মোহনকিশোর নমোদাস
মোহনকিশোর নমোদাস (ইংরেজি: Mohankishor Namodas) (? - ২৬ মে, ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
মোহনকিশোর নমোদাস | |
---|---|
![]() মোহনকিশোর নমোদাসের মূর্তি, সেলুলার জেলের নিকট | |
জন্ম | ? |
মৃত্যু | ২৬ মে, ১৯৩৩ |
প্রতিষ্ঠান | অনুশীলন সমিতি |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনএ অনশন ধরমঘট করে প্রাণত্যাগ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
মোহনকিশোর নমোদাসের জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচরে। তিনি ছিলেন বাংলার দলিত সম্প্রদায়ের এক অস্বচ্ছল কৃষক পরিবারের সন্তান।[1]
বিপ্লবী কর্মকান্ড
অনুশীলন বিপ্লবী দলের কর্মী হিসেবে নেত্রকোনা সোয়ারিকান্দা গ্রামে রাজনৈতিক ডাকাতির অভিযোগে অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি ১৯৩২ সনে গ্রেপ্তার হন। বিচারে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে ১৯৩৩ সালে দলবদ্ধ অনশন সংগ্রাম শুরু হলে তিনি তাতে অংশগ্রহণ করেন। অনশনরত অবস্থায় তার উপর যে অত্যাচার হয় তাতেই তিনি মারা যান।[1]
মৃত্যু
১৯৩৩ সনে অনশন চলাকালে তাকে জোর করে খাওয়াবার নাম করে বর্বর প্রাণ হত্যার কাজ চলে। এই আন্দোলনে মোহিতমোহন মৈত্র এবং মহাবীর সিংও শহীদ হয়েছিলেন।[1][2] মোহিতমোহন মৈত্র তার পাশের কেবিনে বন্দি ছিলেন এবং মোহিতমোহনের দুদিন আগে বিপ্লবী মোহনকিশোর মারা যান।[3] ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মোহনকিশোর এক বিস্মৃত ও অবহেলিত শহীদ।
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৮৫-৫৮৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৫।
- শৈলেশ দে, মৃত্যুর চেয়ে বড়, বিশ্ববাণী প্রকাশনী, কলিকাতা, প্রথম (বি) সংস্করণ অগ্রহায়ণ ১৩৯২, পৃষ্ঠা ১৭৫।