মগড়া নদী

মগড়া নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেত্রকোনাকিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১১২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৭৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক মগড়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৬৫।[1] এই নদী নেত্রকোণাকে ঘিরে রেখেছে। মগড়ার বহমান পথ শহরটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।[2]

মগড়া নদী
নেত্রকোনা শহরের ঘোষের বাজারের পাশে মগড়া নদী
নেত্রকোনা শহরের ঘোষের বাজারের পাশে মগড়া নদী
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল ময়মনসিংহ বিভাগ
জেলাসমূহ নেত্রকোনা জেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা
উৎস ধলাই নদী কুক্কাখালী নদী
মোহনা ধনু নদী
দৈর্ঘ্য ১১২ কিলোমিটার (৭০ মাইল)

উৎপত্তিস্থল ও শেষপ্রান্ত

মগড়া নদী নেত্রকোণা জেলার পূর্ব ধলাইয়ের নিম্নাঞ্চল থেকে সৃষ্ট ধলাইখালে এই নদীর উৎপত্তি। এটি একই জেলার মদন উপজেলার ধনু নদীতে এসে মিলিত হয়েছে।[3]

প্রবাহপথ

মগড়া নদীর উৎপত্তিস্থল দেখানো হয়েছে ধলাই এবং সোয়াইন নদীর সংযোগস্থল এবং পতিতস্থল ঘোড়াউত্রা নদী

সেনেরচর থেকে খড়িয়া নদী বেয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বুড়বুড়িয়া বিল, ঐ বিল থেকে বেরিয়ে গজারিয়া ও রাংসা নদীর স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়ে ফুলপুরের ঢাকুয়া-র ভেতর দিয়ে সরাসরি পূর্বদিকে ধলাই নামে প্রবাহিত হয়েছে। পূর্বধলার হোগলা বাজারের পাশ দিয়ে পূর্বধলা সদরের ভেতর দিয়ে ত্রিমোহনীতে এসে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। সে স্থান থেকে মগড়া নামে পরিচিত।

সেখান থেকে প্রথমে পাঁচ মাইল পর্যন্ত দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে দয়াগঞ্জ ঘাট থেকে সরাসরি পূর্ব দিকে আকাঁবাকা হয়ে নেত্রকোণা শহরের পাশ দিয়ে আটপাড়া হয়ে মদন হয়ে ধনু নদীতে পতিতহয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মগড়ায় মিলিত হয়েছে লাওয়ারী নদী, ধলাই, কংসের শাখা, সাইডুলি, পাটকুঁড়া নদী-শাখানদী। নেত্রকোণা জেলায় মগড়া নদীর গতিপথ সব চেয়ে বেশি। নদীটি কোথাও ধলাই নামে, কোথাও মগড়া নামে খ্যাত। এ জেলার চারশ বর্গমাইল এলাকা দিয়ে মগড়া নদীর প্রবাহ রয়েছে। মগড়া ও কংস নদী ৮/১০মাইল ব্যবধানে প্রায় ৪০ মাইল সমান্তরালভাবে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে।

আরও দেখুন

বহিঃ সংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২১৩-২১৪। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
  2. "হারিয়ে যাচ্ছে নেত্রকোনার নদ-নদী"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৯ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৪
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২৯৬।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.