প্রোফেসর শঙ্কু

প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় চরিত্র। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু প্রোফেসর শঙ্কু নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি একজন বৈজ্ঞানিক ও আবিষ্কারক। তার বিশেষত্ব হল, মূলত পদার্থবিজ্ঞানী হলেও বিজ্ঞানের সকল শাখায় তার অবাধ গতি; তিনি ৬৯টি ভাষা জানেন, হায়ারোগ্লিফিক পড়তে পারেন, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়োর লিপি উনিই প্রথম পড়তে পারেন; এবং বিশ্বের সকল দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি ও বিশ্বসাহিত্য বিষয়ে তার সম্যক ধারণা রয়েছে।[1] প্রোফেসর শঙ্কু তীক্ষ্ণবুদ্ধি, নির্লোভ, সৎ ও স্বদেশপ্রেমিক; ভারতের সনাতন ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি শ্রদ্ধাবান এবং একই সঙ্গে শ্রদ্ধা করেন সমগ্র বিশ্বের প্রাচীন সাহিত্য ও শিল্পকেও।[1]

প্রফেসর শঙ্কু
শঙ্কু চরিত্র
প্রোফেসর শঙ্কু ও খোকা গল্পের সত্যজিৎ রায় কৃত অলংকরণ
প্রথম উপস্থিতি ব্যোমযাত্রীর ডায়রি
শেষ উপস্থিতি স্বর্ণপর্ণী
স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়
সম্পূর্ণ নাম প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু
বাসস্থান গিড়িডি, ঝাড়খন্ড
পোষ্য নিউটন (বিড়াল)
ভাষা জানেন ৬৯টি ভাষা জানেন
মাতৃভাষা বাংলা
তথ্য
ডাকনামতিলু
লিঙ্গপুরুষ
পেশাবৈজ্ঞানিক আবিষ্কারক; প্রথম জীবনে স্কটিশ চার্চ কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক
শিরোনামশঙ্কু
পরিবারশঙ্কু
দাম্পত্য সঙ্গীঅবিবাহিত
আত্মীয়আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু (পিতা)
বটুকেশ্বর শঙ্কু (অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ)
জাতীয়তাভারতীয়

সত্যজিৎ রায় প্রোফেসর শঙ্কু সিরিজে মোট ৩৮টি সম্পূর্ণ ও ২টি অসম্পূর্ণ গল্প লিখেছেন।[2] এই সিরিজের প্রথম গল্প ব্যোমযাত্রীর ডায়রি ১৯৬১ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।[2] এই গল্পটি হালকা চালে লেখা এবং এটি লেখার সময় লেখক প্রোফেসর শঙ্কু চরিত্রটি নিয়ে সিরিজ করার কথা ভাবেননি।[2] ১৯৬৪ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত দ্বিতীয় শঙ্কু-কাহিনি প্রোফেসর শঙ্কু ও হাড় থেকে যথাযথভাবে শঙ্কু সিরিজের সূচনা হয়।[2] ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত প্রোফেসর শঙ্কু শঙ্কু সিরিজের প্রথম গল্পগ্রন্থ। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে শঙ্কু সিরিজের মোট আটটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে শঙ্কুসমগ্র গ্রন্থে এই সিরিজের সকল গল্প সংকলিত হয়।[3]

