15 (2005-08-05), 189–218
  49. Haq, Syed (2009). "Science in Islam". Oxford Dictionary of the Middle Ages. ISSN 1703-7603. Retrieved 2014-10-22.
  50. Sabra, A. I. (1989). The Optics of Ibn al-Haytham. Books I–II–III: On Direct Vision. London: The Warburg Institute, University of London. pp. 25–29. আইএসবিএন ০-৮৫৪৮১-০৭২-২.
  51. Toomer, G. J. (১৯৬৪)। "Review: Ibn al-Haythams Weg zur Physik by Matthias Schramm"। Isis। 55 (4): 463–465। doi:10.1086/349914।
  52. Al-Khalili, Jim (২০০৯-০১-০৪)। "BBC News"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  53. J J O'Connor; E F Robertson (১৯৯৯)। "Abu Arrayhan Muhammad ibn Ahmad al-Biruni"। MacTutor History of Mathematics archive। University of St Andrews। ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৭।
  54. Felix Klein-Frank (2001) Al-Kindi. In Oliver Leaman & Hossein Nasr. History of Islamic Philosophy. London: Routledge. page 174
  55. Pingree, David। "BĪRŪNĪ, ABŪ RAYḤĀN iv. Geography"। Encyclopaedia Iranica। Columbia University। আইএসবিএন 1-56859-050-4।
  56. West, John (২০০৮)। "Ibn al-Nafis, the pulmonary circulation, and the Islamic Golden Age"। Journal of Applied Physiology। 105 (6): 1877–80। doi:10.1152/japplphysiol.91171.2008। PMID 18845773। পিএমসি 2612469 । সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
  57. Koetsier, Teun (২০০১), "On the prehistory of programmable machines: musical automata, looms, calculators", Mechanism and Machine Theory, Elsevier, 36 (5): 589–603, doi:10.1016/S0094-114X(01)00005-2.
  58. Banu Musa (authors), Donald Routledge Hill (translator) (১৯৭৯), The book of ingenious devices (Kitāb al-ḥiyal), Springer, পৃষ্ঠা 76–7, আইএসবিএন 90-277-0833-9
    • Spengler, Joseph J. (১৯৬৪)। "Economic Thought of Islam: Ibn Khaldun"। Comparative Studies in Society and History। 6 (3): 268–306। জেস্টোর 177577। .
        • Boulakia, Jean David C. (১৯৭১)। "Ibn Khaldûn: A Fourteenth-Century Economist"। Journal of Political Economy। 79 (5): 1105–1118। জেস্টোর 1830276।.
  60. Savage-Smith, Emilie, Klein-Franke, F. and Zhu, Ming (২০১২)। "Ṭibb"। P. Bearman, Th. Bianquis, C. E. Bosworth, E. van Donzel, W.P. Heinrichs। Encyclopaedia of Islam (2nd সংস্করণ)। Brill। doi:10.1163/1573-3912_islam_COM_1216।
  61. "The Islamic Roots of the Modern Hospital"। aramcoworld.com। ২০১৭-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৭।
  62. hilip Adler; Randall Pouwels (২০০৭)। World Civilizations। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 198। আইএসবিএন 978-1111810566। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪।
  63. Bedi N. Şehsuvaroǧlu (২০১২-০৪-২৪)। "Bīmāristān"। P. Bearman; Th. Bianquis; C.E. Bosworth; ও অন্যান্য। Encyclopaedia of Islam (2nd সংস্করণ)। ২০১৬-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৪।
  64. Mohammad Amin Rodini (৭ জুলাই ২০১২)। "Medical Care in Islamic Tradition During the Middle Ages" (PDF)। International Journal of Medicine and Molecular Medicine। ২০১৩-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪।
  65. "Abu Bakr Mohammad Ibn Zakariya al-Razi (Rhazes) (c. 865-925)"। sciencemuseum.org.uk। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৫।
  66. Ahmad, Z. (St Thomas' Hospital) (২০০৭), "Al-Zahrawi - The Father of Surgery", ANZ Journal of Surgery, 77 (Suppl. 1): A83, doi:10.1111/j.1445-2197.2007.04130_8.x
  67. "Islam in China"। bbcnews.com। ২ অক্টোবর ২০০২। ২০১৬-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
  68. Haviland, Charles (২০০৭-০৯-৩০)। "The roar of Rumi - 800 years on"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-১০।
  69. "Islam: Jalaluddin Rumi"। BBC। ২০০৯-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-১০।
  70. John Stothoff Badeau and John Richard Hayes, ''The Genius of Arab civilization: source of Renaissance''.। Taylor & Francis। ১৯৮৩-০১-০১। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 9780262081368। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  71. "Great Mosque of Kairouan (Qantara mediterranean heritage)"। Qantara-med.org। ২০১৫-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  72. "Mokyr, J.: A Culture of Growth: The Origins of the Modern Economy. (eBook and Hardcover)"। press.princeton.edu। পৃষ্ঠা 67। ২০১৭-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৯।
  73. Cooper, William W.; Yue, Piyu (২০০৮)। William Wager Cooper and Piyu Yue (2008), ''Challenges of the Muslim world: present, future and past'', Emerald Group Publishing, page 215। আইএসবিএন 9780444532435। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১১।
  • Hill, Donald R. (1993). Islamic Science and Engineering. Edinburgh University Press. আইএসবিএন ০-৭৪৮৬-০৪৫৫-৩. (ইংরেজি ভাষায়)

বহিঃসংযোগ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.