গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা (সিলেটী: ꠉꠥꠟꠣꠙꠉꠘ꠆ꠎ ꠙꠅꠃꠞꠡꠜꠣ) বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার অধীনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা।[1]
গোলাপগঞ্জ | |
---|---|
পৌরসভা | |
ডাকনাম: ꠉꠥꠟꠣꠙꠉꠘ꠆ꠎ | |
![]() ![]() গোলাপগঞ্জ | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫১′৩৬″ উত্তর ৯২°১′২৮″ পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সিলেট জেলা |
উপজেলা | গোলাপগঞ্জ উপজেলা |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৪.৯৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | http://golapganj.sylhet.gov.bd/ |
প্রশাসনিক তথ্য
বর্তমান মেয়র হিসাবে নিয়োজিত আছেন আমিনুল ইসলাম রাবেল।
জনপরিসখ্যান
পৌরসভার আয়তন ১৫.২৯ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৩৩,৯৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬,৬২৪ জন ও মহিলা ১৭,৩২৭ জন।
মৌজা
মৌজা সংখ্যা ৬ টিসহ আরো ৩টি আংশিক মৌজা রয়েছে। মৌজাগুলো হলো
- সরস্বতী
- টিকরবাড়ী
- দাড়িপাতন
- ঘোগারকুল
- রণকেলী
- বাদে রণকেলী
আংশিক মৌজাগুলো হলো
- ফুলবাড়ী
- ঘোষগাঁও
- বারকোট
গ্রাম
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার গ্রাম সংখ্যা ২০টি। গ্রামগুলো হলো-
- ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া
- ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া
- ছিটাফুলবাড়ী
- ঘোষগাঁও (আংশিক)
- কামারগাঁও
- সরস্বতী
- নিজগঞ্জ
- দাড়িপাতন
- টিকরবাড়ী
- ঘোগারকুল পূর্বপাড়া
- ঘোগারকুল পশ্চিমপাড়া
- রণকেলী উত্তর
- রণকেলী দিঘিরপাড়
- রণকেলী নুরুপাড়া
- রণকেলী ইয়াগুল
- রণকেলী নয়াটুল
- রণকেলী দক্ষিণভাগ
- উপর বারকোট (একাংশ)
- বাদে রণকেলী
- রণকেলী নয়াগ্রাম
ওয়ার্ডভিত্তিক আয়তন ও জনসংখ্যা
ওয়ার্ড | আয়তন | জনসংখ্যা |
---|---|---|
১ নং ওয়ার্ড | ০.৭৭ বর্গকিলোমিটার | ৪,২৭৬ জন |
২ নং ওয়ার্ড | ১.১৪ বর্গকিলোমিটার | ৩,৬১৬ জন |
৩ নং ওয়ার্ড | ১.০২ বর্গকিলোমিটার | ১,৮৭৮ জন |
৪ নং ওয়ার্ড | ১.৩৫ বর্গকিলোমিটার | ৩,৬৩৩ জন |
৫ নং ওয়ার্ড | ২.১২ বর্গকিলোমিটার | ৩,৬০৮ জন |
৬ নং ওয়ার্ড | ২.৮১ বর্গকিলোমিটার | ৩,৭৮৬ জন |
৭ নং ওয়ার্ড | ২.৭৪ বর্গকিলোমিটার | ৪,১৮১ জন |
৮ নং ওয়ার্ড | ২.২৬ বর্গকিলোমিটার | ৩,৭১৩ জন |
৯ নং ওয়ার্ড | ১.০৮ বর্গকিলোমিটার | ৩,৫৫৩ জন |
গোলাপগঞ্জ পৌর সদরে অবস্থিত সরকারী, বে-সরকারী বিভিন্ন দপ্তর, ব্যাংক-বীমা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, থানা কমপ্লেক্স ও কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ইত্যাদি।
ইতিহাস
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালে তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা (২০০১) ছিল। এটি ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা এবং ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে গোলাপগঞ্জ পৌরসভাই হচ্ছে সিলেট জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম পৌরসভা। যা রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ৪৬.০৬৪.০২৮.২৭.১৪.৩৩৬/২০১১/৩৮২ নং স্মারকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত করা হয়।[2]
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
- আব্দুল হামিদ চৌধুরী সোনা মিয়া (১৮৮৯-১৯৫৭), গোলাপগঞ্জের প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ১৯২৭ সালে আসাম প্রদশিক পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনের ২৫ বছর পূর্বে তিনি ১৯২৭ সালের ৫ অক্টোবর আসাম পার্লামেন্টে সর্বপ্রথম তিনি বাংলায় বক্তব্য রাখেন।
- আল্লামা আব্দুল মতিন চৌধুরী, শায়েখে ফুলবাড়ি । (১৯১৫-১৯৯০)
- মাওলানা ছেবাত আহমদ চৌধুরী (১৯৪৫-১৯৯৮),ঘোগারকুল (ফটাউলী)৬নং ওয়ার্ড,তিনি একজন বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবীদ ছিলেন।
- মরহুম আব্দুল খালিক চৌধুরী ছাবু মিয়া,রণকেলী উত্তর,তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি দু'মেয়াদে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যানেরর দায়িত্ব পালন করেন।
- সিরাজুল জব্বার চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তিনি ৩১ শে মে ২০১৮ তারিখ মৃত্যু বরণ করেন । রণকেলী উত্তর, ৭নং ওয়ার্ড।
- জাকারিয়া আহমদ পাপলু, প্রাক্তন মেয়র।
তথ্যসূত্র
- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে গোলাপগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "আমাদের সিলেট"। আমাদের সিলেট। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬।