লুইস সুয়ারেজ
লুইস আলবার্তো সুয়ারেজ ডিয়াজ (স্প্যানিশ উচ্চারণ: [lwis swaɾes]) (জন্মঃ ২৪ শে জানুয়ারী ১৯৮৭) হলেন একজন উরুগুয়ের ফুটবলার। তিনি লা লিগার ক্লাব বার্সেলোনা হয়ে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন।
![]() ২০১৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে সুয়ারেজ। | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লুইস আলবার্তো সুয়ারেজ ডিয়াজ | ||
জন্ম | ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৭ | ||
জন্ম স্থান | সাল্টো, উরুগুয়ে | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | বার্সেলোনা | ||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন | |||
২০০৩-২০০৫ | নাসিওনাল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | |||
বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† |
২০০৫-২০০৬ | নাসিওনাল | ২৭ | (১০) |
২০০৬-২০০৭ | গ্রোনিঙ্গেন | ২৯ | (১০) |
২০০৭-২০১১ | আয়াক্স | ১১০ | (৮১) |
২০১১-২০১৪ | লিভারপুল | ১১০ | (৬৯) |
২০১৪- | বার্সেলোনা | ১৪০ | (১১৭) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬-২০০৭ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ | ৪ | (২) |
২০১২ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ | ৩ | (৩) |
২০০৭- | উরুগুয়ে | ১০৩ | (৫৩) |
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। |
সুয়ারেজ তার পেশাদার জীবন শুরু করেন উরুগুয়ের ন্যাসিওনাল এর হয়ে ২০০৫ সালে। ২০০৬ সালে তিনি যোগ দেন নেদারল্যান্ডের গ্রোনিঙ্গেন ক্লাবে যোগ দেন। ২০০৭ সালে তিনি আরেক ডাচ ক্লাব আয়াক্স এ যোগ দেন ও ২০১১ পর্যন্ত সেখানে খেলেন। ২০১১ সালে সুয়ারেজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এর দল লিভারপুল এ যোগ দেন। সেখানে তিনি ২০১৪ পর্যন্ত কাটান। ২০১৪ সালে লুইস সুয়ারেজ স্পেনের লা লিগার দল বার্সেলোনায় যোগ দেন। ২৫ অক্টোবর ২০১৪ বার্সেলোনার হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এর বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।
লুইস সুয়ারেজ উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭, তার উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক হয় কলম্বিয়ার বিপক্ষে। তিনি উরুগুয়ের হয়ে এ পর্যন্ত ৮২ ম্যাচ খেলে ৪৩ গোল করেছেন।
পরিসংখ্যান
ক্লাব
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ[lower-alpha 1] | লিগ কাপ | মহাদেশীয় | অন্যান্য | মোট | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিভাগ | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
নাসিওনাল | ২০০৫-০৬[1] | প্রিমেরা ডিভিশন | ২৭ | ১০ | – | — | ৩[lower-alpha 2] | ০ | ৪[lower-alpha 3] | ২ | ৩৪ | ১২ | ||
মোট | ২৭ | ১০ | – | — | ৩ | ০ | ৪ | ২ | ৩৪ | ১২ | ||||
গ্রোনিঙ্গেন | ২০০৬-০৭ | এরেদিভিসিয়ে | ২৯ | ১০ | ২ | ১ | — | ২[lower-alpha 4] | ১ | ৪[lower-alpha 5] | ৩ | ৩৭ | ১৫ | |
মোট | ২৯ | ১০ | ২ | ১ | – | ২ | ১ | ৪ | ৩ | ৩৭ | ১৫ | |||
আয়াক্স | ২০০৭-০৮ | এরেদিভিসিয়ে | ৩৩ | ১৭ | ৩ | ২ | — | ৪[lower-alpha 6] | ১ | ৪[lower-alpha 5] | ২ | ৪২ | ২২ | |
