হরিকেল
হরিকেল (সিলেটি: ꠢꠞꠤꠇꠦꠟ) ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত প্রাচীন বাংলায় সম্রাজ্য। মূলত এটি প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ।

![]() |
গঙ্গারিডাই, বঙ্গ, পুণ্ড্র, সুহ্ম, অঙ্গ, হরিকেল |
পাল সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য |
বাংলা সুলতানী, দেব রাজ্য বখতিয়ার খিলজি, রাজা গণেশ, জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ, হুসেন শাহী রাজবংশ |
কন্দর্প রায়, প্রতাপাদিত্য, রাজা সীতারাম রায় বাংলার নবাব, বারো ভুঁইয়া, রাণী ভবাণী |
পলাশীর যুদ্ধ, জমিদারী ব্যবস্থা, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর |
বাংলার নবজাগরণ ব্রাহ্মসমাজ স্বামী বিবেকানন্দ, জগদীশচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু |
বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমান, জ্যোতি বসু, বিধানচন্দ্র রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা |
ইতিহাস
খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে প্রাচীন ভারতীয় লেখকগণ পূর্বভারতীয় একটি অঞ্চলকে হরিকেল বলে উল্লেখ করেন। সপ্তম শতাব্দীতে চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এর অবস্থান নির্দেশ করেছেন পূর্বভারতের পূর্বসীমায়। নবম শতাব্দীর সাহিত্যকর্ম কর্পূরমঞ্জরীতে এ-বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায়। এ-গ্রন্থে হরিকেলের নারীদের পূর্ব বঙ্গীয় নারীদের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়। তবে হিউয়েন সাঙ কিংবা অন্য কেউ এর ভৌগোলিক অবস্থান সমপর্কে বিশদ কোনো বিবরণ দেন নি। এছাড়াও হরিকেল সম্পর্কে পরবর্তী সমযে়র লেখক এবং কাহিনীকারদের বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। ফলে বিলুপ্ত এ-রাজ্যের অবস্থান নিরৃপণ ও শনাক্তীকরণে জটিলতা বৃদ্ধি পেযে়ছে। দ্বাদশ শতাব্দীর অভিধান রচযি়তা হেমচন্দ্র তার অভিধানচিন্তামণিতে হরিকেলকে বঙ্গের সমকক্ষরৃপে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশববিদ্যালযে়র গ্রন্থাগারে সংগৃহীত দুটি পরবর্তীসমযে়র পাণ্ডুলিপিতে কোন উৎস বা কোন প্রমাণাদির উল্লেখ ছাড়াই হরিকোলকে (সম্ভবত হরিকেলের সাথে অভিন্ন) সিলেটের সমার্থক রূপে উল্লেখ করা হযে়ছে।[1]
উৎস
- এম হারূনুর রশীদ। "হরিকেল"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৩, ২০১৪।
তথ্যসূত্র
- রমেশচন্দ্র মজুমদার (১৯৪৩)। বাংলার ইতিহাস। ঢাকা: বি আর পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ১৬–১৮, ১৩৪–১৩৫। আইএসবিএন 81-7646-237-3।
- নগেন্দ্র কে আর, সিং (২০০৩)। বাংলাদেশের এনসাইক্লোপিডিয়া। আনমোল প্রকাশনা প্রাইভেট লিমিটেড। আইএসবিএন 81-261-1390-1।