রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (কনকচাঁপা নামেই পরিচিত) (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী।যার গান এখনো কোটি শ্রোতার মুখে মুখে।
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা | |
---|---|
![]() নিজ বাড়িতে কনকচাঁপা | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম নাম | কনকচাঁপা |
জন্ম | ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সিরাজগন্জ রাজশাহী, বাংলাদেশ |
ধরন | আধুনিক গান, সিনেমার গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি |
পেশা | সংগীত শিল্পী |
জন্ম
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯, সিরাজগন্জ রাজশাহী বাংলাদেশ। বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রুমানা তৃতীয়।[1]
সঙ্গীত জীবন
চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি সহ প্রায় সবধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। বর্তমানে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ৩৪ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন।এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে তার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আবার এসেছি ফিরে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনুরের প্রায় প্রতিটি গানেই কনক চাঁপা কন্ঠ দিয়েছেন।তার গান মানেই তুমুল শ্রোতাপ্রিয়।
লেখক জীবন
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত রয়েছে। বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলামও লেখেন তিনি।[2]
সঙ্গীত সাধনা
কনকচাঁপা বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত কন্ঠশীল্পি বশীর আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তার কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুল সঙ্গীতসহ অন্যান্য ভারতীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন।[3] তবে আজ এই পর্যায়ে আসার জন্য তিনি সব সময় তার পিতা আজিজুল হক মোর্শেদ ও স্বামী মইনুল ইসলাম খান—এ দুজনের অবদানকেই অগ্রগণ্য করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=প্রাণ আপ গল্প স্বল্প গানে স্বামীকে নিয়ে কনক চাঁপা|
প্রকাশিত কয়েকটি এলবাম
- পদ্মপুকুর
- পদ্মপাতা
- বিরহের স্বরলিপি
- একটা গান লিখ
- তালপাতার বাঁশি
- তুমি আমার জীবন
জনপ্রিয় কিছু গান
- ছোট্ট একটা জীবন
- অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন
- তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই
- ভাল আছি ভাল থেক
- যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয় (খালিদ হাসান মিলুর সাথে)
- আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার
- তোমায় দেখলে মনে হয়
- আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে
- অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে
- তুমি আমার এমনই একজন
- নীলাঞ্জনা নামে ডেক না
- বিরহে পোড়াইলা তুমি আমার এ অন্তর
- থাকত যদি প্রেমের আদালত
"**এমন একটা দিন নাই* **আমি মেলা থেকে তাল পাতার**
**তুমি মোর জীবনের ভাবনা**
- কোন কাননের ফুল গো তুমি**
- প্রেম হুইলোরে বাবুই পাখির বাসা**
এছাড়া আরো অসংখ্য জনপ্রিয় গান বা অমর সৃষ্টির শিল্পী তিনি।
পুরস্কার ও সম্মাননা
নারী শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক কন্ঠশিল্পী হিসেবে রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের পরে তিনিই একাধিক তিনবার জাতীয় চলচ্চিত পুরস্কার লাভ করেন
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৩ বার)
- বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার
- দর্শক ফোরাম পুরস্কার ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯
- প্রযোজক সমিতি পুরস্কার ১৯৯৫
- অনন্যা শীর্ষ দশ
- প্রথম আলো-মেরিল পাঠক জরিপ (৪ বার)
এছাড়া আরো অসংখ্য সম্মান ও পুরস্কারে ভুষিত হন।
তথ্যসূত্র
- "শিরোনাম: সর্বহারা দলের আঞ্চলিক প্রধান বন্দুকযুদ্ধে নিহত কিশোরী বেলায় কেমন ছিল কনক চাঁপা"। ournewsbd.com। অক্টোবর ২২, ২০১৫। ২৩ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- "সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চান কনকচাঁপা"।
- "গান-গল্পঃ শিল্পী কনক চাঁপা"। বিবিসি বাংলা। 23 নভেম্বর, 2012। সংগ্রহের তারিখ 28 ফেব্রুয়ারি 2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)