মধুভাত
মধুভাত একধরনের শীতকালীন মিষ্টান্ন খাবার যা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি। মূলত চাল, নারকেল, দুধ এবং চিনির সমন্বয়ে এটি তৈরি করা হয়। মধুভাতের প্রধান বৈশিষ্ঠ হল এই ভাত রাতে রান্না করে, পরদিন সকালে পরিবেশন করা হয় এবং খেতে হয় খালি পেটে। আরেকটি বিশেষত্ব হল এই শর্করা জাতীয় খাবার দীর্ঘক্ষণ ঢেকে রাখার ফলে গাঁজন পক্রিয়ার এতে কিছুটা অ্যালকোহল উৎপাদিত হয়, ফলে মধুভাত খাবার পর ঝিমুনি আসে। এই কারণে চট্টগ্রামে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে ছয় থেকে আট ঘন্টা বা অধিক সময় ধরে গাঁজন পক্রিয়ার রাখা হলে এতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।[1]
উপকরণ
মধুভাত তৈরির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে প্রধান উপকরণ হলো বিনি বা বিন্নি চাল (কালিজিরা চাল নামেও পরিচিত) এবং জালা চালের গুঁড়া। জালা চাল এক ধরনের চাল যা অঙ্কুরিত বা বীজ ধানের থেকে পাওয়া যায় এবং এই চাল সাধারণত মিষ্টি হয়ে থাকে। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে নারিকেল, দুধ, চিনি এবং লবণ।[2]
রীতি
চট্টগ্রামে সাধারণত বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের অংশ হিসেবে মধুভাত তৈরি করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে আশ্বিন-কাার্তিক মাসে কলসি করে মধুভাত পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "চকরিয়ায় \'মধুভাত\' খেয়ে পরিবারের ১৪ জন বেহুঁশ"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১১ নভেম্বর ২০১৩। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
- আনার সোহেল (৩০ এপ্রিল ২০১৬)। "এই গরমে ঠাণ্ডা মধুভাত"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।