মধ্যযুগীয় ইসলামে ভূগোল ও মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যা
মধ্যযুগীয় ইসলামিক ভূগোল হেলেনীয় ভূগোলের উপর ভিত্তি করে এবং ১২শ-শতাব্দীতে মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি একে শীর্ষে নিয়ে যান।
আমি রাসদের দেখালাম, যখন তারা তাদের বাণিজ্য যাত্রায় যাচ্ছিল এবং ইটিল পারে অবস্থান নিয়েছিলো। আমি কখনোই এতো সুঠাম শারীরিক গঠনাকৃতির কোনো প্রাণী দেখিনি, খেজুর গাছের ন্যায় দীর্ঘ, স্বর্ণকেশী এবং রুক্ষ্ম; তারা টিউনিক বা কাফতান কিছুই পরিধান করেনি, কিন্তু পুরুষেরা এমন একটি পোষাক পরিধান করেছিলো যা তাদের শরীরের এক পার্শ্বকে আচ্ছাদিত করে রাখছিলো ও একটি হাত মুক্ত থাকছিলো। প্রতিটি পুরুষের সাথে একটি কুঠার, একটি তলোয়ার এবং একটি ছুরি আছে, এবং তারা সব সময় এগুলো তাদের সঙ্গে রাখে। প্রতিটি মহিলার স্তন্য বরাবর লোহা, রূপা, তামা, অথবা স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি বাক্স রয়েছে; এই বাক্সটি তার স্বামীর সম্পদের নির্দেশক। প্রতিটি বাক্সের একটি রিং আছে যা ছুরি নির্ভর। নারীরা স্বর্ণ এবং রৌপ্য নির্মিত গল-বন্ধ পড়েছে। তাদের সবচেয়ে মূল্যবান অলঙ্কার সবুজ কাচের পুঁতি। তারা এগুলোকে তাদের নারীদের পরিধেয় কন্ঠাহারের ন্যায় পড়েছে।
ইবন ফাদলান, ইটেল পারের রাস ব্যবসায়ী, ৯২২।
ইতিহাস
৮ম শতাব্দীর সূত্রপাত ঘটে হেলেনীয় ভূগোলের উপর ভিত্তি করে,[1] এবং ইসলামিক ভূগোলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফারা। বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিতরা ভূগোল ও মানচিত্রাঙ্কন উন্নয়নের অবদান রেখেছেন এবং তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আল খোয়ারিজমি আবু যায়েদ আল-বালাখী ("বালাখী স্কুল" এর প্রতিষ্ঠাতা) এবং আবু রায়হান আল বিরুনি।
উত্তরাধিকার
মধ্যযুগীয় উন্নয়নে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের অধীনে চীনা ভূগোল প্রভাবিত।[2] তারা উসমানীয় সাম্রাজ্যের মানচিত্রকর পিরি রেইসের মানচিত্রবৎ কাজের ভিত্তি প্রদান করেছে।
গ্যালারি
- আল-মাসুদী অঙ্কিত পৃথিবীর মানচিত্র।
- মোঙ্গল সাম্রাজ্য আমলে তৈরি করা ক্যাংনিডো চীনাদের ভূগোল সম্পর্কিত জ্ঞান বহন করে, যখন সেখানে পশ্চিমা দেশসমূহ সম্পর্কে ভৌগোলিক তথ্য মুসলমান ভূগোলবিদদের মাধ্যমে সহজলভ্য হয়ে ওঠে।
- ১০ম-শতাব্দীতে ইবনে হাওকাল তৈরি বিশ্বের মানচিত্র।
- মাহমুদ আল কাশগরির দিওয়ান থেকে মানচিত্র (১১শ শতক)
- ইবনুল ওয়ারদির বিশ্বের অ্যাটলাস, ১৭শ-শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপি অনুলিপি
আরও দেখুন
- মুসলমান ভূগোলবিদদের তালিকা
- ভূগোলের ইতিহাস
- মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যার ইতিহাস
তথ্যসূত্র
- Gerald R. Tibbetts, The Beginnings of a Cartographic Tradition, in: John Brian Harley, David Woodward: Cartography in the Traditional Islamic and South Asian Societies, Chicago, 1992, pp. 90–107 (97-100), আইএসবিএন ০-২২৬-৩১৬৩৫-১
- (Miya 2006; Miya 2007)
গ্রন্থপঞ্জি
- Alavi, S. M. Ziauddin (1965), Arab geography in the ninth and tenth centuries, Aligarh: Aligarh University Press
- Edson, Evelyn; Savage-Smith, Emilie (২০০৪)। Savage-Smith, Emilie, সম্পাদক। Medieval Views of the Cosmos। Oxford: Bodleian Library। আইএসবিএন 978-1-85124-184-2।
- King, David A. (১৯৮৩), "The Astronomy of the Mamluks", Isis, 74 (4): 531–555, doi:10.1086/353360
- King, David A. (২০০২), "A Vetustissimus Arabic Text on the Quadrans Vetus", Journal for the History of Astronomy, 33: 237–255
- King, David A. (ডিসেম্বর ২০০৩), "14th-Century England or 9th-Century Baghdad? New Insights on the Elusive Astronomical Instrument Called Navicula de Venetiis", Centaurus, 45 (1-4): 204–226, doi:10.1111/j.1600-0498.2003.450117.x
- King, David A. (২০০৫), In Synchrony with the Heavens, Studies in Astronomical Timekeeping and Instrumentation in Medieval Islamic Civilization: Instruments of Mass Calculation, Brill Publishers, আইএসবিএন 90-04-14188-X
- McGrail, Sean (২০০৪), Boats of the World, Oxford University Press, আইএসবিএন 0-19-927186-0
- Mott, Lawrence V. (May 1991), The Development of the Rudder, A.D. 100-1337: A Technological Tale, Thesis, Texas A&M University
- Rashed, Roshdi; Morelon, Régis (১৯৯৬), Encyclopedia of the History of Arabic Science, 1 & 3, Routledge, আইএসবিএন 0-415-12410-7
- Sezgin, Fuat (২০০০), Geschichte Des Arabischen Schrifttums X–XII: Mathematische Geographie und Kartographie im Islam und ihr Fortleben im Abendland, Historische Darstellung, Teil 1–3 (German ভাষায়), Frankfurt am Main
বহিঃসংযোগ
- "How Greek Science Passed to the Arabs" by De Lacy O'Leary
- Islamic Geography in the Middle Ages
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.