২০০৮-০৯ | ৩১ | ২২ | ২ | ১ | — | ১০[lower-alpha 4] | ৫ | – | ১৩ | ২৮ | ||||
২০০৯-১০ | ৩৩ | ৩৫ | ৬ | ৮ | — | ৯[lower-alpha 7] | ৬ | – | ৪৮ | ৪৯ | ||||
২০১০-১১ | ১৩ | ৭ | ১ | ১ | — | ৯[lower-alpha 8] | ৪ | ১[lower-alpha 9] | ০ | ২৪ | ১২ | |||
মোট | ১১০ | ৮১ | ১২ | ১২ | — | ৩২ | ১৬ | ৫ | ২ | ১৫৯ | ১১১ | |||
লিভারপুল | ২০১০-১১ | প্রিমিয়ার লীগ | ১৩ | ৪ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | – | ১৩ | ৪ | |
২০১১-১২ | ৩১ | ১১ | ৪ | ৩ | ৪ | ৩ | – | ৩৯ | ১৭ | |||||
২০১২-১৩ | ৩৩ | ২৩ | ২ | ২ | ১ | ১ | ৮[lower-alpha 7] | ৪ | – | ৪৪ | ৩০ | |||
২০১৩-১৪ | ৩৩ | ৩১ | ৩ | ০ | ১ | ০ | – | ৩৭ | ৩১ | |||||
মোট | ১১০ | ৬৯ | ৯ | ৫ | ৬ | ৪ | ৮ | ৪ | – | ১৩৩ | ৮২ | |||
বার্সেলোনা | ২০১৪-১৫ | লা লিগা | ২৭ | ১৬ | ৬ | ২ | — | ১০[lower-alpha 8] | ৭ | – | ৪৩ | ২৫ | ||
২০১৫-১৬ | ৩৫ | ৪০ | ৪ | ৫ | – | ৯[lower-alpha 8] | ৮ | ৫[lower-alpha 10] | ৬ | ২০ | ১৮ | |||
২০১৬-১৭ | ৩৫ | ২৯ | ৬ | ৪ | — | ৯[lower-alpha 8] | ৩ | ১[lower-alpha 11] | ১ | ৫১ | ৩৭ | |||
২০১৭-১৮ | ৩৩ | ২৫ | ৬ | ৫ | — | ১০[lower-alpha 8] | ১ | ২[lower-alpha 11] | ০ | ৫১ | ৩১ | |||
মোট | ১৩০ | ১১০ | ২২ | ১৬ | — | ৩৮ | ১৭ | ৮ | ৭ | ১৯৮ | ১৫২ | |||
সর্বমোট | ৪০৬ | ২৮০ | ৪৫ | ৩৪ | ৬ | ৪ | ৮৩ | ৪০ | ২১ | ১৪ | ৫৬১ | ৩৭২ |
- কেএনভিবি কাপ, এফএ কাপ ও কোপা দেল রে-এ উপস্থিতি
- কোপা লিবার্তাদোরেসে উপস্থিতি
- উরুগুয়ান প্রিমেরা বিভাগের প্লে-অফে দুটি উপস্থিতি ও দুটি গোল
- উয়েফা কাপ-এ উপস্থিতি
- এরেদিভিসি প্লে-অফে উপস্থিতি
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ-এ দুটি উপস্থিতি ও একটি গোল এবং উয়েফা কাপে দুটি উপস্থিতি
- উয়েফা ইউরোপা লীগ-এ উপস্থিতি
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ-এ উপস্থিতি
- ইয়োহান ক্রুইফ শিল্ডে উপস্থিতি
- উয়েফা সুপার কাপ-এ একটি উপস্থিতি ও একটি গোল, সুপারকোপা দে এস্পানায় দুটি উপস্থিতি, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ-এ দুটি উপস্থিতি ও পাঁচটি গোল
- সুপারকোপা দে এস্পানায় উপস্থিতি
আন্তর্জাতিক
- ২০শে জুন ২০১৮ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
উরুগুয়ে জাতীয় দল | ||
---|---|---|
বছর | উপস্থিতি | গোল |
২০০৭ | ৬ | ২ |
২০০৮ | ১০ | ৪ |
২০০৯ | ১২ | ৩ |
২০১০ | ১১ | ৭ |
২০১১ | ১৩ | ১০ |
২০১২ | ৮ | ৩ |
২০১৩ | ১৬ | ৯ |
২০১৪ | ৬ | ৫ |
২০১৬ | ৮ | ৩ |
২০১৭ | ৫ | ২ |
২০১৮ | ৮ | ৪ |
সর্বমোট | ১০৩ | ৫৩ |
অর্জনসমূহ
ক্লাব

- নাসিওনাল
- উরুগুয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশনঃ ২০০৫-০৬
- আয়াক্স
- এরেদিভিসিয়ে: ২০১০-১১
- কেএনভিবি কাপ: ২০০৯-১০
- লিভারপুল
- লিগ কাপ: ২০১১-১২
- বার্সেলোনা
- লা লিগা: ২০১৪-১৫, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮
- কোপা দেল রে: ২০১৪-১৫, ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-২০১৮
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ: ২০১৪-১৫
- উয়েফা সুপার কাপ: ২০১৫
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০১৫