শঙ্কু সিরিজের গল্পগুলি প্রোফেসর শঙ্কুর জবানিতে দিনলিপির আকারে লিখিত। গল্পগুলির পটভূমি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রোফেসর শঙ্কুর নিবাস তদনীন্তন বিহারের (অধুনা ঝাড়খণ্ড) গিরিডি শহরে।[1] বাড়িতে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী নিউটন নামে ২৪ বছরের একটি পোষা বিড়াল ও তার চাকর প্রহ্লাদ। বিশ্বের নানান দেশের বিজ্ঞানীরা তার বন্ধু, তাদের মধ্যে বহুবার উল্লিখিত হয়েছে ক্রোল ও সন্ডার্সের নাম। প্রতিবেশী অবিনাশ চন্দ্র মজুমদার (চাটুজ্যে, উল্লেখ করা হয়েছে "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্পে) ও হিতাকাঙ্ক্ষী নকুড়বাবু (নকুড় চন্দ্র বিশ্বাস) তার কোনো কোনো অভিযানে সঙ্গী হয়েছেন। সমগ্র শঙ্কু সিরিজে প্রোফেসর শঙ্কুর ৭২টি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা জানা যায়।[4] সত্যজিৎ রায় একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রোফেসর শঙ্কু চরিত্রটি সৃষ্টির পিছনে প্রধান প্রেরণা ছিল তার পিতা সুকুমার রায়ের গল্প হেসোরাম হুঁশিয়ারের ডায়রি[2] অন্যমতে, এই চরিত্রে সুকুমার রায়ের 'নিধিরাম পাটকেল' চরিত্রটির ছায়াও বর্তমান।[2]

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

প্রোফেসর শঙ্কুর জন্মতারিখ ১৬ জুন বলে উল্লিখিত হয়েছে। তার পিতা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু ছিলেন গিরিডির খ্যাতনামা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। তিনি গরিব মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন। মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে তিনি মারা যান। শঙ্কুকে তিলু বলে ডাকতেন (নকুড়বাবু এই সূত্রে শঙ্কুকে তিলুবাবু বলে সম্বোধন করতেন)। শঙ্কু ছিলেন অবিবাহিত। তার অপর কোনো আত্মীয়ের নাম সিরিজে উল্লিখিত হয়নি।[1] কেবল প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত গল্পে তার অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ বটুকেশ্বর শঙ্কুর উল্লেখ আছে।[1][5] "নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো" তে ঠাকুরদা বটুকেশ্বর এর কথা বলা আছে, যিনি শ্রুতিধর ছিলেন (তার অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহের নামও বটুকেশ্বর, "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্পে পাই)। এছাড়া আর এক খুড়তুতো ভাইয়ের উল্লেখ আছে, "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্পেই, যিনি বেরিলি থাকেন এবং তার উচ্চতা ছ ফুট দু ইঞ্চি, এর বেশী আর কিছু জানা যায় নি।

ছাত্র হিসেবে শঙ্কু ছিলেন অসাধারণ। জীবনে সর্বদাই প্রথম হতেন। গিরিডির স্কুল থেকে মাত্র ১২ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করেন শঙ্কু। এরপর ১৪ বছর বয়সে কলকাতার কলেজ থেকে আইএসসি এবং ১৬ বছর বয়সে ফিজিক্সকেমিস্ট্রিতে ডবল অনার্স সহ বিএসসি পাস করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন।[1]

বিজ্ঞানী হিসেবেও শঙ্কুর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সুইডিশ আকাদেমি অফ সায়েন্স তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে। ব্রাজিলের রাটানটান ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছেন ডক্টরেট। পাঁচটি মহাদেশের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কারক হিসেবে তাকে স্থান দিয়েছেন টমাস আলভা এডিসনের পরেই। স্থায়ী নিবাস গিরিডি শহরে হলেও কর্মসূত্রে যেতে হয়েছে কলকাতা সহ ভারতের নানা স্থানে। গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জার্মানি, জাপান, স্পেন, মিশর, নরওয়ে, সুইডেন, তিব্বতে; অভিযান চালিয়েছেন সাহারা মরুভূমি, আফ্রিকার বনভূমি, সমুদ্রের তলদেশে, কয়েকটি অজানা দ্বীপে এমনকি মঙ্গলগ্রহেও।[1]

প্রোফেসর শঙ্কু তীক্ষ্ণবুদ্ধি, নির্লোভ ও সৎ। কিছুটা আত্মভোলা প্রকৃতির মানুষ। তার চরিত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয় এক ঋষিসুলভ স্থৈর্য ও সংযম। তিনি স্বদেশপ্রেমিক; বেদ, উপনিষদ, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রতি তার শ্রদ্ধা গভীর। আবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিল্প ও সাহিত্যের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। তিনি জ্যোতিষে বিশ্বাস না করলেও ভূতপ্রেত ও তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাস করেন।[1]

