এ কে আজাদ খান

অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক, সমাজসেবক। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক পান। [1]

এ কে আজাদ খান
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণসমাজসেবক, চিকিৎসক, অধ্যাপক
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার, (২০১৮)

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

এ কে আজাদের জন্ম বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামে। তার বাবার নাম ফজলুর রহমান খান।

শিক্ষাজীবন

পাদ্রীশিবপুরের সেন্ট আলফ্রেডস হাই স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেট্রিক পাস করেন এ কে আজাদ খান। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি।[2] ১৯৭০ সালে এফসিপিএস পাশ করেন আজাদ খান।

গবেষণা ও কর্মজীবন

কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়ে ১৯৭২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-এ গবেষণা শুরু করেন এ কে আজাদ খান। সেখানে তিনি ‘ইনফরমেটরি ভল ডিজিজেস’ নিয়ে কাজ করেন। সেই আলোকে নতুন ওষুধ তৈরি করা হয়। যে ওষুধটি আবিষ্কার করেন সেটির নাম—‘5-ASA Biased Drug’। ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্ত পড়ার চিকিৎসার এটি মূল ওষুধ। সেখান থেকে নানা ওষুধ বেরিয়েছে। এর মধ্যে ‘অ্যাসাকল’, ‘ম্যাসাকল’ উল্লেখযোগ্য।

সমাজসেবা

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি হাসপাতালে প্রথমে অনারারি রিসার্চ ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন এ কে আজাদ খান। ১৯৮৭-৮৮ সাল থেকে পার্টটাইম কাজ করতেন তিনি। ১৯৫৬ সালে চালু হওয়া এ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে পিজি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বারডেমে কাজ শুরু তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে বারডেমে বিনা বেতনে চাকরি করছেন আজাদ খান। ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ইন ডায়াবেটিস, এন্ড্রোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার (বারডেম)’ শুরু হয়েছিল তার হাত ধরেই। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসা জার্নালে এ কে আজাদ খানের ১৬৭টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করেছেন ‘ইব্রাহিম কার্ডিয়াক (হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)’, ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন), ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস’‘বাংলাদেশ এন্ড্রোক্লিন সোসাইটি’ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান চালুর মধ্য দিয়ে সমাজসেবায় নিজের অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন

এ কে আজাদ খানের স্ত্রী ডা. কিশোয়ার আজাদ। তার শশুর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম (চিকিৎসক)

পুরস্কার ও সম্মননা

  • স্বাধীনতা পদক, ২০১৮ [3]

তথ্যসূত্র

  1. "১৬ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার | banglatribune.com"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৪
  2. Kantho, Kaler। "মানবসেবাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-০১
  3. Kantho, Kaler। "স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন ১৬ বিশিষ্ট ব্যক্তি | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.