এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী
ডাঃ তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী (জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯৩৭) হলেন একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক, যিনি ডাঃ টিএ চৌধুরী নামে অধিক পরিচিত। তিনি ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এ্যান্ড রিসার্চ এর পরিচালক ছিলেন। ২০১৭ সালে চৌধুরী চিকিৎসা শাস্ত্রের গাইনোকোলজী এবং অবসটেট্রিক্সের অন্যান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কারে ভুষিত হন।[1]
এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ১০ অক্টোবর, ১৯৩৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
পরিচিতির কারণ | চিকিৎসক |
জন্ম ও শিক্ষা
তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলায়। তিনি ১৯৬০ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে গাইনোকলজিতে এমবিবিএস পাশ করেন এবং অনার্স মার্কসহ প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে তিনি লাহোরের কিং এডওয়ার্ড কলেজে এফআরসিএস পড়ার জন্য ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পড়ার পর সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ যান এবং সেখানে থেকে এফআরসিএস সম্পন্ন করেন। তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী ১৯৬৫ সালে রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ান এ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে এমআরসিওজি পাশ করেন।[2]
কর্মজীবন
তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী দেশে ফিরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চাকরির মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি ৬ বছর ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বদলি হন। ১৯৮০ দশকে চৌধুরী তৎকালীন ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এ্যান্ড রিসার্চ (IPGMR) যোগদেন এবং ১৯৮৭ সালে এর পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৯৪ সালে তিনি সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালে অবস. এ্যান্ড গাইনোকোলজী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চৌধুরী অবস. এ্যান্ড গাইনোকোলজী সোসাইটি বাংলাদেশে'র প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও পরবর্তীতে সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি এশিয়া এ্যান্ড ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অবস. এ্যান্ড গাইনোকোলজী'র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং 'সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অবস. এ্যান্ড গাইনোকোলজী'র প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
ছাত্র জীবনে চৌধুরী এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করায় এটিসিও গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন। নেপালে স্নাতকোত্তর চিকিৎসক বৃদ্ধিতে কাজ করায় নেপালের রাজা তাকে সে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোর্খা দক্ষিণ বাহু গোল্ড মেডেল প্রদান করে।[2] ২০১৭ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রের গাইনোকোলজী এবং অবসটেট্রিক্সের অন্যান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে। তিনি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ ফিজিশিয়ানস ও সার্জনস কলেজের সভাপতি ছিলেন। [3]
তথ্যসূত্র
- মণ্ডল (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "স্বাধীনতা পুরস্কার: ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্তভাবে মনোনীত"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭।
- "সর্বোচ্চ রাষ্ট্রসম্মান স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী :অভিনন্দন স্যার"। ডাক্তার প্রতিদিন। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৭-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১১।