সরকারী তিতুমীর কলেজ

সরকারি তিতুমীর কলেজ বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[1] সে সময় কলেজটি জিন্নাহ কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলেজটির নাম পরিবর্তন করে তিতুমীর কলেজ রাখা হয়। কলেজটি ঢাকা শহরের বনানী থানার অন্তর্ভূক্ত মহাখালী এলাকায় অবস্থিত।

সরকারি তিতুমীর কলেজ
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
ধরনসরকারি
স্থাপিত১৯৬৮
অধ্যক্ষপ্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন
ডিন
পরিচালকঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা
২৫০ +
প্রশাসনিক কর্মকর্তা
২১৫
শিক্ষার্থী৫০০০০+
স্নাতকবিএ,বিবিএ,বিএসসি
স্নাতকোত্তরএমএ,এমবিএ,এমএসসি
অবস্থান
বীর উওম এ.কে খন্দকার রোড মহাখালী ঢাকা-১২১৩
,
২৩.৭৮১৫৯৬° উত্তর ৯০.৪০৩৬৮৬° পূর্ব / 23.781596; 90.403686
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
সংক্ষিপ্ত নামজিটিসি
অধিভুক্তিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন , ভলিবল
ওয়েবসাইটwww.titumircollege.gov.bd

প্রতিষ্ঠার সময় কলেজটিতে শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে ক্লাস নেয়া হত, তবে বর্তমানে এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতোকত্তর শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।[2]

ইতিহাস

'জিন্নাহ কলেজ' নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করেন এবং এর নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' প্রস্তাব করেন।২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ্ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' হিসেবে চূড়ান্ত হয়।ঐ রাতেই 'তিতুমীর কলেজ' নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয় এবং দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়।এলাকার কিছু যুবক তিতুমীর নামকরণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

বিভাগ ও অনুষদসমূহ

সরকারী তিতুমীর কলেজে শুরুর দিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত চালু থাকলেও পরবর্তিতে উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং চাহিদা অনুসারে এখন শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণী সমূহ চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগ এই কলেজে চালু ছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত হওয়ার পরও পূর্বের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে যেসকল বিভাগ চালু রয়েছেঃ

বিজ্ঞান অনুষদ
  • পদার্থ বিজ্ঞান
  • রসায়ন
  • গণিত
  • প্রাণিবিজ্ঞান
  • উদ্ভিদ বিজ্ঞান
  • মনোবিজ্ঞান
  • পরিসংখ্যান
  • ভূগোল ও পরিবেশ
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
বাণিজ্য অনুষদ
  • হিসাব বিজ্ঞান
  • ব্যবস্থাপনা
  • মার্কেটিং
  • ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • ইতিহাস
  • দর্শন
  • সমাজ বিজ্ঞান
  • ইসলাম শিক্ষা
  • সমাজকর্ম
  • ইসলামের ইতিহাস ও সংকৃতি
  • অর্থনীতি
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান

লাইব্রেরী

প্রতিটি অনুষদের নিজস্ব গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী রয়েছে। এখানে ১৭০০০ বই সংগ্রহে রয়েছে। গ্রন্থাগারটির অবস্থান বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায়।

আবাসিক ব্যবস্থা

কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে; এগুলো হলোঃ

  • আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস।
  • সুফিয়া কামাল ছাত্রী নিবাস।
  • সিরাজ ছাত্রী নিবাস।

সংগঠন

তথ্যসূত্র

  1. Government Titumir College. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে Explore Dhaka. Retrieved 8 August 2012.
  2. websites.titumir College

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.