সাইফুল ইসলাম (একাডেমিক)

সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর বর্তমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩তম উপাচার্য[1]

সাইফুল ইসলাম
উপাচার্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৩ জুন২০১৬
পূর্বসূরীখালেদা একরাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষাপি এইচ ডি(ই ই)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাউপাচার্য

শিক্ষা

সাইফুল ইসলাম বুয়েট থেকে যথাক্রমে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭ সালে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন।১৯৮৬ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। [2]

কর্মজীবন

আগস্ট ২০১৩ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত, সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[2]

সাইফুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের মে মাসে বুয়েটের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসাবে তার শিক্ষক জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অধ্যাপক হয়েছিলেন। ১৯৯৫-৯৭ সালে তিনি বৈদ্যুতিক প্রকৌশল অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[2] ২২ জুন ২০১৬, সাইফুল ইসলামকে বুয়েটের ১৩ তম উপাচার্য হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২৪ মে ২০১৬ খালেদা একরাম মারা যাওয়ার পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল।[3]

পুরস্কার

বিতর্ক

৭ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়।[4] কিন্তু সাইফুল শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন না, বুয়েট মসজিদে হওয়া জানাজাতেও অংশ নেননি। ফলশ্রুতিতে সারা দেশে তীব্র নিন্দা শুরু হয়।[5][6] প্রধানমন্ত্রী তাঁর নীরবতাকে সমালোচনা করেন।[7] পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর নিহত আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়াতে গেলে তিনি এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হন।[8] বুয়েট শিক্ষক সমিতি এবং অ্যালামনাইস অ্যাসোসিয়েশন ব্যর্থতার জন্য তাঁর অপসারণ দাবি করে।[9][10]

তথ্যসূত্র

  1. "প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বুয়েটের উপাচার্য যোগদান"bdnews24.com। জুন ২২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬
  2. "বুয়েট উপাচার্য"। buet.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬
  3. "সাইফুল ইসলাম নতুন উপাচার্য"The Daily Star। জুন ২৩, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২, ২০১৬
  4. "Buet VC fails to tame agitating students"Daily Star। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  5. "BUET VC 'missing' as students fuming over Abrar murder"Prothom Alo। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  6. "No sign of Buet VC since Abrar's murder"Dhaka Tribune। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  7. "Those involved in Fahad murder must be punished: PM"bdnews24। অক্টোবর ৯, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  8. "Abrar murder: Students confine Buet VC"Daily Star। অক্টোবর ৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  9. "Abrar killing: BUET teachers disappointed over VC's failure to act"Daily Star। অক্টোবর ৯, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
  10. "BUET alumni demand VC's resignation"Daily Star। অক্টোবর ৯, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১০, ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.