বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: বাপ্রবি) হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল-সম্পর্কিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ঢাকা শহরের পলাশী এলাকায় অবস্থিত।[1]
![]() | |
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৭৬ (বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরঃ ১৯৬২) |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
উপাচার্য | অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম |
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা | ৩৫০ |
শিক্ষার্থী | ৫৫০০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহরের কেন্দ্রস্থলে, ৭৬.৮৫ একর (০.৩১ km²) |
সংক্ষিপ্ত নাম | বুয়েট (BUET) |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | buet |
ইতিহাস
প্রাথমিক পর্যায়ে
বুয়েট উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে জরিপকারদের জন্য একটি জরিপ শিক্ষালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৬ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ রাজ ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল সেই সময়কার ব্রিটিশ ভারতের সরকারি কাজে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা। ১৯০৫ সালে ঢাকার তৎকালীন খাজা আহসানউল্লাহ এ বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হন এবং মুসলমানদের শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রগতির জন্য বিদ্যালয়ে ১.১২ লক্ষ টাকা দান করেন। তার মহৎ অনুদানে এটি পরবর্তীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষালয় হিসেবে প্রসার লাভ করে এবং তার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯০৮ সালে বিদ্যায়নটির নামকরণ করা হয় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল। আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স দিতে শুরু করে পুরকৌশল, তড়িৎকৌশল এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগে। শুরুতে একটি ভাড়া করা ভবনে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলত। ১৯০৬ সালে সরকারি উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের কাছে এর নিজস্ব ভবন নির্মিত হয়। এ স্থানের একটি উঁঁচু চিমনি কিছুদিন আগেও এই স্মৃতি বহন করত। ১৯২০ সালে এটি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।
শুরুতে বিদ্যালয়টি ঢাকা কলেজের সাথে সংযুক্ত ছিল। পরবর্তীতে এটি জনশিক্ষা পরিচালকের অধীনে পরিচালিত হতে থাকে। মিঃ এন্ডারসন এর প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৩২ সালে শ্রী বি. সি. গুপ্ত ও ১৯৩৮ সালে জনাব হাকিম আলী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।[2][3][4]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাংলার শিল্পায়নের জন্য তৎকালীন সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তখন এতদঞ্চলে দক্ষ জনশক্তির অভাব দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার নিযুক্ত একটি কমিটি যন্ত্র, তড়িৎ, কেমি ও কৃষি প্রকৌশলে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রী কোর্সে ১২০ জন ছাত্রের জন্য ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপন এবং স্কুলটিকে তৎকালীন পলাশী ব্যারাকে স্থানান্তর করে পুর, যন্ত্র, ও তড়িৎ কৌশলে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ৪৮০ জন ছাত্র ভর্তির সুপারিশ করেন। ১৯৪৭ সালের মে মাসে সরকার ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন ও ছাত্র ভর্তির জন্য বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ঢাকায় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়।[2]
দেশবিভাগের পর
১৯৪৭ এর দেশবিভাগের ফলে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকী শিক্ষকদের সবাই ভারতে চলে যান ও ভারত থেকে ৫ জন শিক্ষক এ স্কুলে যোগদান করেন। ১৯৪৭ এর আগস্ট মাসে এটিকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রুপে উন্নীত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ হিসেবে। জনাব হাকিম আলী এর অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার এই কলেজটিকে অনুমোদন দেন এবং এটি তখন পুরকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, কেমিকৌশল, কৃষি প্রকৌশল ও টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী এবং পুরকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল ও যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রদান করতে শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষি ও টেক্সটাইলের পরিবর্তে ধাতব প্রকৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৬ সালে কলেজে সেমিস্টার প্রথা চালু হয় ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুমোদিত হয়। ১৯৫৭ সালে ডিগ্রী কোর্সে আসন সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করা হয়। ১৯৫৮ সালে কলেজ থেকে ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর মধ্যে ১৯৫১ সালে টি. এইচ. ম্যাথুম্যান এবং ১৯৫৪ সালে ড. এম. এ. রশিদ কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। এসময়ে এগ্রিকালচারাল এন্ড মেকানিক্যাল কলেজ অব টেক্সাস (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ও আহসানউল্লাহ কলেজের সাথে যৌথ ব্যবস্থাপনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ফলে ওখান থেকে অধ্যাপকগন এদেশে এসে শিক্ষকতার মান, ল্যাবরেটরী ও পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য কিছু শিক্ষককে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য টেক্সাস এ. এন্ড এম. কলেজে পাঠানো হয়। এসময় এশিয়া ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীকে কিছু প্রয়োজনীয় বইপত্র দান করে এবং রেন্টাল লাইব্রেরি প্রথা চালু করা হয়। কলেজ থাকা অবস্থায় ছাত্রদের জন্য কেবল দুটি ছাত্রাবাস ছিলঃ মেইন হোস্টেল (বর্তমান ড. এম. এ. রশীদ ভবন) ও সাউথ হোস্টেল (বর্তমান নজরুল ইসলাম হল)
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে
পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালের ১ জুন তারিখে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করে নাম দেয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় (East Pakistan University of Engineering and Technology, or EPUET)। তৎকালীন কারিগরী শিক্ষা পরিচালক ড. এম. এ. রশিদ প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। অধ্যাপক এ. এম. আহমেদ প্রকৌশল অনুষদের প্রথম ডীন নিযুক্ত হন। খ্যাতনামা গণিতজ্ঞ এম. এ. জব্বার প্রথম রেজিস্ট্রার ও মমতাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম কম্পট্রোলার নিযুক্ত হন। ড. এম. এ. রশিদের যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়রূপে প্রতিষ্ঠিত হবার পরে ছাত্রদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক কবিরউদ্দিন আহমেদ প্রথম ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালেই প্রথম স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে স্থাপত্য বিভাগ গঠন করা হয়, এই বিভাগের জন্য টেক্সাস এ. এন্ড এম. কলেজের কয়েকজন শিক্ষক যোগদান করেন। এভাবে প্রকৌশল ও স্থাপত্য এই দুটি অনুষদে পুর, যন্ত্র, তরিৎ, কেমি ও ধাতব প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ১৯৬৪ সালে আসন সংখ্যা ২৪০ থেকে ৩৬০ জনে বৃদ্ধি করা হয়। একই বছরে বর্তমান ৭ তলা পুরকৌশল ভবন নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৬৯-৭০ সালে আসন সংখ্যা ৪২০ জনে উন্নীত হয়। এসময় স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে ফিজিক্যাল প্ল্যানিং নামে একটি নতুন বিভাগ চালু হয়। এটিই পরবর্তীকালে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে পরিণত হয়েছে।
স্বাধীনতার পর
১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমানের নাম, অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
উপাচার্য
- এম এ রশীদ (১ জুন ১৯৬২ - ১৬ মার্চ ১৯৭০)
- মোহাম্মদ আবু নাসের (১৬ মার্চ ১৯৭০ - ২৫ এপ্রিল ১৯৭৫)
- ওয়াহিদউদ্দিন আহমেদ (২৫ এপ্রিল ১৯৭৫ - ২৪ এপ্রিল ১৯৮৩)
- আব্দুল মতিন পাটোয়ারি (২৪ এপ্রিল ১৯৮৩ - ২৫ এপ্রিল ১৯৮৭)
- মুশারফ হোসেন খান (২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ - ২৪ এপ্রিল ১৯৯১)
- মুহাম্মদ শাহজাহান (২৪ এপ্রিল ১৯৯১ - ২৭ নভেম্বর ১৯৯৬)
- ইকবাল মাহমুদ (২৭ নভেম্বর ১৯৯৬ - ১৪ অক্টোবর ১৯৯৮)
- নূরউদ্দিন আহমেদ (১৪ অক্টোবর ১৯৯৮ - ৩০ আগস্ট ২০০২)
- মোহাম্মদ আলী মুর্তুজা (৩০ আগস্ট ২০০২ - ২৯ আগস্ট ২০০৬)
- এ এম এম সফিউল্লাহ (৩০ আগস্ট ২০০৬ - ২৯ আগস্ট ২০১০)
- এস এম নজরুল ইসলাম (৩০ আগস্ট ২০১০ - ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪)
- খালেদা একরাম (১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ - ২৪ মে ২০১৬)
- সাইফুল ইসলাম (২২ জুন ২০১৬ - বর্তমান)
ক্যাম্পাস
বুয়েট ক্যাম্পাস ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি একটি ছোট্ট ক্যাম্পাস। ছাত্রদের আবাসিক হলগুলো একাডেমীর ভবন থেকে হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন হল ৭৬.৮৫ একর (৩১১,০০০ ব.মি.)।
অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ

বুয়েটে বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ১৮ টি বিভাগ রয়েছে।
স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ
- স্থাপত্য বিভাগ
- নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ
- মানবিক বিভাগ
পুরকৌশল অনুষদ
- পুরকৌশল বিভাগ
- পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ
তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদ
- তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
- জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগ
প্রকৌশল অনুষদ
- কেমিকৌশল বিভাগ
- বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগ
যন্ত্র কৌশল অনুষদ
- যন্ত্রকৌশল বিভাগ
- নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ
- শিল্প ও উৎপাদন কৌশল বিভাগ
ইনস্টিটিউটসমূহ
জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্প্রসারণ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বুয়েটে ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলো হলঃ
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট (আইআইসিটি)
- পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট (আইডব্লিউএফএম)
- এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (আইএটি)
- দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউট (এআরআই)
ডিরেক্টরেট, সেন্টারসমূহ এবং অন্যান্য
- Directorate of Advisory, Extension and Research Services(DAERS)
- Directorate of Students Welfare(DSW)
- Directorate of Planning and Development(P&D)
- Directorate of Continuing Education(DCE)
- Centre for Energy Studies(CES)
- Centre for Environmental and Resource Management(CERM)
- Biomedical Engineering Centre
- Bureau of Research, Testing and Consultation(BRTC)
- International Training Network Centre(ITN)
- Bangladesh Network Office for Urban Safety(BNUS),BUET
সংগঠনসমূহ
আলোকবর্তিকা
আলোকবর্তিকা ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের '১৪ ব্যাচের কতিপয় শিক্ষার্থী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরী। কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই যে কেউ এখান থেকে যেকোন বই নিতে পারবেন। তবে একটি বই নিলে তাকে লাইব্রেরিতে একটি বই দিতে হবে।[5] ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মূল ক্যাম্পাসে আলোকবর্তিকার অপর একটি শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।[6]
ছাত্র সংগঠন
বিজ্ঞান সংগঠন
- সত্যেন বোস বিজ্ঞান ক্লাব
- বুয়েট নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব
- বুয়েট অটোমোবাইল ক্লাব
- বুয়েট এনার্জি ক্লাব
- বুয়েট রোবোটিক্স সোসাইটি
সাংস্কৃতিক সংগঠন
- বুয়েট ড্রামা সোসাইটি
- মূর্ছনা
স্থাপত্যসমূহ
- শহীদ মিনার
- নিহত সনি স্মরণে ভাস্কর্য
- শহীদ আরিফ রায়হান দীপ স্মরণে ভাস্কর্য
কৃতি ছাত্র-ছাত্রী
- ফজলুর রহমান খান
- তারিক দুররানি (ফেলো, ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স, ১৯৮৯; ফেলো, রয়েল সোসাইটি অব এডিনবার্গ, ১৯৯৪; ফেলো, রয়েল অ্যাকাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৯৯৬; আইইইই মিলেনিয়াম মেডেল, ২০০০; আইইইই মেরিটোরিয়াস সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, ২০০০; অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ২০০৩)
- সৈয়দ আবু নসর (আইইই নিকোলা টেসলা অ্যাওয়ার্ড, আইইইই লাইফ ফেলো, প্রফেসর ইমেরিটাস, ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকি)[7][8]
- সাইফুর রহমান (প্রকৌশলী)
- আরশাদ এম চৌধুরী
- একরাম হোসেন
- এ কে এম ফজলে হোসেন[9][10]
- এম তাহের এ সাইফ
- এম আমানুল হক[11][12]
- এম রেজওয়ান খান [13][14]
- জামিলুর রেজা চৌধুরী
- মুহাম্মদ আশরাফুল আলম
- সায়ীফ সালাহউদ্দিন
- এম নাজমুল করিম[15]
- এম স্যাম মান্নান[16]
- এম এম ফারুক হাসান[17]
- মোশারফ চৌধুরী[18][19]
- আবুল হায়াত (অভিনেতা)
- তৌকির আহমেদ (অভিনেতা)
- তানযীর তুহিন (ভোকালিস্ট, প্রতিষ্ঠাতা- আভাস)
- জিয়াউর রহমান জিয়া (বেস গিটারিস্ট,প্রতিষ্ঠা - শিরোনামহীন)
কৃতি শিক্ষক
সুযোগ-সুবিধাসমূহ
মিলনায়তন
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০৩৬ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রকসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। এ কমপ্লেক্সে মিলনায়তন ছাড়াও ১৮৬ আসনের সেমিনার কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। এছাড়া পুরকৌশল ভবনের দোতলায় ২০০ আসনবিশিষ্ট আরেকটি সেমিনার কক্ষ আছে। শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য এতে ৩৫ ও ১৬ মি. মি. ফিল্ম প্রোজেক্টর রয়েছে।
লাইব্রেরী
প্রায় ২০,০০০ বর্গফুট জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর চারতলা ভবনটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। লাইব্রেরীতে আধুনিক সকল সুবিধা রয়েছে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন ছাত্রের একসাথে পড়ার ব্যবস্থা আছে। বুয়েট লাইব্রেরীতে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। রিপোগ্রাফিক বিভাগ নামে একটি বিভাগ রয়েছে যাতে রেফারেন্স বই ফটোকপি করার ব্যবস্থা রয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
বুয়েটে স্বাস্থ্য রক্ষার মৌলিক সুবিধাদি সম্বলিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ( বুয়েট হেলথ কমপ্লেক্স) রয়েছে। রোগ নির্ণয়ে সহায়ক অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম, ই.সি.জি. মেশিন এবং আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আছে।
ব্যায়ামাগার
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ইনডোর গেম্স খেলার সুবিধার্থে বাস্কেটবল কোর্ট সংবলিত একটি সমৃদ্ধ ব্যায়ামাগার রয়েছে। এটি শেরে বাংলা হলের দক্ষিণে পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
ভার্চুয়াল ক্লাশরুম
ই.সি.ই(ECE) ভবন এ ৭০৫ নম্বর রুমটি ভার্চুয়াল ক্লাশরুম হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। আই.আই.সি.টি এর তত্ত্বাবধানে এই ভার্চুয়াল ক্লাসরুমটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র এবং শিক্ষকগণ বিভিন্ন দূরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিগনের সাথে ক্লাশ শেয়ার এবং মেধার আদান প্রদান করতে পারেন। ভার্চুয়াল ক্লাশরুমটিতে আধুনিক সকল সুবিধা রয়েছে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ১০০ জন যে কোন ভার্চুয়াল সমাবেশ করতে পারবেন।
আবাসিক হল সমূহ
বুয়েটে আটটি ছাত্রাবাস রয়েছে। শহীদ স্মৃতি হল তরুণ শিক্ষক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত যাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক আবাসস্থল নেই।
হলগুলো বিভিন্ন সময়ে তৈরি করা হয়েছে। একারনে বিভিন্ন হল বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন বহন করে। প্রতিটি হলের তত্ত্বাবধানে থাকেন প্রভোস্ট। সাধারণত সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রভোস্ট নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি হলে তিনজন সহকারী প্রভোস্ট নিযুক্ত আছেন।
হলগুলোর বেশিরভাগই জাতীয় বীর ও নেতাদের স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে। হলগুলো হল:[24]
হলের নাম | বর্তমান প্রভোস্ট | আসনসংখ্যা |
আহসান উল্লাহ হল | অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার | ৩৪৭ (পশ্চিম) ২৬১ (উত্তর) |
তিতুমীর হল | অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আক্তার হোসেন | ৩৯৩ |
কাজী নজরুল ইসলাম হল | অধ্যাপক ড. মো. আফসার আলী | ৩২৭ |
ছাত্রী হল | অধ্যাপক ড. নিলুফার ফারহাত হোসেন | ৪৮৪ |
শের-এ-বাংলা হল | অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ করিম | ৩৪২ |
সোহরাওয়ার্দী হল | অধ্যাপক ড. সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ | ৩৩৪ |
ড. এম. এ. রশীদ হল | অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ | ৪৬৭ |
শহীদ স্মৃতি হল | অধ্যাপক ড. মো. ওহাব খান | ১৮৪ |
ছবিঘর
- বুয়েট প্রবেশদ্বার
তথ্যসূত্র
- "বুয়েটের ইতিহাস"। ২ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০০৭।
- মামুন, মুনতাসীর (ডিসেম্বর ১৯৯৬)। ঢাকা সমগ্র ২। সাহিত্যলোক, ৩২/৭ বিডন স্ট্রীট, কলিকাতা, ৭০০০০৬: নেপালচন্দ্র ঘোষ। পৃষ্ঠা সার্ভে স্কুল থেকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা– ২১৮ থেকে ২১৪।
- Government of India, Dacca Survey School, Proceedings, Home Ed. - 144-146A, May-1904.
- "ঢাকা সমগ্র ২ - মুনতাসীর মামুন"। Scribd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১০।
- "আলোকবর্তিকা: বুয়েটের একটি মুক্ত গ্রন্থাগার"। ফিনটেক। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "আলোকবর্তিকার আলোকযাত্রা"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ নভেম্বর ২০১৮।
- "Syed Nasar, Professor Emeritus of Electrical Engineering Passes Away - Quadrangle"। quadrangle.engineering.uky.edu। ২৮ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "BUET: The profiles of IEEE fellows - The Guardian"। www.theguardianbd.com। ৭ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রগণ্য বাঙালি প্রকৌশলী"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "আমাদের ফজলে হোসেন"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "Penn State Engineering: MNE DIrectory"। www.mne.psu.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "AMAN HAQUE"। www.personal.psu.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "UIU Vice Chancellor Selected as Distinguished Lecturer of IEEE - United International University (UIU)"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "Khan, M. Rezwan - Department of EEE (UIU)"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- Communications, Texas A&M Engineering (২১ জুলাই ২০১৬)। "Karim, M. Nazmul- People - Chemical Engineering - College of Engineering"। engineering.tamu.edu। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- Communications, Texas A&M Engineering (৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Mannan, M. Sam. - People - Chemical Engineering - College of Engineering"। engineering.tamu.edu। ১২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- Communications, Texas A&M Engineering (২১ জুলাই ২০১৬)। "Hasan, Faruque-People-Chemical Engineering-College of Engineering"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "EECS Faculty"। www.eecs.umich.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "Mosharaf Chowdhury"। www.mosharaf.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- Sun, The Daily। "- daily-sun.com"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- newagebd.net/214618/uiu-vc-selected-as-distinguished-lecturer-of-ieee/
- "UIU's vice chancellor selected as lecturer of IEEE - Dhaka Tribune"। www.dhakatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- Nation, The New। "UIU VC selected as distinguished lecturer of IEEE"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৭।
- "ছাত্রপরিচালক দপ্তর"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০০৭।
বহিঃসংযোগ
- বুয়েটের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- BUET: The profiles of IEEE fellows
- EEE Faculty of BUET aims at producing best engineers, teachers and professionals
- BUET’s contribution to engineering education
- EEE Faculty of BUET plays key role in electric and electronic sectors in Bangladesh