ব্যাক্তিগত
- উয়েফা লা লিগা মৌসুমসেরা দল: ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭
- ফিফা ফিফপ্রো একাদশ: ২০১৬
- ফিফা ফিফপ্রো একাদশ দ্বিতীয় দল: ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭
- লা লিগা মাসসেরা খেলোয়াড়: মে ২০১৬, ডিসেম্বর ২০১৭
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল: ২০১৫
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ গোল্ডেন বুট: ২০১৫
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যান অফ দ্য ম্যাচ: ২০১৫
- লা লিগা পিচিচি ট্রফি:২০১৫-১৬
- লা লিগা ওয়ার্ল্ড বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৫-১৬
- আইএফএফএইচএস বিশ্বসেরা শীর্ষ বিভাগের গোলদাতা: ২০১০, ২০১৪, ২০১৬
- বার্সেলোনা বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৫-১৬
- পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৩-১৪
- এফডব্লিউএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৩-১৪
- ইউরোপীয় গোল্ডেন শু: ২০১৩-১৪*, ২০১৫-১৬
- প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম সেরা খেলোয়াড়: ২০১৩-১৪
- এফএসএফ বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৩-১৪
- ডাচ বর্ষসেরা ফুটবলার: ২০০৯-১০
- ইএসএম বর্ষসেরা দল: ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬
- পিএফএ বর্ষসেরা দল: ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪
- প্রিমিয়ার লিগ মাসের সেরা খেলোয়াড়: ডিসেম্বর ২০১৩, মার্চ ২০১৪
- প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট: ২০১৩-১৪
- প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট ল্যান্ডমার্ক অ্যাওয়ার্ড ১০: ২০১২-১৩
- প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট ল্যান্ডমার্ক অ্যাওয়ার্ড ২০: ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪
- প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট ল্যান্ডমার্ক অ্যাওয়ার্ড ৩০: ২০১৩-১৪
- এরেদিভিসিয়ে গোল্ডেন বুট: ২০০৯-১০
- কেএনভিবি কাপ সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২০০৯–১০
- ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২০১৪ (কনমবেল অঞ্চল)
- কোপা আমেরিকা সেরা খেলোয়াড়: ২০১১
- আয়াক্স বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০
- আয়াক্স সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০
- লিভারপুল বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪
- লিভারপুল সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪
- ট্রফিয়ো ইএফই বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১৪-১৫
- উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় (২য় স্থান): ২০১৫
- উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বর্ষসেরা দল: ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬
(*ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সাথে যৌথভাবে)
তথ্যসূত্র
- Luis Suarez ক্যারিয়ার তথ্য
- "Uruguay – L. Suárez"। Soccerway। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৮।