টিনটোরেটোর যীশু (চলচ্চিত্র)
টিনটোরেটোর যীশু সন্দীপ রায় পরিচালিত ২০০৮ সালের বাংলা ভাষার ভারতীয় গোয়েন্দা চলচ্চিত্র।[2] সত্যজিৎ রায়ের একই নামের উপন্যাস থেকে ন্রিমিত চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক সন্দীপ রায়।[3] এটি নতুন ফেলুদা চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র এবং কৈলাসে কেলেঙ্কারির সিক্যুয়াল। এতে ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী[4] তোপসে চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং জটায়ু চরিত্রে বিভু ভট্টাচার্য[5]। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেন টোটা রায় চৌধুরী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।[6]
টিনটোরেটোর যীশু | |
---|---|
![]() টিনটোরেটোর যীশু চলচ্চিত্রের পোস্টার | |
পরিচালক | সন্দীপ রায় |
প্রযোজক | টি. সরকার প্রডাকশনস |
চিত্রনাট্যকার | সন্দীপ রায় |
উৎস | সত্যজিৎ রায় কর্তৃক টিনটোরেটোর যীশু |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সন্দীপ রায় |
চিত্রগ্রাহক | শশাঙ্ক পালিত |
সম্পাদক | সুব্রত রায় |
প্রযোজনা কোম্পানি | টি. সরকার প্রডাকশনস |
পরিবেশক | টি. সরকার প্রডাকশনস |
মুক্তি | ১২ ডিসেম্বর, ২০০৮[1] |
দৈর্ঘ্য | ১০০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹১.২৫ কোটি |
আয় | ₹১.২৫ কোটি |
কাহিনী সংক্ষেপ
নিয়োগী পরিবারের কাছে বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রকর টিনটোরেটোর আঁকা একটি ছবি ছিল। কিন্তু সেই পরিবারের একজন এর মূল্য জানতে পেরে তা চুরি করে এবং বিদেশী ক্রেতার কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ছবি চুরির পর তলব পরে ফেলুদার। ফেলুদা তার সঙ্গী তোপসে আর জটায়ুকে নিয়ে সেই পরিবারে যান এবং পরিবারের সবার খোঁজ-খবর নেন। তিনি অপরাধীর পিছু নিয়ে হংকং পর্যন্ত যান এবং সেখানের তার এক আত্মীয়ের সহায়তার অপরাধীকে খুঁজে পান।
কুশীলব
- সব্যসাচী চক্রবর্তী - ফেলুদা
- পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় - তোপসে
- বিভু ভট্টাচার্য - জটায়ু
- টোটা রায় চৌধুরী - রবিন/রাজশেখর নিয়োগী
- শিলাজিৎ মজুমদার - নন্দকুমার নিয়োগী/নকল রুদ্রশেখর নিয়োগী
- ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় - নবকুমার নিয়োগী
- বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী - হীরালাল সোমানি
- পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় - পূর্ণেন্দু
- সৈয়দ হাসান ইমাম
- মৃত্যুঞ্জয় হাজরা
- সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
- দেবেশ রায় চৌধুরী
- রাজারাম ইয়াগনিক
নির্মাণ
টিনটোরেটো ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী, তার প্রকৃত নাম জ্যাকব রবাস্টি। সত্যজিৎ রায় তার সম্পর্কে জানেন শান্তিনিকেতনে গিয়ে।[1] তিনি সেখানে হেন্ড্রি জেমসের কাছ থেকে টিনটোরেটোর আঁকা ক্রুসিফিক্সন (১৫৬৫) ছবির কথা জানতে পারেন। পরবর্তীতে তিনি তার গোয়েন্দা উপন্যাসে তাকে নিয়ে লিখেন। কিন্তু টিনটোরেটোর সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য না পাওয়ায় পরিচালক সন্দীপ রায় টিনটোরেটোর যীশুর ছবি আঁকান ভারতীয় চিত্রশিল্পী সাগর ভৌমিককে দিয়ে।[7]
হোম ভিডিও
টিনটোরেটোর যীশু চলচ্চিত্রের ডিভিডি বের হয় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।[7]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- মুখার্জি, চাঁদনী (২২ অক্টোবর ২০০৮)। "I Didn't Get Jesus by Tintoretto - Sandip Ray"। গোমোলো। ২৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "ফেলুদা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩০ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "'সবদিক থেকে একটা ব্র্যান্ড সত্যজিৎ রায়'"। বণিকবার্তা। দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। মে ০১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - মারিয়া, শান্তা (২০১৫-০৫-০২)। "পর্দার ফেলুদা"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "চলে গেলেন 'জটায়ু'"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ABP News। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "Role call for Ray thriller"। টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া। ডিসেম্বর ১২, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- মুখার্জি, চাঁদনী (৬ অক্টোবর ২০০৯)। "Kolkata's Tintoretto"। গোমোলো। ১৪ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭।