পাণিহাটি
পানিহাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। শহরটি কলকাতা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। পানিহাটি শহর কলকাতা মেট্রোপলিটান এলাকার অংশ। শহরটি বৈদ্যুতিক রেল এবং সড়কপথে কলকাতার সাথে যুক্ত। পানিহাটি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক কলকাতাতে কাজ করতে আসেন। পানিহাটিতে সুতির কাপড়ের কারখানা, ট্যানারি, এবং রাসায়নিক দ্রব্য, রবার, সিমেন্ট ও কাচের কারখানা আছে। এখানে চালের বড় বাজারও আছে। লোকালয়টি ১৯০০ সালে শহরের মর্যাদা পায়।
পাণিহাটি পানিহাটি | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২২.৬৯° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব | |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৩,৪৮,৩৭৯ |
১৫৬০-৭০ খ্রিস্টাব্দে রচিত জয়ানন্দের 'চৈতন্যমঙ্গল' কাব্যে পানিহাটির উল্লেখ রয়েছে:
পানিহাটি সম গ্রাম নাহি গঙ্গাতীরে।
বড় বড় সমাজ সব পতাকা মন্দিরে।।
ভৌগোলিক উপাত্ত
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৯° উত্তর ৮৮.৩৭° পূর্ব।[2] সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৩ মিটার (৪২ ফুট)।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পানিহাটি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৪৮,৩৭৯ জন।[3] এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পানিহাটি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
পানিহাটি ও হাংরি আন্দোলন
বাংলা সাহিত্য তোলপাড় করা বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের হাংরি আন্দোলন যাঁদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, অর্থাৎ, সমীর রায়চৌধুরী ও মলয় রায়চৌধুরীর মা অমিতা ছিলেন উনিশ শতকের বিজ্ঞানী, সমাজসংস্কারক ও বুদ্ধিজীবী কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কন্যা। রোনাল্ড রস-এর সহ-গবেষকরূপে ১৯০৩ সালে কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্রিটেনের সম্রাট স্বর্ণপদকে ভূষিত করেছিলেন। তাঁর তদানীন্তন বাড়ির নাম ছিল 'নীলামবাটী'।
তথ্যসূত্র
- ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন।
- "Panihati"। Falling Rain Genomics, Inc (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।
- "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে পানিহাটি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |