আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বা আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি২০ (ইংরেজি: ICC World Twenty20) ক্রিকেটের টুয়েন্টি২০ পদ্ধতির আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতাবিশেষ। এটি কখনো কখনো 'টি২০ বিশ্বকাপ' নামে পরিচিতি পেয়ে থাকে। প্রতিযোগিতাটি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত হয়। প্রতিযোগিতায় ১২ দলের অংশগ্রহণ থাকে। তন্মধ্যে ১০টি আইসিসি'র পূর্ণ সদস্যভূক্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বাকী দুইটি দলের অংশগ্রহণের জন্যে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ যোগ্যতা নির্ধারণী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। অতঃপর শীর্ষস্থানীয় দুই দল আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি২০ খেলায় অংশ নেয়। বর্তমানে প্রতিযোগিতাটি প্রতি দুই বছর অন্তর অণুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ | |
---|---|
টি২০/টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ ট্রফি | |
ব্যবস্থাপক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
খেলার ধরন | টুয়েন্টি২০ |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০০৭, দক্ষিণ আফ্রিকা |
শেষ টুর্নামেন্ট | ২০১৪, বাংলাদেশ |
পরবর্তী টুর্নামেন্ট | ২০১৬, ভারত |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড-রবিন, সুপার-টেন পর্ব ও নক-আউট |
দলের সংখ্যা | ১৬ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ![]() |
সর্বাধিক সফল | />![]() |
সর্বাধিক রান | ![]() |
সর্বাধিক উইকেট | ![]() |
নিয়ম-কানুন
গ্রুপ পর্ব এবং সুপার এইটে ফলাফল নির্ধারণের জন্যে নিম্নবর্ণিত পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে:
ফলাফল | পয়েন্ট |
---|---|
জয় | ২ পয়েন্ট |
ফলাফল না হলে | ১ পয়েন্ট |
পরাজয় | ০ পয়েন্ট |
কোন কারণে যদি টাই হয়, তাহলে সুপার ওভারের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। [1] আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডকে প্রথম দুইটি প্রতিযোগিতা আয়োজনে প্রথমদিককার স্বাগতিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে যারা এ পদ্ধতিকে শুরু থেকেই গ্রহণ করে।[2] ২০১৬ সালে ভারত এ প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক দেশ হিসেবে মনোনীত হয়।[3]
পরিসংখ্যান
পুরুষ
সাল | স্বাগতিক দেশ | চূড়ান্ত খেলার মাঠ | চূড়ান্ত খেলা | ||
---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | রানার-আপ | |||
২০০৭ সার-সংক্ষেপ |
![]() দক্ষিণ আফ্রিকা |
ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ | ![]() ১৫৭/৫ (২০ ওভার) |
ভারত ৫ রানে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১৫২ (১৯.৩ ওভার) |
২০০৯ সার-সংক্ষেপ |
![]() ইংল্যান্ড |
লর্ডস, লন্ডন | ![]() ১৩৯/২ (১৮.৪ ওভার) |
পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১৩৮/৬ (২০ ওভার) |
২০১০ সার-সংক্ষেপ |
![]() ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
কেনসিংটন ওভাল, বার্বাডোজ | ![]() ১৪৮/৩ (১৭ ওভার) |
ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১৪৭/৬ (২০ ওভার) |
২০১২ সার-সংক্ষেপ |
![]() শ্রীলঙ্কা |
আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো | ![]() ১৩৭/৬ (২০ ওভার) |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৬ রানে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১০১/১০ (১৮.৪ ওভার) |
২০১৪ সার-সংক্ষেপ |
![]() বাংলাদেশ |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা | ![]() ১৩৪/৪ (১৭.৫ ওভার) |
শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১৩০/৪ (২০ ওভার) |
২০১৬ সার-সংক্ষেপ |
![]() ভারত |
ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা | ![]() ১৫৫/৯ (২০ ওভার) |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে বিজয়ী | ![]() ১৬১/৬ (১৯.৪ ওভার) |
২০২০ সার-সংক্ষেপ |
![]() অস্ট্রেলিয়া |
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি |
প্রমিলা
সাল | স্বাগতিক দেশ | চূড়ান্ত খেলার মাঠ | চূড়ান্ত খেলা | ||
---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | রানার-আপ | |||
২০০৯ সার-সংক্ষেপ |
![]() ইংল্যান্ড |
লর্ড’স, লন্ডন | ![]() ৮৬/৪ (১৭ ওভার) |
ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী | ![]() ৮৫ (১০ ওভার) |
২০১০ সার-সংক্ষেপ |
![]() ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
কেনসিংটন ওভাল, বার্বাডোজ | ![]() ১০৬/৮ (২০ ওভার) |
অস্ট্রেলিয়া ৩ রানে জয়ী | ![]() ১০৩/৬ (২০ ওভার) |
২০১২ সার-সংক্ষেপ |
![]() শ্রীলঙ্কা |
আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো | ![]() ১৪২/৪ (২০ ওভার) |
অস্ট্রেলিয়া ৪ রানে জয়ী স্কোরকার্ড |
![]() ১৩৮/৯ (২০ ওভার) |
২০১৪ সার-সংক্ষেপ |
![]() বাংলাদেশ |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি |
২০১৬ সার-সংক্ষেপ |
![]() ভারত |
ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা | ![]() |
নির্ধারিত হয়নি | ![]() |
২০২০ সার-সংক্ষেপ |
![]() অস্ট্রেলিয়া |
নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি | নির্ধারিত হয়নি |
দলীয় অবস্থান
নিচের সারণীতে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতাসমূহে অংশগ্রহণকারী দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে:
পুরুষ
দল | অংশগ্রহণ | শুরু | সর্বশেষ | সেরা ফলাফল | খেলা সংখ্যা | জয় | পরাজয় | টাই | ফলাফল হয়নি | শতাংশ (%) |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | চ্যাম্পিয়ন, ২০০৯ | ২৬ | ১৬ | ৯ | ১ (০) | ০ | ৬৩.৪৬ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১৪ | চ্যাম্পিয়ন, ২০০৭ | ২৭ | ১৭ | ৯ | ১ (১) | ১ | ৬২.৯৬ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | চ্যাম্পিয়ন, ২০১০ | ২২ | ১০ | ১১ | ০ | ১ | ৪৫.৪৫ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | চ্যাম্পিয়ন, ২০১২ | ২০ | ৯ | ৯ | ১ (১) | ১ | ৪৭.৫০ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১৪ | চ্যাম্পিয়ন, ২০১৪ | ৩১ | ২১ | ৯ | ১ (১) | ০ | ৬৯.৩৫ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | রানার-আপ, ২০১০ | ২১ | ১৩ | ৮ | ০ | ০ | ৬১.৯০ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | সেমি-ফাইনাল, ২০০৭ | ২১ | ১৩ | ৮ | ০ | ০ | ৬১.৯০ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১২ | সেমি-ফাইনাল, ২০০৭ | ২১ | ৯ | ১০ | ২ (০) | ০ | ৪৭.৬২ |
![]() |
৪ | ২০০৯ | ২০১২ | সুপার এইট, ২০০৯ | ৯ | ১ | ৬ | ০ | ২ | ১১.১১ |
![]() |
৫ | ২০০৭ | ২০১৪ | সুপার এইট, ২০০৭, সুপার টেইন, ২০১৪ | ১৮ | ৩ | ১৫ | ০ | ০ | ১৬.৬৭ |
![]() |
২ | ২০০৯ | ২০১৪ | সুপার টেইন, ২০১৪ | ৯ | ৪ | ৫ | ০ | ০ | ৪৪.৪৪ |
![]() |
৪ | ২০০৭ | ২০১৪ | গ্রুপ পর্ব | ৬ | ১ | ৫ | ০ | ০ | ১৬.৬৭ |
![]() |
২ | ২০০৭ | ২০০৯ | গ্রুপ পর্ব | ৪ | ০ | ৩ | ০ | ১ | ০.০০ |
![]() |
৩ | ২০১০ | ২০১৪ | গ্রুপ পর্ব | ৪ | ০ | ৪ | ০ | ০ | ০.০০ |
![]() |
১ | ২০০৭ | ২০০৭ | গ্রুপ পর্ব | ২ | ০ | ২ | ০ | ০ | ০.০০ |
- বন্ধনীতে সুপার ওভার কিংবা বোল আউট অথবা টি২০ ক্রিকেটে টাই ম্যাচে জয় নির্ধারণে ব্যবহৃত অন্য যে-কোন পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধরনের বিষয়গুলোর মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হলেও তা অর্ধ-জয় হিসেবে গণনা করা হয়।
প্রমিলা
দল | অংশগ্রহণ | শুরু | সর্বশেষ | সেরা ফলাফল | খেলা সংখ্যা | জয় | পরাজয় | টাই | ফলাফল হয়নি | শতাংশ (%) |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | চ্যাম্পিয়ন (২০১০, ২০১২) | ৯ | ৭ | ২ | ০ | ০ | ৭৭.৭৭ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | চ্যাম্পিয়ন (২০০৯) | ৮ | ৬ | ২ | ০ | ০ | ৬৬.৬৬ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | রানার-আপ (২০০৯, ২০১০) | ১০ | ৮ | ২ | ০ | ০ | ৮০.০০ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | সেমি-ফাইনাল (২০০৯, ২০১০) | ৮ | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ৫০.০০ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | সেমি-ফাইনাল (২০১০, ২০১২) | ৭ | ৩ | ৪ | ০ | ০ | ৪২.৮৫ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | গ্রুপ পর্ব | ৭ | ২ | ৫ | ০ | ০ | ২৮.৫৭ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | গ্রুপ পর্ব | ৭ | ১ | ৬ | ০ | ০ | ১৪.২৯ |
![]() |
৩ | ২০০৯ | ২০১২ | গ্রুপ পর্ব | ৯ | ১ | ৮ | ০ | ০ | ১১.১১ |
তথ্যসূত্র
- [
> আবার সুপার ওভারেও যদি একই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে যে দল তাদের ইনিংসে সর্বাধিক ছয় বা ছক্কা মেরেছে, তাদেরকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। এ প্রক্রিয়া প্রতিযোগিতার সবগুলো খেলার জন্যেই প্রযোজ্য হবে। ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় এ নিয়ম প্রবর্তিত ও প্রচলন ঘটানো হয়নি। তখন বোল-আউটের মাধ্যমে টাই ভাঙ্গা হতো।
প্রত্যেক গ্রুপ ও সুপার এইট পর্বে দলের শীর্ষস্থান নির্ধারণে নিম্নবর্ণিত শর্তাদি রাখা হয়েছে:<ref>[
- সর্বোচ্চসংখ্যক পয়েন্ট সংগ্রহ
- সমান হলে, সর্বাধিক জয়
- তারপরও সমান হলে, সর্বোচ্চ নেট রান রেট
- তারপরও সমান হলে, সর্বনিম্ন বোলিং স্ট্রাইক রেট
- তারপরও সমান হলে, একে-অপরের বিরুদ্ধে ফলাফল
স্বাগতিক দেশ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ ভোটের মাধ্যমে আগ্রহী দেশের দরপত্র পর্যবেক্ষণপূর্বক তাদের আগ্রহে এ প্রতিযোগিতার স্বাগতিক দেশ নির্ধারণ করে থাকেন। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশের মর্যাদা লাভ করে।<ref>Bangladesh to host World Twenty20 2014 Cricinfo, retrieved 1 July 2010 - "ICC events". Cricinfo. Retrieved 2006.
- "For next five years, all T20 action in subcontinent". The Times of India. 18 March 2011.