প্রোফেসর শঙ্কু সিরিজ

গ্রন্থতালিকা

# বই প্রকাশক প্রকাশকাল সূচি
প্রোফেসর শঙ্কু নিউ স্ক্রিপ্ট, কলকাতা ১৯৬৫ "ব্যোমযাত্রীর ডায়রি", "প্রোফেসর শঙ্কু ও হাড়", "প্রোফেসর শঙ্কু ও ম্যাকাও", "প্রোফেসর শঙ্কু ও ঈজিপ্সীয় আতঙ্ক",
"প্রোফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুল", "প্রোফেসর শঙ্কু ও গোলক-রহস্য", "প্রোফেসর শঙ্কু ও চী-চিং"।
দ্বিতীয় সংস্করণে যুক্ত হয় "প্রোফেসর শঙ্কু ও খোকা" ও "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্পদুটি।
প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৭০ "প্রোফেসর শঙ্কু ও রোবু", "প্রোফেসর শঙ্কু ও কোচাবাম্বার গুহা", "প্রোফেসর শঙ্কু ও রক্তমৎস্য রহস্য",
"প্রোফেসর শঙ্কু ও গোরিলা", "প্রোফেসর শঙ্কু ও বাগদাদের বাক্স"
সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৭৪ "আশ্চর্য প্রাণী", "স্বপ্নদ্বীপ", "মরুরহস্য", "কর্ভাস", "ডঃ শেরিং-এর স্মরণশক্তি"
মহাসংকটে শঙ্কু আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৭৭ "শঙ্কুর শনির দশা", "শঙ্কুর সুবর্ণ সুযোগ", "হিপ্‌নোজেন"
স্বয়ং প্রোফেসর শঙ্কু আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৮০ "মানরো দ্বীপের রহস্য", "কম্পু", "একশৃঙ্গ অভিযান"
শঙ্কু একাই ১০০ আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৮৩ "মহাকাশের দূত", "শঙ্কুর কঙ্গো অভিযান", "নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো", "প্রোফেসর শঙ্কু ও ইউ. এফ. ও."
পুনশ্চ প্রোফেসর শঙ্কু আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৯৩ "আশ্চর্জন্তু", "শঙ্কু ও আদিম মানুষ", "শঙ্কুর পরলোকচর্চা", "প্রোফেসর রণ্ডির টাইম মেশিন"
সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা ১৯৯৫ "নেফ্রুদেৎ-এর সমাধি", "ডাঃ দানিয়েলের আবিষ্কার", "শঙ্কু ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইন", "ডন ক্রিস্টোবাল্ডির ভবিষ্যৎবাণী",
"স্বর্ণপর্ণী", "ইনটেলেকট্রন" (অসম্পূর্ণ), "ড্রেক্সেল আইল্যান্ডের ঘটনা" (অসম্পূর্ণ)

গল্পতালিকা

প্রোফেসর শঙ্কু সিরিজের গল্পগুলি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্যাদি নিচে দেওয়া হল:[2]

#গল্পপ্রথম প্রকাশগ্রন্থভুক্তি
ব্যোমযাত্রীর ডায়রিসন্দেশ, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ১৯৬১প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
প্রোফেসর শঙ্কু তার চাকর প্রহ্লাদ, পোষা বেড়াল নিউটন ও আবিষ্কৃত রোবট বিধুশেখরকে নিয়ে মঙ্গল গ্রহে যাত্রা করেন। সেখানে একদল স্থানীয় জীবের তাড়া খেয়ে তারা চলে আসেন টাফা গ্রহে এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
প্রোফেসর শঙ্কু ও হাড়সন্দেশ, জানুয়ারি ১৯৬৪প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
গিরিডিতে সদ্য-আগত এক সাধুবাবার অলৌকিক উপায়ে মৃতদেহে প্রাণ সঞ্চারের ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করতে গেলে শঙ্কুর উপর চটে তার কাজ ভণ্ডুল করে চলে যান সাধুবাবা। তিন বছর পর নীলগিরির জঙ্গলে গবেষণাকালে সাধুবাবা শঙ্কুকে হত্যা করার জন্য একটি ব্রন্টোসরাসের কঙ্কালে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন; কিন্তু ব্রন্টোসরাসটির আঘাতে নিজেই মারা যান।
প্রোফেসর শঙ্কু ও ঈজিপ্সীয় আতঙ্কসন্দেশ, মে ১৯৬৪প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ জেমস সামারটন মিশরে শঙ্কুকে একটি মমি উপহার দেন। নিজেকে মমিকৃত ব্যক্তির উত্তরসূরি দাবি করে একটি লোক গিরিডি অবধি এসে শঙ্কুকে আক্রমণ করে; কিন্তু নিউটনের আঁচড়ে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। সামারটনের চিঠির মাধ্যমে শঙ্কু জানতে পারেন, কয়েক হাজার বছর আগে মমিকৃত ব্যক্তিটিও একইরকম রহস্যজনকভাবে বিড়ালের আঁচড়ে মারা গিয়েছিল।
প্রোফেসর শঙ্কু ও ম্যাকাওসন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৬৪প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
চোর-বিজ্ঞানী গজানন তরফদার একটি অতিবুদ্ধিমান প্রশিক্ষিত ম্যাকাওয়ের সাহায্যে শঙ্কুর অদৃশ্য হবার ওষুধের ফরমুলা চুরি করেন এবং শঙ্কুর ল্যাবরেটরিতে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পাখিটি নিজের প্রাণসংশয়ের আভাস পেলে তরফদারকে শঙ্কুর কাছে ধরিয়ে দিয়ে সে শঙ্কুর বাড়িতেই থেকে যায়।
প্রোফেসর শঙ্কু ও আশ্চর্য পুতুলসন্দেশ, মার্চ ১৯৬৫প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
প্রোফেসর শঙ্কু এ গল্পে এক লোকের হাতে পড়েন যে তাকে পুতুল বানিয়ে দেয়।পরে এক বন্ধুর সাহায্যে তিনি মুক্তি পান।
প্রোফেসর শঙ্কু ও গোলক-রহস্যসন্দেশ, মে ১৯৬৫প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
অবিনাশবাবুর কুড়িয়ে পাওয়া আশ্চর্য গোলকটির মধ্যে কি এমন আছে, যাতে গোলকটির নিকটস্থ সকল প্রাণী মারা পড়ছে - এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে শঙ্কু জানতে পারেন, গোলকটি আসলে সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ টেরাটম্‌; এই গ্রহের উন্নত জীবেরা পৃথিবীর সকল জীবকে হত্যা করতে চাইছে। শঙ্কু এই গ্রহের সকল প্রাণী সহ গ্রহটি ধ্বংস করে দিতে বাধ্য হন।
প্রোফেসর শঙ্কু ও চী-চিংসন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৬৫প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
এ গল্পে প্রফেসর শঙ্কু চীনা জাদুকর চী-চীং এর মুখোমুখি হন যে তাকে সম্মোহিত করে।
প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূতশারদীয় আশ্চর্য, অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৬৬প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
গিরিডিতে শঙ্কুর মতো দেখতে একটি "ভূতের" আবির্ভাব হয়। নিজের আবিষ্কৃত ভূত দেখার যন্ত্র নিও-স্পেকট্রোগ্রাফের সাহায্যে শঙ্কু জানতে পারেন, এই ভূত আর কেউ নন, চারশো বছর আগে মৃত তার পূর্বপুরুষ তান্ত্রিক বটুকেশ্বর শঙ্কু, যিনি শঙ্কুর বিজ্ঞান ও নিজের তন্ত্রশক্তির সহযোগে কয়েকটি অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য কিছু সময়ের জন্য পার্থিব শরীর ধারণ করতে সক্ষম হন।
