ইকুয়েডর জাতীয় ফুটবল দল
ইকুয়েডর জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় ইকুয়েডরের প্রতিনিধিত্বকারী ফুটবল দল। ইকুয়েডরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (ফেদারেশিও ইকুয়াতোরিয়ানা দ্য ফুতবল - এফইএফ) কর্তৃক ইকুয়েডর দল পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। রাজধানী কিটো’র এস্তাদিও অলিম্পিকো আতাহুয়ালপা স্টেডিয়ামে নিজ দেশের খেলাগুলোর আনুষ্ঠানিক মাঠ। লা ত্রাই ডাকণামে এ দলটি পরিচিত যা অর্থ দাঁড়ায় তিন রঙ। দলটি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনবার (২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪) অংশগ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে ২০০৬ সালে দ্বিতীয় পর্বে ১৬ দলের রাউন্ডে প্রবেশ করতে পেরেছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয় ইকুয়েডর দল। দক্ষিণ আমেরিকার চিলি ও ভেনেজুয়েলার সাথে তারাও এ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা কাপ জয় করতে পারেনি। মহাদেশীয় এ প্রতিযোগিতায় তাদের সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৯ ও ১৯৯৩ সালে চতুর্থ স্থান অর্জন করা যা নিজ দেশের মাটিতে অণুষ্ঠিত হয়েছিল।
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | La Tri (Tri-color) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | ফেদারেশিও ইকুয়াতোরিয়ানা দ্য ফুতবল (FEF) | ||
কনফেডারেশন | কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | রিনাল্দো রুয়েদা | ||
অধিনায়ক | অ্যান্টোনিও ভ্যালেন্সিয়া | ||
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় | ইভান হুর্তাদো (১৬৭) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | অগাস্তিন দেলগাদো (৩১) | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | এস্তাদিও অলিম্পিকো আতাহুয়ালপা, কিটো | ||
ফিফা কোড | ECU | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৮ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১০ (এপ্রিল ২০১৩) | ||
সর্বনিম্ন | ৭৬ (জুন ১৯৯৫) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৪ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১১ (২৭ মার্চ ২০১৩) | ||
সর্বনিম্ন | ১১১ (ডিসেম্বর ১৯৫৯) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (বোগোতা, কলম্বিয়া; ৮ আগস্ট, ১৯৩৮) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (কিটো, ইকুয়েডর; ২২ জুন, ১৯৭৫) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (মন্তেভিডিও, উরুগুয়ে; ২২ জানুয়ারি, ১৯৪২) | |||
বিশ্বকাপ | |||
উপস্থিতি | ৩ (প্রথম ২০০২) | ||
সেরা সাফল্য | ১৬ দলের রাউন্ড (২০০৬) | ||
কোপা আমেরিকা | |||
উপস্থিতি | ২৪ (প্রথম ১৯৩৯) | ||
সেরা সাফল্য | চতুর্থ স্থান (১৯৫৯, ১৯৯৩) | ||
কনকাকাফ গোল্ড কাপ | |||
উপস্থিতি | ১ (প্রথম ২০০২) | ||
Best result | গ্রুপ পর্ব (২০০২ |
ইতিহাস
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে ইকুয়েডর দক্ষিণ আমেরিকার সর্বাপেক্ষা দুর্বল ফুটবল দেশ হিসেবে পরিচিত। অতীতের অনিয়মিত অংশগ্রহণ স্বত্ত্বেও তাদের মধ্যে যোগ্যতার ঘাটতি ছিল না। ইকুয়েডরের ফুটবল খেলার বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষ করে পর্তুগালের বিপক্ষে দলটি ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও রয়েছে। উরুগুয়েতে অণুষ্ঠিত ১৯৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ১৯৬২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে অংশ নেয় ইকুয়েডর। কিন্তু আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়। কিন্তু ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ও তৃতীয় স্থানের অধিকারী চিলি, দুর্বল দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে ভাল খেলে যা দলের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা শক্তিধর দলরূপে পরিচিতি পায়। ওয়াশিংটন মানোজ, আলবার্তো স্পেন্সার, কার্লোস আলবার্তো রাফো, এনরিক রেমন্ডি, জর্জ বোলানোজের ন্যায় তারকা খেলোয়াড় নিয়ে গড়া ইকুয়েডর দল পেরুতে চিলির বিপক্ষে স্থান নির্ধারিত খেলায় অংশ নিয়ে পরাজিত হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে জোস ভলাফুয়ের্তের ন্যায় প্রথীতযশা খেলোয়াড় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বিশ্বকাপ বাছাই
ইকুয়েডর ২০১৪ সালে অণুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৫ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে বাছাইপর্ব থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ব্রাজিলের মাটিতে তারা খেলবে। উরুগুয়ের সাথে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থান অর্জন করলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় তারা এ যোগ্যতা লাভ করে। পূর্ব নির্ধারিত ১১ অক্টোবর তারিখে অণুষ্ঠিত সিদ্ধান্তসূচক খেলায় প্রবল প্রতিপক্ষ উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজ মাঠে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় যা উরুগুয়েকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে জয়ের দুঃসাধ্য লক্ষ্যমাত্রায় পরিণত করে।
প্রতিযোগিতামূলক রেকর্ড
ফিফা বিশ্বকাপ রেকর্ড
সাল | স্তর | অবস্থান | খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | পক্ষে গোল | বিপক্ষে গোল |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() ![]() | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||
![]() | নাম প্রত্যাহার | |||||||
![]() ![]() | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||
![]() ![]() | যোগ্যতা অর্জন করেনি | |||||||
![]() ![]() | গ্রুপ-পর্ব | ২৪ | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৪ |
![]() | ১৬ দলের রাউন্ড | ১২ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৫ | ৪ |
![]() | যোগ্যতা অর্জন করেনি | |||||||
![]() | যোগ্যতা অর্জন করেছে | |||||||
সর্বমোট | ২/১৯ | ১২ | ৭ | ৩ | ০ | ৪ | ৭ | ৮ |
কোপা আমেরিকা রেকর্ড
|
|
প্যান আমেরিকান গেমস রেকর্ড
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
অনূর্ধ্ব-২০ প্যান আমেরিকান গেমস | ||
![]() | ২০০৭ ব্রাজিল প্যান আমেরিকান গেমস |
- ১৯৫১ থেকে ১৯৯১ – প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি
- ১৯৯৫ – ১ম রাউন্ড
- ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ – প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি
- ২০০৭ – চ্যাম্পিয়ন
ক্ষুদ্রতর প্রতিযোগিতা
পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
টুর্নামেন্ট এল’আলকুদিয়া | ||
![]() | ২০১০ এল’আলকুদিয়া প্রতিযোগিতা |
- ১৯৯৫ কোরিয়ান কাপ - বিজয়ী
- ১৯৯৫ কানাডা কাপ – বিজয়ী
বলিভিয়ান গেমস
- বলিভিয়ান গেমস ফুটবল'
-
স্বর্ণপদক (২): ১৯৬৫, ১৯৮৫ -
রৌপ্যপদক (১): ২০০৯, ২০১৩[1] -
ব্রোঞ্জপদক (২): ১৯৩৮, ২০০৫
-
তথ্যসূত্র
- "Ecuagol"। Ecuagol। ২০১৩-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-২৫।
বহিঃসংযোগ
- Official website of the Ecuadorian Football Federation (স্পেনীয়)
- futbolecuador.com (স্পেনীয়)
টেমপ্লেট:Football in Ecuador টেমপ্লেট:CONMEBOL teams