কাদেরিয়া বাহিনী

কাদেরিয়া বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীনতার পক্ষে গঠিত একটি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী। এ বাহিনীর নেতা ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। যুদ্ধকালীন সময়ে এই ক্ষুদ্র অথচ লড়াকু বাহিনীটি সাহসিকতার জন্য স্বাধীনতাকামী জনসাধারণের কাছে সুপরিচিতি লাভ করে এবং নেতার নামানুসারে কাদেরিয়া বাহিনী নামে খ্যাতি লাভ করে। [1] সে সময় কাদের সিদ্দিকী "বঙ্গবীর" এবং "বাঘা সিদ্দিকী" নামে পরিচিত হন।

যুদ্ধের পর কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অস্ত্রজমাদান

কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বর্তমান বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ৫০,০০০ বেসামরিক ব্যক্তি নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনীটি টাঙ্গাইল অঞ্চলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বহু গেরিলা যুদ্ধে জয়লাভ করে। কাদের সিদ্দিকী বাল্লা গ্রামের কাছে মাকরার যুদ্ধে আহত হন। কাদেরিয়া বাহিনী ভূঞাপুর উপজেলার সিরাজকান্দী গ্রামে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একটি পাকিস্তানী জাহাজ নিজেদের অধিকারে নিতে সক্ষম হয়। বাহিনীটি বেশ কিছু সাঁজোয়া ও বুলেটপ্রতিরোধী যুদ্ধযানও আটক করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এর সদর দপ্তর ছিল টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর গ্রামের একটি ভবনে যেখানে বর্তমানে মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত।[2]

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে কাদেরিয়া বাহিনী ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সাথে ঢাকায় প্রবেশ করে।[1]

তথ্যসূত্র

  1. সখীপুর এবং কাদেরিয়া বাহিনী
  2. http://kakrajanup.tangail.gov.bd/node/710733%5B%5D
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.