গেদে রেলওয়ে স্টেশন

গেদে, ১৮৬২ সালে নির্মিত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এর একটি সীমান্তবর্তী রেলওয়ে স্টেশন, যেটি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের সিডি ব্লকে অবস্থিত। এটি হল একটি রেল ট্রানজিট পয়েন্ট এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি সীমান্তবর্তী চেকপয়েন্ট। এটি কলকাতা শহরতলি রেলওয়ের শিয়ালদহ-গেদে লাইনের অন্তিম স্টেশন।

গেদে
ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানগেদে, নদীয়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
 India
স্থানাঙ্ক
লাইন (সমূহ)Lalgola and Gede Branch Lines
নির্মাণ
গঠনের ধরণআদর্শ (স্থল স্টেশন)
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোডGEDE
জোন(সমূহ) Eastern Railway
বিভাগ(সমূহ) Sealdah
ইতিহাস
চালু১৮৬২
বৈদ্যুতীকরণ১৯৯৭-৯৮
আগের নামEastern Bengal Railway
পরিসেবাসমূহ
পূর্ববর্তী স্টেশন   Indian Railway   পরবর্তী স্টেশন
Harishnagar
Eastern Railway zone
Lalgola and Gede branch lines
শেষ স্টেশন
অবস্থান
Gede railway station
Location of Gede railway station in West Bengal

ইতিহাস

১৮৭১ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের কলকাতা-গোয়ালন্দ ঘাট রেলপথ খোলা হলে গেদে স্টেশনটির গুরুত্ব বর্ধিত হয়। [1] বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেস এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায়।[2] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য বঙ্গ প্রদেশের রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাকে বিভক্ত করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব বাংলার পাকিস্তানের প্রদেশের (পরে ১৯৫৬ সালে যার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান হয়) মধ্যে। অবিভক্ত ভারতের ওপর ব্রিটিশ শাসনের সময় নিয়মিত রাতব্যাপী ট্রেন চলাচল করত কলকাতা, গোয়ালন্দ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে। ইস্ট বেঙ্গল মেল, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস এবং বরিশাল এক্সপ্রেস—এই তিনটি ট্রেন, ১৯৬৫ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে নিজেদের পরিষেবা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ-না ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চারিদিকে ছড়িয়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন লিঙ্ক এর অবসান ঘটায়| ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ফল স্বরূপ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয় জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসাবে। উপরে উল্লিখিত ট্রেন গুলোর মধ্যে প্রথম দুটো ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এর মতন একই রুট বরাবর, গেদে এবং দর্শনা হয়ে চলাচল করত এবং বরিশাল এক্সপ্রেস, বনগাঁযশোর এর মাধ্যমে চলাচল করত। [3] বিরাল-রাধিকাপুর মালবাহী পণ্য যাতায়াতের আরেকটি শাখা ছিল। রানাঘাট - গেদে লাইনের বৈদ্যুতিকরণ ঘটে ১৯৯৯-২০০০ সাল নাগাদ। এর পর এই লাইনে লোকাল বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো শুরু হয়[4]। ২০০২ সালের হিসাবে, গেদে-দর্শনা লাইন দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় রেলওয়ের মাধ্যমে বিপুল পণ্য রপ্তানি ঘটে।[5]

যাত্রী পরিষেবা

সীমিত মালবাহী সেবা কয়েক বছরের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করে, কিন্তু যাত্রী পরিষেবা শুধুমাত্র ২০০৮ সালে পুনর্জাগরিত হয়, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা ভ্রমণের পর। ২০০৭ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখ প্রথম ট্রেন (মৈত্রী এক্সপ্রেস) ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বহন করে, একটি পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে কোলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পহেলা বৈশাখের দিন থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক এই ট্রেন সাভিস চালু করা হয়।[6] মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে এটি "রেল-গেদে দ্বারা" (ভারতীয় ভিসার জন্য) বা "রেল-দর্শনা দ্বারা" (বাংলাদেশী ভিসার জন্য) হিসাবে এন্ট্রি পোর্ট উল্লেখ করার জন্য অপরিহার্য।[7]

তথ্যসূত্র

  1. R.P.Saxena। "Indian Railway History timeline"। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০
  2. "Dhaka-Calcutta train link resumes"BBC News। বিবিসি। ১৪ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৭
  3. "Train links Dhaka, Kolkata"New Age , 16 April 2008। ২০০৮-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫
  4. "Ranaghat railway station"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৬
  5. Santanu, Santanu। "Poor facilities railroad Petrapole-Benapole traffic"The Hindu Business Line, 3 June 2002। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫
  6. http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7345724.stm
  7. "International Trains from India"। railwaysheadlinesindia। ২০০৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫

টেমপ্লেট:Kolkata Suburban Railway stations

টেমপ্লেট:Railway lines in Eastern India

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.