প্রোফেসর শঙ্কু ও খোকাসন্দেশ, জুলাই ১৯৬৭প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৬৭
ঝাঝার পোস্ট অফিসের কর্মচারীর সাড়ে চার বছরের ছেলে অমূল্য ওরফে খোকা মাথায় চোট পেয়ে অতিলৌকিক জ্ঞান ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হয়ে ওঠে। শঙ্কু ছেলেটিকে কিছুদিন নিজের কাছে এনে রাখেন। কিছুদিন পরে শঙ্কুর ল্যাবরেটরিতে সে নিজেই নিজের চিকিৎসা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়।
১০প্রোফেসর শঙ্কু ও রোবুসন্দেশ, ফেব্রুয়ারি-মার্চ ১৯৬৮প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা, ১৯৭০
প্রফেসর শঙ্কু এ গল্পে একটি অত্যাধুনিক রোবট উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে তিনি জার্মান বিজ্ঞানীর শয়তান রোবট ধ্বংস করেন।
১১প্রোফেসর শঙ্কু ও রক্তমৎস্য রহস্যসন্দেশ, মে-জুন ১৯৬৮প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা, ১৯৭০
জাপানি বিজ্ঞানী হামাকুরা ও তানাকার সঙ্গে শঙ্কু ও অবিনাশবাবু সমুদ্রের তলদেশে অদ্ভুত এক লাল মাছের সন্ধানে অভিযান চালান। জানতে পারেন এই লাল মাছ আসলে ভিন গ্রহের প্রাণী, যারা স্থলের তুলনায় জলেই বেশি স্বচ্ছন্দ। কিন্তু পৃথিবীর পরিমণ্ডল সুবিধাজনক না হওয়ায় তারা আবার মহাশূন্যে ফিরে যায়। শঙ্কুরা এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকেন।
১২প্রোফেসর শঙ্কু ও কোচাবাম্বার গুহাসন্দেশ, মে ১৯৬৯প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা, ১৯৭০
দক্ষিণ আমেরিকার বোলিভিয়ায় মার্কিন বিজ্ঞানী ডাম্‌বার্টনের সঙ্গে একটি সদ্য-আবিষ্কৃত প্রাগৈতিহাসিক গুহা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে শঙ্কু সেই গুহায় এক পঞ্চাশ হাজার বছর বয়সী গুহামানব এবং বেশ কিছু প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর সন্ধান পান। কিন্তু তাদের চোখের সামনেই একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পে সেগুলি মাটির তলায় বিলীন হয়ে যায়।
১৩প্রোফেসর শঙ্কু ও গোরিলাশারদীয় সন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৬৯প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা, ১৯৭০
ইংলন্ডের বিখ্যাত প্ৰাণীতত্ত্ববিদ অধ্যাপক জেমস ম্যাসিংহ্যাম আফ্রিকার জঙ্গলে হারিয়ে গেছেন। তাকে উদ্ধার করা জন্য প্রোফেসর শঙ্কু তার বিজ্ঞানী বন্ধু গ্রেগরিকে নিয়ে আফ্রিকার জঙ্গলে চলে যান, সাথে নেন তার প্রতিবেশি অবিনাশকে। সেখানে গিয়ে প্রোফেসর গ্রেগরি ও প্রোফসর শঙ্কু নিখোঁজ হন। তাদের খুঁজে বের করেন তাদের আফ্রিকান রক্ষী ক্যাবলা ও অবিনাশ। প্রোফেসর জেমস ম্যাসিংহাম তার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন দিয়ে গোরিলাদের নিজের আনুগত করে নেয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি প্রোফেসর গ্রেগরি ও প্রোফেসর শঙ্কুকে বন্দি করেন, তার ইচ্ছে এই দুই বিজ্ঞানী তার বশ্যতা স্বীকার করে তার গবেষণায় সহযোগিতা করবে। কিন্তু ক্যাবলা ও অবিনাশের সাহসী পদক্ষেপের কারণে তারা প্রোফেসর ম্যাসিংহামকে বন্দি করে প্রোফেসর গ্রেগরি ও প্রোফেসর শঙ্কুকে উদ্ধার করেন।
১৪প্রোফেসর শঙ্কু ও বাগদাদের বাক্সসন্দেশ, মার্চ-এপ্রিল ১৯৭০প্রোফেসর শঙ্কুর কাণ্ডকারখানা, ১৯৭০
