বক্রেশ্বর শক্তিপীঠ
পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর শক্তিপীঠ বীরভূম জেলার পাপহরা নদীর তীরে অবস্থিত।এটি সিউড়ি শহর থেকে ২৪ কিমি এবং কলকাতা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে । মন্দির স্থাপত্য রেখ-দেউলরীতির। মন্দির কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে মহিশমর্দিনী ও বক্রেশ্বর মন্দির। প্রাক্তন প্রাচীন দেবীর প্রাচীন চিত্রকর্মগুলি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দ্বারা সুরক্ষিত।

কাহিনী

দেবী সতীর ভ্রূণের মধ্যবর্তী অংশ বা তার মন এই অঞ্চলে পতিত হয়েছিলেন যখন ভগবান বিষ্ণু সতীর দেহ সুদর্শন চক্র দিয়ে খণ্ডিত করেছিলেন।খণ্ডিত অংশগুলি পরে এক একটি মন্দিরে পরিণত হয় ও শক্তিপীঠে পরিণত হয়।[1] কথিত আছে সত্যযুগে লক্ষ্মী ও নারায়ণএর বিয়েতে সুব্রত মুনিকে ইন্দ্র অপমান করেন।রাগে ঋষির দেহ আট বাঁকে বেঁকে যায়। তিনি অষ্টাবক্র ঋষি নামে পরিচিত হন। মহামুনি অষ্টাবক্র এখানে শিবের ধ্যান করেন ও পাপহরা নদীতে স্নানের পর পাপমুক্ত হন।তার নামে তাই মহাদেবের নাম এখানে বক্রেশ্বর ।
এটি অন্যতম একটি মহাশক্তি পীঠ হিসেবে বিবেচিত।
দেবী ও ভৈরব


এখানে দেবী মহিষমর্দিনী (মহিষাসুর বধকারী) ও ভৈরব বক্রনাথ বা বক্রেশ্বর।দেবীর পিতলের মূর্তি ও দশভুজা।
অন্যান্য

পাপহরা নদী পাপমুক্ত করে বলা হয়।এ নদীতেই মহামুনি অষ্টাবক্র স্নান করেছিলেন। এই অঞ্চল বিশেষ করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জন্য পরিচিত । এ অঞ্চলের আশেপাশে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে - পাপহরা গঙ্গা, বৈতরণী গঙ্গা, খরকুণ্ড, ভৈরবকুণ্ড, অগ্নিকুণ্ড, দুধকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, ব্রহ্মাকুণ্ড, অমৃতকুণ্ড।এগুলোতে স্নান করলে রোগমুক্তি হয়। প্রতিটি প্রস্রবণের কাছে শিবলিঙ্গ আছে।শ্বেতগঙ্গার কাছে এক পুরনো বট গাছের তলায় ভগ্ন হরগৌরী মূর্তি রয়েছে।
পূজা ও উৎসব
এখানে শিবরাত্রিতে প্রচুর লোক পূজা দিতে আসে ও বিরাট মেলা বসে।[2]
তথ্যসূত্র
- সেনগুপ্ত, দয়াল। "সতীপীঠের টানেই আসেন দেশবিদেশের পর্যটক - Anandabazar"। anandabazar.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২০।
- "BAKRESHWAR TEMPLE - WEST BENGAL TOURISM"। www.wbtourismgov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২০।