বাঙলা কলেজ
সরকারি বাঙলা কলেজ বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ যা ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে মাধ্যম হিসেবে পরিচয় করার চাহিদা থেকে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।[1]
![]() | |
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ১ অক্টোবর ১৯৬২ |
অধ্যক্ষ | ডাঃ ফেরদৌসী খান |
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা | ২১ |
প্রশাসনিক কর্মকর্তা | ৪০০ |
স্নাতক | ২৫,০০০ |
স্নাতকোত্তর | ৫,০০০ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | www.sarkaribanglacollege.gov.bd |
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিকসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে কলেজটিকে সরকারিকরন করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভূক্ত করে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ খ্রিঃ হতে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত করা হয়।
ইতিহাস
প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন ভাষা সৈনিক যিনি ১৯৬২ সালে বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৪ সালে বাঙলা কলেজ মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়। এর আগে প্রতিষ্ঠাকালীন বছরে এর ক্লাস হতো নবকুমার ইন্সটিটিউটে রাতের শিফটে।[2] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা বাঙলা কলেজকে একটি বধ্যভূমি হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরুতে শিক্ষিত বাঙালি বিদ্বান ব্যক্তিদের কেউ কেউ বিরোধিতায় নেমেছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া করলে ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এমনকি ‘বাঙলা মৌলবি’ জন্ম হবে বলেও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাঙলা মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ'র সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর অবাঙালি বিহারীরা বাঙলা কলেজ দখল করে নেয়। দীর্ঘ নয় মাস অবরুদ্ধ ছিল এ কলেজটি, কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে এ সময় ‘উর্দু কলেজ’ সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
বিভাগ ও অনুষদসমূহ
- বিজ্ঞান অনুষদ
- রসায়ন বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ
- প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ
- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
- ইংরেজি বিভাগ
- বাংলা বিভাগ
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
- সমাজকর্ম বিভাগ
- ইতিহাস বিভাগ
- দর্শন বিভাগ
- ইসলামিক স্টাডিজ
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
- বাণিজ্য অনুষদ
- হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ
- অর্থনীতি বিভাগ
- মার্কেটিং বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণী
- বিজ্ঞান
- বাণিজ্য ও
- মানবিক
আবাসন ও যাতায়াত ব্যবস্থা
- যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
ঢাকার মিরপুর ১ দারুস সালাম বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০ গজ দক্ষিণে রাস্তার পশ্চিম পাশে সরকারী বাংলা কলেজের অবস্থান। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এর অবস্থান বলে যেকোনো যায়গা হতেই সহজেই কলেজে আসা যাওয়া করা যায়। কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে "বিজয়" নামের একটি বাস যা শিডিউল অনুযায়ী শহরের নির্ধারিত রুট হতে ছাত্র/ছাত্রীদের কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে এবং ক্যাম্পাস হতে নিয়ে যায়। এছাড়াও ক্যাম্পাসের রুটে অনেক লোকাল ও সিটিং সার্ভিস বাস ও বি আর টি সি বাস প্রতিনিয়ত চলাচল করে। যা ব্যবহার করেও ছাত্র/ছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করে থাকে।
- আবাসন ব্যবস্থাঃ
বর্তমানে কলেজটিতে আবাসিক ভাবে থাকার জন্য শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য "প্রিন্সিপাল অাবুল কাশেম হল" নামের একটি হল আছে। সম্প্রতি সময়ে সরকারি অনুদানে আরেকটি হল তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Mahmud, Akif bin, Principal Abul Kashem: Matrivashake gire je full bekoseto. The Weekly Bangla Patrika, Friday March 24, 2006
- Nabakumar Institute, Banglapedia