সিজিয়াম

সিজিয়াম একটি রাসায়নিক উপাদান যার সংকেত Cs এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৫৫। এটি একটি নরম রূপালি-স্বর্ণালি ক্ষার ধাতু, যার গলনাঙ্ক ২৮° সে., যা এটাকে ৫ টি ধাতুর একটি করেছে যে ধাতুসমূহ সাধারণ কক্ষ তাপমাত্রায় বা কক্ষ তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি তাপমাত্রায় তরল অবস্হায় থাকে। সিজিয়াম একটি ক্ষার ধাতু এবং এটির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট রুবিডিয়ামপটাসিয়ামের মতই। এটি অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল এবং পাইরোফোরিক, এমনকি -১১৬ সে. (-১৭৭ ফা.) তাপমাত্রায়ও এটি পানির সাথে বিক্রিয়া করে। এটি নূন্যতম ইলেক্ট্রোনেগেটিভ উপাদান যার একটি স্থিতিশীল আইসোটোপ রয়েছে এবং তা হল সিজিয়াম-১৩৩

সিজিয়াম   ৫৫Cs
পরিচয়
নাম, প্রতীকসিজিয়াম, Cs
উচ্চারণ/ˈsziəm/ SEE-zee-əm
উপস্থিতিরূপালি স্বর্ণ
পর্যায় সারণীতে সিজিয়াম
Rb

Cs

Fr
জেননসিজিয়ামবেরিয়াম
পারমাণবিক সংখ্যা55
আদর্শ পারমাণবিক ভর১৩২.৯০৫৪৫১৯৫(৬)
মৌলের শ্রেণীalkali metal
শ্রেণী, পর্যায়, ব্লকgroup 1 (alkali metals), পর্যায় , এস-ব্লক
ইলেকট্রন বিন্যাস[Xe] ৬s
per shell: ২, ৮, ১৮, ১৮, ৮, ১
ভৌত বৈশিষ্ট্য
দশাsolid
গলনাঙ্ক৩০১.৭ কে (২৮.৫ °সে, ৮৩.৩ °ফা)
স্ফুটনাঙ্ক৯৪৪ K (৬৭১ °সে, ১২৪০ °ফা)
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে)১.৯৩ g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa)
তরলের ঘনত্বm.p.: ১.৮৪৩ g·cm−৩
পরম বিন্দু১৯৩৮ কে, ৯.৪[1] MPa
ফিউশনের এনথালপি২.০৯ kJ·mol−১
বাষ্পীভবনের এনথালপি৬৩.৯ kJ·mol−১
তাপ ধারকত্ব৩২.২১০ J·mol−১·K−১
বাষ্প চাপ
P (Pa) ১০ ১০০  k ১০ k ১০ k
at T (K) ৪১৮ ৪৬৯ ৫৩৪ ৬২৩ ৭৫০ ৯৪০
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
জারণ অবস্থা, −১
(দৃঢ় মৌলিক অক্সাইড)
তড়িৎ-চুম্বকত্ব০.৭৯ (পলিং স্কেল)
পারমাণবিক ব্যাসার্ধempirical: ২৬৫ pm
সমযোজী ব্যাসার্ধ২৪৪±১১ pm
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ343 pm
বিবিধ
কেলাসের গঠন body-centered cubic (bcc)
তাপীয় প্রসারাঙ্ক৯৭ µm·m−১·K−১ (২৫ °সে-এ)
তাপীয় পরিবাহিতা৩৫.৯ W·m−১·K−১
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা২০ °সে-এ: ২০৫ n Ω·m
চুম্বকত্বparamagnetic[2]
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক১.৭ GPa
আয়তন গুণাঙ্ক১.৬ GPa
(মোজ) কাঠিন্য০.২
ব্রিনেল কাঠিন্য০.১৪ MPa
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা7440-46-2
ইতিহাস
আবিষ্কাররবার্ট বুনসেন and Gustav Kirchhoff (১৮৬০)
প্রথম বিচ্ছিন্ন করেনCarl Setterberg (১৮৮২)
সবচেয়ে স্থিতিশীল আইসোটোপ
iso NA অর্ধায়ু DM DE (MeV) DP
১৩৩Cs ১০০% - (স বি) <৩৪.৫৭৩
১৩৪Cs কৃ ২.০৬৪৮ ε ১.২২৯ ১৩৪জে
β ২.০৫৯ ১৩৪বে
১৩৫Cs ট্রে ২.৩×১০ β ০.২৬৯ ১৩৫বে
১৩৭Cs ট্রে ৩০.১৭ ব[3] β ১.১৭৪ ১৩৭বে
Decay modes in parentheses are predicted, but have not yet been observed

দুই জার্মান রসায়নবিদ, রবার্ট বুনসেন এবং Gustav Kirchhoff, শিখা বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র এর সদ্য উন্নত পদ্ধতি দ্বারা ১৮৬০ সালে সিজিয়াম আবিষ্কার করেন। ১৯৬০ সালে, আইনস্টাইন দ্বারা নির্ধারিত আলোর গতি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ধ্রুবক মাত্রা এর উপর ভিত্তি করে, আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি সেকেন্ড এবং মিটার কে সহ-সংজ্ঞায়িত করার জন্য সিজিয়াম-১৩৩ এর একটি নির্গমন বর্ণালী থেকে দুটি নির্দিষ্ট ভিন্ন তরঙ্গ গণনা করেন। তখন থেকে পারমাণবিক ঘড়িসমূহে ব্যাপকভাবে সিজিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.