বজলুর রহমান

বজলুর রহমান (৩ আগস্ট ১৯৪১ - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০১২ সালে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।[1]

বজলুর রহমান
জন্ম৩ আগস্ট ১৯৪১
মৃত্যু২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮
পেশাসাংবাদিকতা, মুক্তিযোদ্ধা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

বজলুর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরনিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন।

কর্মজীবন

বজলুর রহমান ১৯৬১ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে সংবাদে যোগদান করেন এবং শুরু হয় সাংবাদিকতা।[2] কিছুদিন পর তিনি সংবাদের সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। আমৃত্যু তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকে কিছুদিন কাজ করেছেন। তার অংশগ্রহণ ছিলো মুক্তিযুদ্ধ, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, আটষট্টি-ঊনসত্তর-সত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে অনিয়ম, গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তখন তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে। এছাড়া ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ববাংলার মুক্তিসনদ ৬ দফা দাবি ঘোষণা করার পর বজলুর রহমান তা সক্রিয়ভাবে সমর্থন এবং এর পক্ষে সামগ্রিক জনমত গঠনে প্রচারাভিযান চালান।[3] তিনি বাসসের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মৃত্যু

বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান।[4]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সাংবাদিকতায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[5][6][7] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[8]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "বিডিনিউজ ২৪ ডট কম"। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১২
  2. দৈনিক সকালের খবর
  3. "দৈনিক সংবাদ"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১২
  4. দৈনিক ইত্তেফাক
  5. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  6. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.