ঠাকুর পরিবার
ঠাকুর পরিবার কলকাতার একটি খ্যাতনামা পরিবার। এই পরিবারের ইতিহাস প্রায় তিনশো বছরের।[1] বাংলার নবজাগরণে এই পরিবারের প্রভাব অত্যন্ত গভীর।[1] এই পরিবারের সদস্যেরা অনেকেই বাণিজ্য, সমাজ সংস্কার, ধর্মসংস্কার আন্দোলন, সাহিত্য, শিল্পকলা ও সংগীতের জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।[1][2]
ঠাকুর পরিবার | |
গোবিন্দপুর | |
---|---|
[পঞ্চানন] · [শুকদেব] | |
[জয়দেব] | |
পাথুরিয়াঘাটা | |
দর্পনারায়ণ | |
গোপীমোহন | |
চন্দ্রকুমার · প্রসন্নকুমার | |
জ্ঞানেন্দ্রমোহন | |
যতীন্দ্রমোহন · শৌরীন্দ্রমোহন | |
শৌতীন্দ্রমোহন | |
জোড়াসাঁকো | |
নীলমণি ঠাকুর | |
রামলোচন · রামমণি · রামবল্লভ | |
দ্বারকানাথ · রমানাথ | |
দেবেন্দ্রনাথ · গিরীন্দ্রনাথ · নগেন্দ্রনাথ | |
দেবেন্দ্রনাথের বংশ | |
প্রথম প্রজন্ম | |
দ্বিজেন্দ্রনাথ · সত্যেন্দ্রনাথ | |
হেমেন্দ্রনাথ · বীরেন্দ্রনাথ | |
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ · সোমেন্দ্রনাথ | |
রবীন্দ্রনাথ · সৌদামিনী | |
সুকুমারী · শরৎকুমারী | |
স্বর্ণকুমারী · বর্ণকুমারী | |
দ্বিতীয় প্রজন্ম | |
দ্বিজেন্দ্রনাথের সন্তান | |
দ্বিপেন্দ্রনাথ · অরুণেন্দ্রনাথ | |
নীতীন্দ্রনাথ · সুধীন্দ্রনাথ | |
কৃতেন্দ্রনাথ | |
সত্যেন্দ্রনাথের সন্তান | |
সুরেন্দ্রনাথ · ইন্দিরা | |
হেমেন্দ্রনাথের সন্তান | |
হিতেন্দ্রনাথ · ক্ষিতীন্দ্রনাথ | |
ঋতেন্দ্রনাথ · প্রতিভা | |
প্রজ্ঞা ·অভি · মণীষা | |
শোভনা · সুষমা | |
সুনৃতা · সুদক্ষিণা | |
পূর্ণিমা | |
বীরেন্দ্রনাথের সন্তান | |
বলেন্দ্রনাথ | |
রবীন্দ্রনাথের সন্তান | |
রথীন্দ্রনাথ · শমীন্দ্রনাথ | |
মাধুরীলতা · রেণুকা | |
মীরা | |
গিরীন্দ্রনাথের বংশ | |
প্রথম প্রজন্ম | |
গণেন্দ্রনাথ · গুণেন্দ্রনাথ | |
দ্বিতীয় প্রজন্ম | |
গুণেন্দ্রনাথের সন্তান | |
গগনেন্দ্রনাথ | |
অবনীন্দ্রনাথ · সুনয়নী | |
পারিবারিক ইতিহাস
ঠাকুর পরিবারের আদি পদবী কুশারী এবং আদিনিবাস অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কুশো নামক গ্রামে ৷এঁরা হলেন শাণ্ডিল্য গোত্রীয় রাঢ়ী ব্রাহ্মণ ৷রবীন্দ্রজীবনীকার শ্রী প্রভাত মুখোপাধ্যায় তার "রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্র সাহিত্য প্রবেশিকা" গ্রন্থের প্রথম খন্ডের ২ নং পৃষ্ঠায় ঠাকুর পরিবারের বংশপরিচয় দিতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, "কুশারীরা হলেন ভট্টনারায়ণের পুত্র দীন কুশারীর বংশজাত; দীন মহারাজ ক্ষিতিশূরের নিকট "কুশ" নামক গ্রাম (বর্ধমান জিলা) পাইয়া গ্রামীণ হন এবং কুশারী নামে খ্যাত হন ৷দীন কুশারীর অষ্টম কি দশম পুরুষ পরে জগন্নাথ ৷"[3]
উৎপত্তি
পূর্বে পরিবারটির পদবি ছিল কুশারী, যা বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলা থেকে আগত। পঞ্চানন ও শুকদেব নামে দু’জন কুশারী গোবিন্দপুরএ বসত গড়ে তোলেন, যা পরবর্তীতে রূপান্তরিত কলকাতা শহরের একটি গ্রাম। তারা জাহাজ ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েন। ব্রাহ্মণ হবার কারণে প্রতিবেশীরা তাদের ঠাকুরমশাই বলে ডাকতেন। ব্রিটিশরা দেশের ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর “ঠাকুর” তাদের পারিবারিক পদবীতে রূপান্তরিত হয়। ইংরেজদের সুবিধার্থে তা ‘Tagore’ বা ‘ট্যাগোর’ এ রূপান্তরিত হয়।
দর্পনারায়ণ ঠাকুর (১৭৩১-১৭৯১), পরিবারের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। তিনি টাকা-ঋণ দিয়ে মুনাফা লাভ করেন এবং উপার্জনের সাথে সমানতালে খরচ করেন। দর্পনারায়ণের সাথে তার ভাই নীলমণি ঠাকুর এর বিতণ্ডা হলে নীলমণি পরিবার নিয়ে মেছুয়াবাজারে চলে যান, যা পরবর্তীতে জোড়াসাঁকো নামে পরিচিত পায়। ধারাবাহিকতায় পরিবারের আরো কিছু শাখা পাথুরিয়াঘাট, কাইলাহাটা ও চরবাগানে চলে আসে। এই এলাকাগুলো ছিল নবগঠিত মহানগরীর অঞ্চল, বিশেষ করে যখন ব্রিটিশরা গোবিন্দপুরকে নতুন ফোর্ট উইলিয়াম হিসেবে গড়ে তোলে।
পাদটীকা
- Deb, Chitra, pp 64-65.
- "The Tagores and Society"। Rabindra Baharati University। ২০১২-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৪।
- "https://ia801600.us.archive.org/BookReader/BookReaderImages.php?zip=/5/items/in.ernet.dli.2015.339410/2015.339410.Rabindrajibani-O_jp2.zip&file=2015.339410.Rabindrajibani-O_jp2/2015.339410.Rabindrajibani-O_0041.jp2&scale=13.50599520383693&rotate=0"
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
- ব্রাহ্ম সমাজ
- জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি