১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ

১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ সালে[1] (ফাল্গুন, ১৪০৯ বঙ্গাব্দ) একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসে একটি তরুণী কিভাবে ধর্ষণের শিকার হবার পর পুনরায় সামাজিক-ধর্মীয়ভাবে নিপীড়ন ও নিগ্রহের শিকার হয় তা উপস্থাপিত হয়েছে।[2]

১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকহুমায়ুন আজাদ
প্রচ্ছদ শিল্পীসমর মজুমদার
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়ধর্ষণ
ধরনউপন্যাস
প্রকাশকআগামী প্রকাশনী
প্রকাশনার তারিখ
ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট)
পৃষ্ঠাসংখ্যা১৩২ (প্রথম সংস্করণ)
আইএসবিএন9789844017313
ওসিএলসি53019328
পূর্ববর্তী বইশ্রাবণের বৃষ্টিতে রক্তজবা (২০০২) 
পরবর্তী বইপাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪) 

আজাদ এই উপন্যাসের উৎসর্গ পাতায় লিখেছেন, "১০,০০০, এবং আরো ১টি ও অজস্র ধর্ষিতাকে- বাংলাদেশকে"।[3]

কাহিনীসংক্ষেপ

বাঙলাদেশ এখন হয়ে উঠেছে এক উপদ্রুত ভুখন্ড; হয়ে উঠেছে ধর্ষণের এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ, ৫৬,০০০ বর্গমাইলব্যাপী পীড়নের এক শোচনীয় প্রেক্ষাগার। ধর্ষিত হচ্ছে মাটি মেঘ নদী রৌদ্র জ্যোৎস্না দেশ, এবং নারীরা। একটি ধর্ষণের কাহিনী বলা হয়েছে এ-উপন্যাসে। ধর্ষিত ময়না আত্মহত্যা করে নি, অভিযোগ করে নি; সে তার অবৈধ সন্তানটিকে টুকরো টুকরো করেছে একটি ধারালো দা দিয়ে; এবং প্রতিশোধ নিয়েছে- সে অন্তত একটি শুয়োরকে টুকরো টুকরো করতে পেরেছে।[3]

আরো দেখুন

  • হুমায়ুন আজাদের গ্রন্থতালিকা

তথ্যসূত্র

  1. মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম (২০১২)। "আজাদ, হুমায়ুন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীরবাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901। ওসিএলসি 883871743
  2. সফিউল আলম প্রধান (মার্চ ২৫, ২০১৬)। "আর কত?"বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৪, ২০১৭
  3. আজাদ, হুমায়ুন (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। ১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৫। আইএসবিএন 978-9-844-01731-3।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.