আব্দুল মালিক

জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক (জন্মঃ ১ ডিসেম্বর ১৯২৯) হৃদরোগের চিকিৎসায় যিনি বাংলাদেশের দেশের পথিকৃৎ। তিনি সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক মনোনীত হয়েছেন।[1]

জাতীয় অধ্যাপক

আব্দুল মালিক
ডাঃ আব্দুল মালিক
জন্ম
আব্দুল মালিক

১ ডিসেম্বর ১৯২৯
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে
মৃত্যুজীবিত
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশী
পেশাজাতীয় অধ্যাপক
দাম্পত্য সঙ্গীআশরাফুন্নেসা খাতুন

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আব্দুল মালিক ১ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মাতার নাম- মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন।[2] প্রাইমারি স্কুল শেষে১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল। মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নিই। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় আমি ১১তম স্থান পান।আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[1]

পরিবার

তার স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তারা ০২ ছেলে ০১ মেয়ের জনক জননী। তার মেয়ে ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মোঃ মাসুদ মািলক একজন ব্যবসায়ী এবং অপরছেলে মোঃ মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।[1]

বর্তমান অবস্থান এবং কর্মকান্ড

প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারী জেনারেল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ,প্রেসিডেন্ট,এডভাইজরিকাউন্সিল,বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি,চেয়ারম্যান, একাডেমিক কাউন্সিল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনহাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট,উপদেষ্টা (অনারারী)ন্যাশনাল সেন্টার ফর কন্ট্রোল অবরিউমেটিক ফিভার এন্ড হার্ট ডিজিজেস,উপদেষ্টা , হাইপারটেনশন কমিটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনঅব বাংলাদেশ,সদস্য, ম্যানেজমেন্ট কমিটি, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট।জনাব মালিক ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান আর্মি মেডিকেলকারে যোগদান করেন।তিনি মিলিটারীহাসপাতাল রাউয়ালপিন্ডিতে কার্ডিয়াক সেন্টার প্রতিষ্টা করেন।১৯৭০ সালের জুন মাসে আই পি জিএম এন্ড আর ঢাকা এ যোগদান করেন এবং ১৯৭০-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি আই পি জি এম এন্ডআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেিডকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এ কার্ডিলজির অধ্যাপক হিসাবে কাজকরেন এবং কাডিয়াক ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি WHOএ Cardiovascular Disease ExpertPanel Committee তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। তিনি তত্ত্বাবধায়কসরকারের স্বা্সথ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ২০০১ সালে দায়িত্ব পালন করেন।[2]

পুরস্কার ও সম্মাননা

  1. ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার[2]
  2. ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসবে নির্বাচিত [2]

গ্রন্থ

তিনি "জীবনের কিছু কথা" এবং "আলোরপথ" নামে ০২ টি গ্রনথের রচয়িতা।[2]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.