বাগদাদের স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক হাসান আল হাব্বাস্‌ শঙ্কুকে আলিবাবার গুহা আর একটি আশ্চর্য বাক্সের সন্ধান দেন। বাক্সটি পরীক্ষা করে শঙ্কু দেখেন, এটি আসলে চার হাজার বছর আগে তোলা এক চলচ্চিত্র, যার স্রষ্ঠা জাদুকর-বিজ্ঞানী গেলাম নিশাহি অল্‌ হারারিৎ। নিজের আবিষ্কৃত চলচ্চিত্র নির্মাণ পদ্ধতিতে উর দেশের এক তৎকালীন রাজার শবযাত্রার চলচ্চিত্রায়ণ করেছিলেন তিনি।
১৫স্বপ্নদ্বীপসন্দেশ, মে-জুন ১৯৭১সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৭৪
প্রফেসর শঙ্কু স্বপ্নে এক দ্বীপের দেখা পান। সেই দ্বীপে যাওয়ার জন্য তিনি তার প্রতিবেশী অবিনাশ বাবুকে নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু সে দ্বীপটি ছিল একটি জীবিত প্রাণী যা জ্ঞান ভক্ষণ করে বেঁচে থাকে ও জ্ঞানী মানুষদের কাছে আসতে প্ররোচিত করে। সে দ্বীপটি প্রফেসর শঙ্কু ও তার মতো সাতজন প্রবীন বিজ্ঞানীদের সারা জীবনের জ্ঞান ভক্ষণ করে শিশুর ন্যায় বানিয়ে দেয়। অবিনাশ বাবুর কল্যাণে তারা রক্ষা পান।
১৬আশ্চর্য প্রাণীশারদীয় সন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৭১সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৭৪
--
১৭মরুরহস্যসন্দেশ, মে-জুন ১৯৭২সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৭৪
--
১৮কর্ভাসপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭২সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৭৪
পাখি সম্পর্কে শঙ্কুর অগাধ কৌতূহল শঙ্কুকে প্ররোচিত করে একটি পাখি পড়াবার যন্ত্র(অরনিথন) আবিষ্কার করাতে। ঘটনাক্রমে সে সেই যন্ত্রে-র সাহায্যে একটি কাক (যার নামকরণ করেন শঙ্কু কর্ভাস রুপে) শিক্ষিত হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। সেই পাখিটি আবার শঙ্কুর সাথে রওনা দেয় সানতিয়াগো-এর পক্ষী সম্মেলনে। সেখানে কর্ভাস লোভী যাদুকর আর্গাস এর লোভের শিকার আশ্চর্য শিক্ষিত কর্ভাস চুরিকৃত হয়ে নিজেই নিজের রক্ষা করে অসম সাহস ও বুদ্ধির পরিচয় দেয়।
১৯একশৃঙ্গ অভিযানসন্দেশ, ডিসেম্বর ১৯৭৩-এপ্রিল ১৯৭৪স্বয়ং প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৮০
--
২০ডক্টর শেরিং-এর স্মরণশক্তিপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭৪সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৭৪
--
২১হিপনোজেনসন্দেশ, এপ্রিল-জুন ১৯৭৬মহাসংকটে শঙ্কু, ১৯৮০
নরওয়ের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দাওয়াত পেয়ে প্রফেসর শঙ্কু, প্রফেসর সামারভিল, গ্রীক বৈজ্ঞানিক পাপাডোপুলস নরওয়েতে আসেন বিশ্বের সেরা বৈজ্ঞানিকের সাথে দেখা করতে। তারা নরওয়েতে এসে বুঝতে পারেন তাদের ডেকে আনা ক্রাগ একজন বৈজ্ঞানিক, যে দীর্ঘায়ু ও মৃত মানুষকে জীবিত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। এক শ’ পঞ্চাশ বছর বয়সী ক্রাগের মৃত্যু হলে প্রফেসর শঙ্কু ও প্রফেসর সামারভিল ক্রাগ নির্দেশিত পদ্ধতিতে মৃত ক্রাগকে জীবিত করতে গিয়ে জানতে পারেন পাপাডোপুলস নামে যে লোক বৈজ্ঞানিক হিসেবে তাদের সাথে এসেছেন তিনি আসলে বৈজ্ঞানিক পাপাডোপুলস নয়। তিনি বৈজ্ঞানিক পাপাডোপুলসের ভাই এবং একজন বিখ্যাত চোর। বৈজ্ঞানিক ক্রাগ হিপনোজেন নামক একটা গ্যাস আবিষ্কার করেছেন, যার দ্বারা যেকোন প্রাণীকে সম্মোহিত করে রাখা যায়। ক্রাগ কিছু একটা ব্ল্যাক প্যান্থারকে সম্মোহিত করে বন্দি করে রাখেন, তার বন্দি খানায় আরও অনেক হিংস্র প্রাণী বন্দি দশায় রয়েছে। মৃত ক্রাগ জীবিত হয়ে প্রফেসর শঙ্কু ও প্রফেসর সামারভিলকে সম্মোহিত করে রাখার ঘোষণা দেয়। এদিকে বৈজ্ঞানিক দায়িত্ব পালন না করায় পাপাডোপুলসকে কঠিন শাস্তির ঘোষণা দেয়। কিন্তু ইতোমধ্যে খবর আসে, পাপাডোপুলস পালিয়ে গেছে। পরে পলাতক পাপাডোপুলসের বুদ্ধিতেই রক্ষা পান প্রফেসর শঙ্কু ও সামারভিল। আর সম্মোহিত ব্ল্যাকপ্যান্থার তার ফিরে পায় স্বাভাবিক জীবন। ব্ল্যাকপ্যান্থারের আক্রমণে নিহত হয় বৈজ্ঞানিক ক্রাগ।
২২শঙ্কুর শনির দশাপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭৬মহাসংকটে শঙ্কু, ১৯৮০
--
২৩শঙ্কুর সুবর্ণ সুযোগসন্দেশ, এপ্রিল-জুন ১৯৭৭মহাসংকটে শঙ্কু, ১৯৮০
--
২৪মানরো দ্বীপের রহস্যপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭৭স্বয়ং প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৮০
--
২৫কম্পুপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭৮স্বয়ং প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৮০
--
২৬মহাকাশের দূতপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৭৯শঙ্কু একাই ১০০, ১৯৮৩
--
২৭নকুড়বাবু ও এল ডোরাডোপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮০শঙ্কু একাই ১০০, ১৯৮৩
প্রফেসর শঙ্কুর সাথে দেখা হয় অতিমানবীয় মানসিক ক্ষমতার অধিকারী নকুড় বাবুর। তাকে নিয়ে প্রফেসর শঙ্কু বিদেশে যাত্রা করেন। সেখানে প্রফেসর শঙ্কুর গবেষণার কাগজ চুরি হয়। নকুড় বাবু সেগুলো উদ্ধার করেন ও কিংবদন্তির শহর এল ডোরাডো খুঁজে বের করেন।
২৮শঙ্কুর কঙ্গো অভিযানপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮১শঙ্কু একাই ১০০, ১৯৮৩
--
২৯প্রোফেসর শঙ্কু ও ইউ. এফ. ও.পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮২শঙ্কু একাই ১০০, ১৯৮৩
--
৩০আশ্চর্যন্তুপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৩পুনশ্চ প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৩
--
৩১প্রোফেসর রন্ডির টাইম মেশিনপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৫পুনশ্চ প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৩
--
৩২শঙ্কু ও আদিম মানুষপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৬পুনশ্চ প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৩
--
৩৩নেফ্রুদেৎ-এর সমাধিশারদীয় সন্দেশ, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৮৬সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
--
৩৪শঙ্কুর পরলোক চর্চাপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৭পুনশ্চ প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৩
--
৩৫শঙ্কু ও ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৮সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
--
৩৬ডাঃ দানিয়েলির আবিষ্কারশারদীয় সন্দেশ, ১৯৮৮সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
--
৩৭ডন ক্রিস্টোবাল্ডির ভবিষ্যদ্বাণীপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৮৯সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
--
৩৮স্বর্ণপর্ণীপূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৯০সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
এই গল্পটি স্বর্ণপর্ণী নামক একটি আশ্চর্য গাছের পাতা থেকে শঙ্কুর 'মিরাকিউরল'নামক সর্ব রোগ নাশক ওষুধের আবিষ্কারের কথা ও পারিপার্শিক কিছু ঘটনার কথা আছে।
৩৯ইনটেলেকট্রন (অসমাপ্ত)পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৯২সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
এই অসমাপ্ত গল্পটি কল্পবিশ্ব ওয়েব ম্যাগাজিনের শারদীয়া সংখ্যা, ২০১৭ তে সুদীপ দেব কর্তৃক সমাপ্ত করা হয়েছে।
৪০ড্রেক্সেল আইল্যান্ডের ঘটনা (অসমাপ্ত)পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা, ১৯৯২সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু, ১৯৯৫
এই অসমাপ্ত গল্পটি কল্পবিশ্ব ওয়েব ম্যাগাজিনের শারদীয়া সংখ্যা, ২০১৮ তে সুদীপ দেব কর্তৃক সমাপ্ত করা হয়েছে।

