চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অবস্থিত চিড়িয়াখানা।[3] এটি শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে পাহাড়তলী ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাহাড়ের পাদদেশে ছয় একর ভূমির উপর অবস্থিত।
![]() চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ফটক | |
খোলার তারিখ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯[1] |
---|---|
অবস্থান | ফয়েজ লেক, খুলশী, চট্টগ্রাম |
স্থানাঙ্ক | ২২°২২′০″ উত্তর ৯১°৪৭′৪৬″ পূর্ব |
আয়তন | ৬ একর |
প্রাণীর সংখ্যা | ৩২০[2] |
প্রজাতির সংখ্যা | ৬৭[2] |
বার্ষিক পরিদর্শক | ৪৩৮,০০০[1] |
প্রধান প্রদর্শনসমূহ | ভারতীয় সিংহ, এশিয়ান কালো ভাল্লুক, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ সরকার |
ওয়েবসাইট | চিড়িয়াখানা chittagong.gov.bd |
ইতিহাস
১৯৮৮ সালে, চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য অভিজাত ব্যক্তিবর্গ প্রাথমিকভাবে ফয়েজ লেকে চিত্তবিনোদন, শিক্ষা এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।[1][4] পরবর্তিতে ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই চিড়িয়াখানা সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়।[2][5] প্রথমদিকে এক টিকিটেই চিড়িয়াখানা এবং ফয়’স লেকে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও ১৯৯৫ সালে দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি বাড়তি লাভের বিষয়টি বিবেচনা করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুইটি আলাদা গেটে পৃথক টিকিটের মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা করে। ১৯৮৯ সালে চিড়িয়াখানা উদ্বোধনের পর টিকিটের মূল্য ছিল ১ টাকা। পরর্তীতে তা বৃদ্ধি করা হয় ২ টাকা এভাবে পশু-পাখির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে টিকিটের দামও। বর্তমানে প্রতি টিকিটের দাম ৩০ টাকা।[6]
জীবজন্তু
বর্তমানে এখানে ৭২ প্রজাতির সর্বমোট ২৮০টি প্রাণী রয়েছে; যার মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৮ প্রজাতির পাখি এবং ৪ প্রজাতির সরীসৃপ। ২০০০ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানকার প্রাণীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০টি, তবে গত ৭ বছরে মাত্র ৩০টি নতুন প্রাণী যোগ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্যারা হরিণ, ধনেশ, তিতির, মুখপোড়া হনুমান প্রভৃতি।[4]
২০১৫ সালে, এই চিড়িয়াখানায় সর্বমোট প্রাণীর সংখ্যা ছিল ৩২০।[2]
বিভাগ | প্রজাতির সংখ্যা | প্রাণীর সংখ্যা |
---|---|---|
স্তন্যপায়ী | ২৮ | - |
পাখি | ৩৫ | - |
সরীসৃপ | ৪ | - |
সর্বমোট | ৬৭ | ২০০[2] |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"। উইকিম্যাপিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭।
- Uddin, Minhaj (৮ মার্চ ২০১৫)। "Sharp decline of visitors at Chittagong Zoo"। The Daily Star। Chittagong। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২২, ২০১৬।
- "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"। tripadvisor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭।
- "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"। chittagong.gov.bd। চট্টগ্রাম: chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৫।
- হাজার বছরের চট্টগ্রাম, দৈনিক আজাদী ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেস সংখ্যা, নভেম্বর ১৯৯৫, চট্টগ্রাম
- কাশেম শাহ (আগস্ট ১৭, ২০১৪)। "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা : এখনো আগের মতোই"। দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রা্ম। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিভ্রমণে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |