গাউসুল আলম শাওন

সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন-লেখক, চলচ্চিত্রের কাহিনীরচয়িতা এবং চিত্রনাট্যকার। পাশাপাশি কিছু বিজ্ঞাপন এবং আয়নাবাজি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছেন। উল্লেখ্য, আয়নাবাজির কাহিনী তার রচিত এবং ছবিটি বাংলাদেশে জনপ্রিয় ও প্রশংসিত হয়। ২০১৬ সালের আয়নাবাজি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক বিভাগে অনম বিশ্বাসের সাথে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশী
যেখানের শিক্ষার্থীজওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাকাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, বিজ্ঞাপনলেখক
কার্যকাল২০০১বর্তমান
প্রতিষ্ঠানগ্রে অ্যাডভার্টাইজ লিমিটেড
পরিচিতির কারণবিজ্ঞাপনের কাহিনী লেখা
উল্লেখযোগ্য কর্ম
আয়নাবাজি, আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ

কর্মজীবন

শাওন ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্র্যান্ড মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। সাত বছর পড়াশোনার পর এক বছর সেখানে একটি চাকরি করেন এবং ২০০০ সালে দেশে ফেরেন। প্রথমে ইউনিক ট্রেন্ড অ্যাডভার্টাইজিং ফার্মে কিছুদিন কাজ করেন। পরে তা ছেড়ে এশিয়াটিক এবং শেষে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডে যোগদান করেন। গ্রে-তে তিনি ম্যানেজিং পার্টনার এবং কান্ট্রি হেড হিসেবে কর্মরত আছেন।[1]

বিনোদন জগতে

অ্যাডভার্টাইজিং ফার্মে শাওন বিজ্ঞাপন লেখক হিসেবে কাজ করেন এবং এপর্যন্ত অনেক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের কাহিনী লিখেছেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপনগুলো হলো- গ্রামীণফোন বিউটিফুল বাংলাদেশ, গ্রামীণ কাছে আসার গল্প, বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড, চলো বহুদূর, আমরা আমরাই তো, ফ্রুটিকা, প্রথম আলোর বদলে যাও বদলে দাও।[1] শাওন প্রথম অভিনয় করেন মতিয়া বানু শুকুর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে; এছাড়া দুয়েকটি বিজ্ঞাপনেও তিনি অভিনয় করেছেন।

আয়নাবাজি

পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সত্য ঘটনা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি অপরাধধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র আয়নাবাজির কাহিনী লিখতে শুরু করেন, সঙ্গে ছিলেন অনম বিশ্বাস।[2] পরে দুজনে মিলে চিত্রনাট্য তৈরি করেন এবং সংলাপ লেখেন অনম ও আদনান আদীব খান। এর আগে শাওনের কয়েকটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলেন অমিতাভ রেজা, তিনিই ছবিটি পরিচালনা করেন। শাওন নিজেও ছবিতে গাউসুল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পায় এবং দর্শক-সমালোচকদের মাঝে প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি ছবিটি একাধিক সেরা চলচ্চিত্রের পুরষ্কার জিতে নেয়।

২০১৭ সালের এপ্রিলে আয়নাবাজির থিম অবলম্বন করে আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ নামে সাতটি নাটক নির্মিত হয়, যার মধ্যে চারটি নাটকের কাহিনী লেখেন শাওন। এই টিভি সিরিজটিও দর্শকদের বেশ প্রশংসা লাভ করে। যাইহোক, জানা গেছে যে শাওন এরপরে নতুন একটি রোমান্টিক ছবির কাহিনী লিখেছেন এবং চিত্রনাট্য তৈরি করছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "'পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাড়াবে'"ঢাকা টাইমস। ১৬ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৭
  2. "আড্ডায় আয়নাবাজি"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.