দ্বিতীয় লিঙ্গ
দ্বিতীয় লিঙ্গ (ফরাসি: Le Deuxième Sexe ল্য দোজিয়েম সেক্স) ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ফরাসি নারীবাদী দার্শনিক বই যেটি রচনা করেন ফরাসি বুদ্ধিজীবী সিমোন দ্য বোভোয়ার। এটি তার রচিত সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি, যেথানে দেখানো হয়েছে ইতিহাস জুড়ে সমাজে নারীর অবস্থা।
![]() প্রথম সংস্করণের প্রথম সংখ্যার মলাট | |
লেখক | সিমোন দ্য বোভোয়ার |
---|---|
মূল শিরোনাম | Le Deuxième Sexe |
অনুবাদক | হুমায়ুন আজাদ |
দেশ | ফ্রান্স |
ভাষা | ফরাসি |
বিষয় | নারীবাদ |
প্রকাশিত | ১৯৪৯ |
মিডিয়া ধরন | ছাপা |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২টি সংখ্যায় ৯৭৮[1][2] |
নারীবাদী দর্শন |
---|
সিরিজের একটি ধারাবাহিক অংশ |
প্রধান কর্ম |
|
প্রধান তাত্ত্বিকগণ |
|
মূল ধারনা |
|
সচারচর এ বইটিকে নারীবাদী দর্শনের মুখ্যকর্ম হিসেবে দেখা হয় এবং বিংশ শতকের শেষভাগে 'নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গের' শুরুটাও এই বইতে পাওয়া যায়। বোভোয়ার ৩৮ বছর বয়স থেকে বইটি লিখেছেন এবং গবেষণা করেছেন ১৪ মাস ধরে।[3][4] তিনি এটিকে দুটি সংখ্যায় প্রকাশ করেন এবং কিছু অধ্যায় প্রথমে লে তঁ মোদের্ন (ফরাসি Les Temps Modernes) নামক ফরাসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।[5][6]
ফরাসি ভাষার মূল বইটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আজাদ বইটি দ্বিতীয় লিঙ্গ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন যা ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।[7]
বিষয়বস্তু
বইয়ের ভূমিকাংশে লেখিকা লিখেছেন:
নারীর ইতিহাসের সম্পূর্ণটি মানুষের বানানো। ঠিক যেমন আমেরিকাতে কোন নেগ্রো সমস্যা নেই, বরং একটি শ্বেতাঙ্গ সমস্যা; ঠিক যেমন ইহুদি-বিদ্বেষ কোন ইহুদি সমস্যা নয়, এটাই হল আমাদের সমস্যা; তাই নারীর সমস্যাটি সবসময় একজন পুরুষের সমস্যা হয়েছে।
এ থেকেই অনুমান করা যায় এই গ্রন্থটি রচনায় সিমোন দ্য বোভোয়ার কেন প্রাণিত হয়েছিলেন এবং কী ছিল তার উদ্দেশ্যে। একজন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীতে নারীর অবস্থান ও পরিণতিকে তিনি বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন।
বইয়ের ভূমিকাংশে লেখিকা আরো লিখেছেন:
যদি নারী হিশেবে কাজ করা নারীর সংখ্যা তৈরির জন্যে যথেষ্ট না হয়, যদি আমরা তাঁকে “চিরন্তন নারীত্ব” ধারণা দিয়ও ব্যাখ্যা করতে অস্বীকার করি, এবং যদি আমরা, আপাতত, স্বীকার ক’রে নিই যে নারীরা আছে, তাহলে আমাদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখী হ’তেই হয়: নারী কি? ... যমি যে এ প্রশ্নটি করেছি, এটাই তাৎপর্যপূর্ণ। কোনো পুরুষই কখনো পুরুষ মানুষের উৎকট পরিস্থিতি সম্পর্কে একখানা বই লিখতে উদ্যত হবে না। কিন্তু আমি যদি নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে চাই, সবার আগে আমাকে বলতে হবে: “আমি একজন নারী”; পরবর্তী সমস্ত আলোচনা রচিত হবে এ-সত্যের ওপর ভিত্তি ক’রে।
এ সভ্যতায় নারী বলে কারো অস্তিত্ব কি আছে? যদি থাকে তার স্বরূপ কী?-- এ সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন লেখিকা এ গ্রন্থে।
তথ্যসূত্র
- de Beauvoir, Simone (১৯৪৯)। Le deuxième sexe [The Second Sex]। NRF essais (French ভাষায়)। 1, Les faits et les mythes [Facts and Myths]। Gallimard। আইএসবিএন 9782070205134।
- de Beauvoir, Simone (১৯৪৯)। Le deuxième sexe। NRF essais (French ভাষায়)। 2 L'expérience vécue [Experience]। Gallimard। আইএসবিএন 9782070205141। ওসিএলসি 489616596।
- du Plessix Gray, Francine (মে ২৭, ২০১০), "Dispatches From the Other", The New York Times, সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১১
- Bauer 2006, পৃ. 122।
- Beauvoir 2009, পৃ. Copyright page।
- Appignanesi 2005, পৃ. 82।
- "দ্বিতীয় লিঙ্গ"। rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৬।
বহিঃসংযোগ
- Appignanesi, Lisa (২০০৫)। Simone de Beauvoir। London: Haus। আইএসবিএন 1-904950-09-4।
- Bauer, Nancy (২০০৬) [2004]। "Must We Read Simone de Beauvoir?"। Grosholz, Emily R.। The Legacy of Simone de Beauvoir। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-926536-4।
- Beauvoir, Simone (১৯৭১)। The Second Sex। Alfred A. Knopf।
- Bair, Deirdre (১৯৮৯) [Translation first published 1952]। "Introduction to the Vintage Edition"। The Second Sex। by Beauvoir, Simone de। Trans. H. M. Parshley। Vintage Books (Random House)। আইএসবিএন 0-679-72451-6।
- Beauvoir, Simone de (২০০২)। The Second Sex (Svensk upplaga)। পৃষ্ঠা 325।
- Beauvoir, Simone de (২০০৯) [1949]। The Second Sex। Trans. Constance Borde and Sheila Malovany-Chevallier। Random House: Alfred A. Knopf। আইএসবিএন 978-0-307-26556-2।