কাউখালী উপজেলা, পিরোজপুর
কাউখালী বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
কাউখালী | |
---|---|
উপজেলা | |
কাউকালী | |
ডাকনাম: কাউহালী | |
![]() ![]() কাউখালী ![]() ![]() কাউখালী | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′ উত্তর ৯০°৭′ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | পিরোজপুর জেলা |
সরকার | |
• জয় বাংলা | বিশ্বজিত (আওয়ামীলীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৮০ কিমি২ (৩০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[1] | |
• মোট | ৭৯,৫১৫ |
• জনঘনত্ব | ৯৯০/কিমি২ (২৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৭.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৯ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান
উত্তর ও পশ্চিমে নেছারাবাদ উপজেলা, পূর্বে রাজাপুর উপজেলা ও ঝালকাঠি সদর উপজেলা , দক্ষিণে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিমে পিরোজপুর সদর উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কাউখালী উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কাউখালী থানার আওতাধীন।
ইতিহাস
১৭৯০ সালে গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক পরিবর্তন সাধন করে বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) জেলার জন্য ১০টি থানা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করলে এর ৩টি থানা পিরোজপুর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হয় এবং তখন কাউখালীতে থানা স্থাপিত হয়। পরে এখানে আবগারী অফিস, মুন্সেফ আদালত, রেজিস্ট্রারি অফিসসহ লবণ চৌকি স্থাপিত হয়।
১৮৫৯ সালে পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হলেও কাউখালী ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরের নামে কাউখালীতেই অফিস-আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। আদিতে থানাগুলো নদীতীরে ভাসমান জলথানা হিসেবে কার্য সম্পাদন করত বলে কাউখালী থানাও এধরনের স্থাপনা ছিলো যা ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
- নামকরণ
তদানীন্তন সেলিমাবাদ পরগনা ছিল লবণ ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র্। বৃহৎ লবণ শিল্প ছিল সেলিমাবাদে। সেলিমাবাদের লবণ মহলের ব্যাপক উৎপাদনশীল এলাকা ছিল কাউখালীতে।
আমরাজুরীর দত্ত পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা নেমক মহলের দারোগা ছিল। ১৭৮৩ সালের ২৫ জুন তারিখে লন্ডনের কমন্স সভার লবণ রিপোর্টে দেখা যায়, রাশিয়ার অন্তর্গত আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের এক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ সালেসেলিমাবাদের লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। ১৭৭৪ সালে ঢাকার চিফ বারওয়েল লবণ ব্যবসা নিজ হসস্ত গ্রহণ করেন। তিনি পরে খাজা কাওয়ার্ককে মূল্যবান উপহার বিনিময়ে লবণ ব্যবসার জন্য গোপনে অনুমতি প্রদান করেন। যার জন্য বারওয়েল দারুনভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত হন। স্থানীয় লোকজন খাজা কাওয়ার্ককে কাও সাহেব বলে ডাকত। ফলতঃ কাও সাহেব নামের প্রচার এবং প্রসার থেকে কাওখালী, যা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে কাউখালী হয়েছে।
ইতিহাস
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাউখালী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৭০,১৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪,৮৯৩ জন এবং মহিলা ৩৫,২৩৭ জন। মোট পরিবার ১৬,২০৮টি।[2]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাউখালী উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৪.৬%।[2]
অর্থনীতি
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- ড. হারূনুর রশীদ - উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়;
- মতিউর রহমান - সাবেক মন্ত্রী।
বিবিধজ
তথ্যসুত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৮)। "এক নজরে কাউখালী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯।