লিভারপুল ফুটবল ক্লাব
লিভারপুল ফুটবল ক্লাব (লিভারপুল নামেই বেশি পরিচিত) লিভারপুল, ইংল্যান্ড এ অবস্থিত একটি ফুটবল দল। এরা এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ খেলে থাকে। ইংরেজ ফুটবল ইতিহাসের সফলতম দল লিভারপুল ১৮ টি প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ, ৭ টি এফ.এ. কাপ, ৮ টি লীগ কাপ, ৬ টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ও ৩ টি উয়েফা কাপ জিতেছে।
![]() | ||||
পূর্ণ নাম | লিভারপুল ফুটবল ক্লাব | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | অল রেড,দ্যা রেডস | |||
প্রতিষ্ঠিত | ৩ জুন ১৮৯২[1] | |||
মাঠ | এনফিল্ড স্টেডিয়াম লিভারপুল | |||
ধারণক্ষমতা | ৪৫,২৭৬[2] | |||
মালিক | ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ | |||
চেয়ারম্যান | টম ওয়ানার | |||
ম্যানেজার | ইয়ুর্গেন ক্লপ | |||
লীগ | এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ | |||
২০১৮-১৯ | প্রিমিয়ার লীগ, দ্বিতীয় | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
|
১৫ মার্চ ১৮৯২ সালে জন হোল্ডিং, এনফিল্ড এর মালিক, ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভাড়া নিয়ে বিতর্ক উঠার পর এভারটন এনফিল্ড ছেড়ে যাওয়ায় হোল্ডিং নিজেই একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এর আসল নাম ছিল এভারটন এফ.সি. এন্ড এথলেটিক গ্রাউন্ডস, লিমিটেড, সংক্ষেপে এভারটন এথলেটিক। কিন্তু ফুটবল এসোসিয়েশন দলকে এভারটন হিসেবে গ্রহণ করতে অসম্মতি জানালে নাম পরিবর্তন করে লিভারপুল এফ.সি. রাখা হয়। দু'বছর পর লিভারপুল ফুটবল লীগে অংশ নেয়। লিভারপুলের সবচেয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে একই শহরের এভারটন এফ সি ও ম্যানচেস্টারের ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এফ সি। লিভারপুল-এভারটন ম্যাচ মার্সেসাইড ডার্বি নামে পরিচিত।
ক্লাবটি ইউরোপীয়ান ফুটবল ইতিহাসে দুটি মারাত্নক ট্রাজেডীর মুখোমুখি হয়েছে — ১৯৮৫ সালে লিভারপুল-জুভেন্টাস খেলার সময় হেইসেলে যখন ৩৯ জন জুভ সমর্থক মারা যায়[3], এবং ১৯৮৯ সালে হিলসবোরোতে যেখানে ৯৬ জন লিভারপুল সমর্থক মারা যায়[4]।
ক্লাব রেকর্ড ও পরিসংখ্যান
ইয়ান ক্যালাহান লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪৮ টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৫৮-৭৮ পর্যন্ত ১৯টি মৌসুমে। ৬৪০ টি লীগ খেলার রেকর্ডও তার দখলে। বর্তমান একাদশে ৪১৯ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে জেমি ক্যারেঘার এর (১৯ আগস্ট, ২০০৬ পর্যন্ত)। ক্যারেঘারের ২৯০ টি প্রিমিয়ার লীগ খেলাও একটি ক্লাব রেকর্ড।
লিভারপুলের হলে সব সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ইয়ান রাশ, যিনি ৩৪৬ টি গোল করেছেন ১৯৮০-১৯৮৭ ও ১৯৮৮-১৯৯৬ মৌসুমগুলোতে। ১৯৮৩-৮৪ তে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪৭ গোল দেয়ার রেকর্ডও তার। যদিও রাশ সর্বোচ্চ লীগ গোল দেয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি। এ রেকর্ড গড়েছেন রজার হান্ট ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ২৪৫ গোল দিয়ে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ৪১ গোল দিয়ে হান্ট এক মৌসুমে সর্বোচ্চ লীগ গোল দেন। গর্ডন হজ্সন ক্লাবের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৭ টি হ্যাট্রিক করে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের রেকর্ডধারী। এক খেলায় সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন এন্ডি ম্যাকগিগান, জন ইভানস, ইয়ান রাশ ও রবি ফাউলার। রবি ফাউলার ক্লাব ও প্রিমিয়ার লীগের রেকর্ড করেছেন দ্রুততম ৪ মিনিট, ৩২ সেকেন্ডে হ্যাট্রিক করে (আর্সেনাল এর বিপক্ষে)।
লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয় ১১-০ ব্যাবধানে ১৯৭৪ সালে। গোলকীপার ছাড়া দশজনের মধ্যে নয়জনই এতে গোল করেন - একটি লিভারপুল রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে লিভারপুল সবচেয়ে বড় ব্যাবধানে লীগ খেলা জিতে ৯-০ তে।
বর্তমান দল
- ৮ অগাস্ট ২০১৯ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
নোট: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফা যোগ্যতার নিয়ম অধীন নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
ধারে অন্য দলে
নোট: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফা যোগ্যতার নিয়ম অধীন নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
স্মরণীয় সাবেক খেলোয়াড়
- এপ্রাহিম লংওয়র্থ
- এলিশা স্কট
- গর্ডন হজসন
- রন ইয়েটস
- কেভিন কিগান
- রজার হান্ট
- এলান হ্যানসেন
- কেনি ড্যালগ্লিশ
- ইয়ান রাশ
- জন অল্ড্রিজ
- জন বার্নস
- পিটার বার্ডস্লে
- স্টিভেন জেরার্ড
- জেমি ক্যারাঘার
- লুইস সুয়ারেজ
- ফার্নেন্দো তোরেস
- ফিলিপে কুতিনহো
বর্তমান স্টাফ
ম্যানেজার
ম্যানেজার | ইয়ুর্গেন ক্লপ |
প্রথম সহকারী ম্যানেজার | জ়েলিয়েকো বুভাচ |
দ্বিতীয় সহকারী ম্যানেজার | পিটার ক্রাউইটজ় |
প্রথম দলের গোলরক্ষক কোচ | জন আখটারবার্গ |
হেড ফিজিও | আন্দ্রে কর্নমায়ের |
নাম | জাতীয়তা | দায়িত্ব শুরু | দায়িত্ব শেষ | রেকর্ড | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | ||||
ডব্লিউ. ই. বার্কলে ও জন ম্যাককেনা [5] | ![]() |
আগস্ট ১৮৯২ | জুলাই ১৮৯৬ | ১০১ | ৫৮ | ১৭ | ২৬ |
টম ওয়াটসন | ![]() |
আগস্ট ১৮৯৬ | মে ১৯১৫ | ৭৪০ | ৩২৭ | ১৪১ | ২৭২ |
ডেভিড এশওর্থ | ![]() |
ডিসেম্বর ১৯২০ | ফেব্রুয়ারী ১৯২৩ | ৫৮ | ২৫ | ২৪ | ৯ |
ম্যাট ম্যাককুইন | ![]() |
ফেব্রুয়ারী ১৯২৩ | ফেব্রুয়ারী ১৯২৮ | ২২৯ | ৯৪ | ৬১ | ৭৪ |
জর্জ প্যাটারসন | ![]() |
ফেব্রুয়ারী ১৯২৮ | মে ১৯৩৬ | ৩৭০ | ১৩৯ | ৮৬ | ১৪৫ |
জর্জ কে | ![]() |
মে ১৯৩৬ | ফেব্রুয়ারী ১৯৫১ | ৩৫৯ | ১৪৩ | ৯৩ | ১২৩ |
ডন ওয়েলস | ![]() |
মার্চ ১৯৫১ | মে ১৯৫৬ | ২৩৪ | ৮২ | ৬০ | ৯২ |
ফিল টেইলর | ![]() |
মে ১৯৫৬ | নভেম্বর ১৯৫৯ | ১৫৩ | ৭৭ | ৩২ | ৪৪ |
বিল শ্যাঙ্কলি | ![]() |
ডিসেম্বর ১৯৫৯ | ১৯৭৪ | ৭৫৩ | ৩৯৩ | ১৮৫ | ১৭৫ |
বব পেইসলি | ![]() |
জুলাই ১৯৭৪ | মে ১৯৮৩ | ৪৯০ | ২৭৫ | ১২৪ | ৯১ |
জো ফ্যাগান | ![]() |
মে ১৯৮৩ | মে ১৯৮৫ | ১২২ | ৬৫ | ৩৪ | ২৩ |
কেনি ড্যালগ্লিশ | ![]() |
মে ১৯৮৫ | ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ | ২৯৭ | ১৮০ | ৭৬ | ৪১ |
রনি মোরান [6] | ![]() |
ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ | এপ্রিল ১৯৯১ | ১০ | ৪ | ১ | ৫ |
গ্রায়েম সাউনেস | ![]() |
এপ্রিল ১৯৯১ | জানুয়ারী ১৯৯৪ | ১৫৭ | ৬৫ | ৪৭ | ৪৫ |
রয় ইভানস | ![]() |
জানুয়ারী ১৯৯৪ | জুলাই ১৯৯৮ | ২২৬ | ১১৬ | ৫৭ | ৫৩ |
রয় ইভানস ও জেরার্ড হাউলির [5] | ![]() ![]() |
জুলাই ১৯৯৮ | নভেম্বর ১৯৯৮ | ১৮ | ৭ | ৬ | ৫ |
জেরার্ড হাউলির [7] | ![]() |
নভেম্বর ১৯৯৮ | মে ২০০৪ | ৩০৭ | ১৬০ | ৭৩ | ৭৪ |
রাফায়েল বেনিটেজ | ![]() |
জুন ২০০৪ | জুন ২০১০ | ৩৫০ | ১৯৭ | ৭৪ | ৭৯ |
রয় হজসন | ![]() |
জুলাই ২০১০ | জানুয়ারি ২০১১ | ৩১ | ১৩ | ৮ | ১০ |
কেনি ডালগ্লিস | ![]() |
জানুয়ারি ২০১১ | মে ২০১২ | ৭৪ | ৩৫ | ১৭ | ২২ |
ব্রেন্ডান রজারস্ | ![]() |
মে ২০১২ | অক্টোবর ২০১৫ | ১৬৬ | ৮৫ | ৩৯ | ৪২ |
ইয়ুর্গেন ক্লপ | ![]() |
অক্টোবর ২০১৫ | বর্তমান | ৯৯ | ৫০ | ২৮ | ২১ |
সম্মাননা
- ফূটবল লীগ খেতাবঃ ১৮
- ১৯০১, ১৯০৬, ১৯২২, ১৯২৩, ১৯৪৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০
- ফূটবল লীগ দ্বিতীয় বিভাগ খেতাবঃ ৪
- ১৮৯৪, ১৮৯৬, ১৯০৫, ১৯৬২
- ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ খেতাবঃ ১
- ১৮৯৩
- ইউরোপীয়ান কাপ (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ) খেতাবঃ ৬
- ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৪, ২০০৫,২০১৯
- উয়েফা কাপঃ ৩
- ১৯৭৩, ১৯৭৬, ২০০১
- এফএ কাপঃ ৭
- ১৯৬৫, ১৯৭৪, ১৯৮৬, ১৯৮৯, ১৯৯২, ২০০১, ২০০৬
- এফএ যুব কাপঃ ২
- ১৯৯৬, ২০০৬
- লীগ কাপঃ ৮
- ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৯৫, ২০০১, ২০০৩, ২০১২
- কমিউনিটি শিল্ডঃ ১৫
- ১৯৬৪ (যৌথ), ১৯৬৫ (যৌথ), ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৭৭ (যৌথ), ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৬ (যৌথ), ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০ (যৌথ), ২০০১, ২০০৬
- ইউরোপীয়ান সুপার কাপঃ ৩
- ১৯৭৭, ২০০১, ২০০৫
- সুপার কাপঃ ১
- ১৯৮৬
তথ্যসূত্র
- "Happy birthday LFC? Not quite yet..."। Liverpool F.C। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪।
Liverpool F.C. was born on 3 June 1892. It was at John Houlding's house in Anfield Road that he and his closest friends left from Everton FC, formed a new club.
- "Premier League Handbook Season 2013/14" (PDF)। Premier League। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- এই দিনে - ২৯ মে ১৯৮৫ বিবিসি অনলাইন - news.bbc.co.uk
- এই দিনে - ১৫ এপ্রিল ১৯৮৯ বিবিসি অনলাইন - news.bbc.co.uk
- যুগ্ম ম্যানেজার
- তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত
- হাউলির অক্টোবর ২০০১ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০০২ পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত কারনে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় ফিল থম্পসন অস্থায়ী ম্যানেজার (খে৩৩ জ১৬ ড্র১২ প৫) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পরিসংখ্যান হাউলির রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।