আবিষ্কার

প্রোফেসর শঙ্কু মোট ৭২টি আবিষ্কারের কথা জানা যায়। এই সব আবিষ্কার ও তাদের নামকরণের ক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়ের ভাষাপ্রীতি ও কৌতুকবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন, শঙ্কু আবিষ্কৃত রোবট বিধুশেখর সাধু ও চলিত বাংলায় কথা বলতে পারে; আবার তৃষ্ণানাশক বড়ির নাম ‘তৃষ্ণাশক বড়ি’। শঙ্কুর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল বটিকা ইন্ডিকা, এয়ারকন্ডিশানিং পিল, লিঙ্গুয়াগ্রাফ, লুমিনিম্যাক্স, সমুনলিন, রিমেম্ব্রেন, মিরাকিউরল, রোবু ও বিধুশেখর নামক দুটি রোবট, অ্যানাইহিলিন পিস্তল, শ্যাঙ্কোপ্লেন, ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন-শঙ্কু ফরমুলা ইত্যাদি।[4]

চলচ্চিত্র

প্রফেসর শঙ্কুকে নিয়ে সর্বপ্রথম চলচ্চিত্র নির্মিত হতে চলেছে সন্দীপ রায়ের পরিচালনায়। নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো গল্প অবলম্বনে নির্মিত প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো সিনেমাটিতে শংকুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। নকুড়বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়[6]

তথ্যসূচী

  1. "এক নজরে প্রোফেসর শঙ্কু", সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৯৫-৯৭
  2. "প্রোফেসর শঙ্কু-ফাইল", সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৯১-৯৪
  3. "গ্রন্থপঞ্জি", সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৫৯-৬০
  4. "প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কার", সত্যজিৎ রায়: তথ্যপঞ্জি, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সৃষ্টি প্রকাশন, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৯৭-১১০
  5. "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" (প্রোফেসর শঙ্কু) দ্রষ্টব্য
  6. "সত্যজিতের জন্মদিনেই প্রকাশিত 'প্রফেসর শঙ্কু'র পোস্টার"Indian Express Bangla। ২০১৯-০৫-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.