হেলমুট কোল

ড. হেলমুট জোসেফ মাইকেল কোল (জার্মান: Helmut Josef Michael Kohl; ৩ এপ্রিল, ১৯৩০ - ১৬ জুন, ২০১৭) জার্মানির বিশিষ্ট রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ও জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত রাইনল্যান্ড-প্যালেটাইনেট প্রদেশের মিনিস্টার-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে সংযুক্ত জার্মান প্রজাতন্ত্রের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। জার্মানির পুণঃএকত্রিকরণে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখেন ও ইউরোপের একতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার দল ক্রিস্টিয়ান-ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-এর অনুদান সম্পর্কীত বিষয়ে জড়িত ছিলেন। দলের আইনের বিরুদ্ধে তিনি নীতিগত অবস্থান রাখতেন যা রাখঢাক রেখে চলতেন না।

হেলমুট কোল
জার্মানির চ্যান্সেলর
কাজের মেয়াদ
১ অক্টোবর, ১৯৮২  ২৭ অক্টোবর, ১৯৯৮*
রাষ্ট্রপতিকার্ল কারস্টেনস
রিচার্ড ভন বেইসাকার
রোমান হারজগ
ডেপুটিহ্যান্স-ডাইট্রিখ জেনসার
জার্গন মোলমান
ক্লজ কিনকেল
পূর্বসূরীহেলমুট স্মিট
উত্তরসূরীগারহার্ড স্রোডার
রাইনল্যান্ড-প্যালেটাইনেট প্রদেশের মিনিস্টার-প্রেসিডেন্ট
কাজের মেয়াদ
১৯ মে, ১৯৬৯  ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৬
পূর্বসূরীপিটার আল্টমেয়ার
উত্তরসূরীবার্নহার্ড ভগেল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মহেলমুট জোসেফ মাইকেল কোল
(১৯৩০-০৪-০৩)৩ এপ্রিল ১৯৩০
লাডবিগশাফেন, জার্মানি
মৃত্যু১৬ জুন ২০১৭(2017-06-16) (বয়স ৮৭)
লাডবিগশাফেন, জার্মানি
রাজনৈতিক দলসেন্টার পার্টি (১৯৪৬-এর পূর্বে)
ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) (১৯৪৬ থেকে বর্তমান)
দাম্পত্য সঙ্গীহানেলোর রেনার (১৯৬০-২০০১)
মাইক রিখটার (২০০৮-বর্তমান)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীহাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মরোমান ক্যাথোলিজম
স্বাক্ষর
  • ১ অক্টোবর, ১৯৮২ থেকে ৩ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ৩ অক্টোবর, ১৯৯০ থেকে ২৭ অক্টোবর, ১৯৯৮ তারিখ পর্যন্ত একীভূত জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৬০ সালে লাডবিগশাফেনের পৌর কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়লাভ করেন। সেখানেই তিনি সিডিইউ দলের নেতা হিসেবে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও, ১৯৬৩ সালে ল্যান্ডট্যাগ থেকে নির্বাচিত হন ও ঐ সংসদীয় আসন থেকে সিডিইউ’র নেতার ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সিডিইউ’র প্রাদেশিক শাখার প্রধান ছিলেন ও কেন্দ্রীয় সিডিইউ বোর্ডের সদস্য ছিলেন। দলের সভাপতি হিসেবে তিনি পিটার আলমেয়ারের স্থলাভিষিক্ত হন।

অটো ভন বিসমার্কের পর থেকে কোল দীর্ঘ ১৬ বছর জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ছিলেন। স্নায়ু যুদ্ধসহ জার্মানির পুণঃএকীকরণ দৃশ্য অবলোকন করেছেন। তন্মধ্যে জার্মানির পুণঃএকীকরণে প্রধান রূপরেখা প্রণয়নকারী হিসেবে তিনি বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরার সাথে ম্যাসট্রিখট চুক্তির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন।[1]

সম্মাননা

১৯৮৮ সালে হেলমুট কোল, ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরার সাথে যৌথভাবে সার্লেম্যাগনে পুরস্কার লাভ করেন।[2] ফ্রাঙ্কো-জার্মান বন্ধুত্ব ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবদান রাখায় একই সালে উভয়কে কার্লস্প্রিস প্রদান করা হয়।[2] আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৯৬ সালে তিনি সম্মানসূচক প্রিন্স অব অস্টারিয়াস পুরস্কার পান।[3] ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ সালে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব ও সহযোগিতায় অসাধারণ অবদান রাখায় কোলকে ইউরোপের সম্মানিত নাগরিকের পদবী প্রদান করা হয়। তার পূর্বে শুধুমাত্র জ্যঁ মনেটকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।[4][5]

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ এবং বিল ক্লিনটন তাকে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ ইউরোপীয় নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।[6][7]

তথ্যসূত্র

  1. Chambers, Mortimer। The Western Experience
  2. "Der Karlspreisträger 1988" (German ভাষায়)। Stiftung Internationaler Karlspreis zu Aachen। ২০ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০০৮
  3. "Helmut Kohl"। ২৯ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৩
  4. "European leaders honour Kohl"। BBC NEWS। ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৮।
  5. "Vienna European Council, 11 and 12 December 1998, Presidency Conclusions"। European Council। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০
  6. Time, Helmut Kohl, by George H. W. Bush
  7. M&C news, "Clinton praises Germany's Kohl at Berlin Award", by Deutsche Presse Agentur

বহিঃসংযোগ

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
হেলমুট স্মিত
জার্মানির চ্যান্সেলর
পশ্চিম জার্মানি: ১৯৮২-১৯৯০

১৯৮২-১৯৯৮
উত্তরসূরী
গারহার্ড স্রোডার
কূটনৈতিক পদবী
পূর্বসূরী
মার্গারেট থ্যাচার
জি৮ সভাপতি
১৯৮৫
উত্তরসূরী
ইয়াসুহিরো নাকাসোনে
পূর্বসূরী
জন মেজর
জি৮ সভাপতি
১৯৯২
উত্তরসূরী
কিচি মিয়াজাওয়া

টেমপ্লেট:GermanChancellors টেমপ্লেট:CDU/CSU chairmen টেমপ্লেট:RhinelandPalatinatePMs

টেমপ্লেট:Charlemagne Prize recipients

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.