একক-বিদায় প্রতিযোগিতা

একক-বিদায় প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগীকে পরাজয়বরণ করা মাত্র নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়। এ পদ্ধতিতে পরাজিত দল বা ব্যক্তি চ্যাম্পিয়নশীপ বা প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয় ও প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে। এ ধরনের বিদায়ী প্রতিযোগিতাকে অলিম্পিক পদ্ধতি প্রতিযোগিতা, নক-আউট কিংবা আকস্মিক বিদায় প্রতিযোগিতা নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।

ব্যবহারের ক্ষেত্র

অনেক সময় পরাজিত দলও পুণরায় খেলার সুযোগ পায়। কিছু প্রতিযোগিতায় পরাজিত দলসমূহকে স্বান্তনাসূচক অথবা স্থান নির্ধারণী খেলায় অংশ নিতে হয় যাতে তুলনামূলকভাবে ভাল অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: সেমি-ফাইনালে পরাজিত দলসমূহ তৃতীয় স্থান নির্ধারণের লক্ষ্যে অংশ নিয়ে থাকে। কিছু প্রতিযোগিতায় প্রকৃতই একক-বিদায় প্রতিযোগিতা পদ্ধতির আয়োজন করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেকগুলো ধাঁপ অবলম্বন করে। সেখানে স্থান নির্ধারণের মাধ্যমে অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

প্রচলন

ইংরেজ জাতিগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিযোগিতায় যদি আট প্রতিযোগী বাকী থাকে তা কোয়ার্টার-ফাইনাল রাউন্ড নামে সচরাচর পরিচিতি ঘটানো হয়। এর পরবর্তী ধাঁপ হিসেবে সেমি-ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যা চার-দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে বিজয়ী দুই দল ফাইনাল বা চ্যাম্পিয়নশীপ রাউন্ডে অংশ নেয়। কোয়ার্টার-ফাইনালের পূর্বেকার রাউন্ড ১৬-দলীয় রাউন্ড, লাস্ট সিক্সটিন নামে পরিচয় পায়। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে তা প্রাক-কোয়ার্টার-ফাইনাল নামে পরিচিত।

শুরুর দিকের রাউন্ডগুলো সাধারণতঃ নম্বরসূচক হিসেবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কিছু প্রতিযোগী যদি বাই লাভ করেন তা সাধারণতঃ প্রথম রাউন্ড এবং শুরুর দিকের খেলাগুলো প্রাথমিক রাউন্ড নামে পরিচয় পায়।

উদাহরণ

২০০৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের মহিলা এককে নক-আউট প্রতিযোগিতার শেষ তিন রাউন্ডের বিবরণ দেয়া হলো:-

  কোয়ার্টার-ফাইনাল সেমি-ফাইনাল ফাইনাল
                                       
  ১৩   দিনারা সাফিনা  
  এলেনা ডেমেনতিয়েভা  
  ১৩   দিনারা সাফিনা    
    সভেতলানা কুজনেতসোভা    
  সভেতলানা কুজনেতসোভা  
      কাইয়া কানেপি    
    ১৩   দিনারা সাফিনা  
    আনা ইভানোভিচ  
  কো   কার্লা সুয়ারেজ নাভারো    
  জেলেনা জানকোভিচ    
    জেলেনা জানকোভিচ
    আনা ইভানোভিচ  
১০   প্যাটি স্নাইডার  
    আনা ইভানোভিচ    

শ্রেণীবিন্যাস

খেলাগুলো যখন স্থান কিংবা পুরস্কারের চেয়ে নিম্নমানের হয় তখন তা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী পর্যায়ে উপনীত হয়। চূড়ান্ত খেলার মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণ করা হয়। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় বিজয়ী দল তৃতীয় ও পরাজিত দল চতুর্থ স্থান পায়। অলিম্পিক ক্রীড়ায় একক-বিদায় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হলেও সেমি-ফাইনালে পরাজিত দলকে ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তির লক্ষ্যে পুণরায় খেলার প্রয়োজন পড়ে না। ফিফা বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে খেলা আয়োজন করছে। কিন্তু ১৯৮০ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতা থেকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা আয়োজন করছে না।

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.