বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন

বুড়িমারী হল রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সীমান্ত রেলস্টেশন। এটি একটি স্থল সীমানা পারাপার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একটি বিলুপ্ত রেলপথ গমন কেন্দ্র। ভারতীয় পক্ষের অনুরূপ কেন্দ্রটি আছে কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধায়।[1]বুড়িমারী – লালমনিরহাট – পার্বতীপুর লাইন উত্তর বাংলাদেশের বুড়িমারী এবং পার্বতীপুর জংশন কে সংযুক্ত করে একটি রেলপথ। এটি কুড়িগ্রাম এবং রমনা বাজারের সাথেও সংযুক্ত রয়েছে। এই যাত্রাপথটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাধীন।

বুড়িমারী
বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন
বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানলালমনিরহাট, রংপুর
 বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৬°২৩′৪৮″ উত্তর ৮৮°৫৬′০৪″ পূর্ব
লাইন (সমূহ)বুড়িমারী-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইন
নির্মাণ
গঠনের ধরণপ্রমাণ (ভূস্থিত স্টেশনে)
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
ইতিহাস
চালু১৯০০?
আগের নামবেঙ্গল ডুয়ার্স রেলপথ
অবস্থান

ইতিহাস

লালমনিরহাট-মালবাজার মিটার গেজ লাইনটি উনিশ শতকের শেষের দিকে বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে তৈরি করে দিয়েছিল।[2] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং ভারত বিভাগের পরে লাইনটির ভারতীয় দিকে চ্যাংড়াবান্ধায় এসে বন্ধ হয়ে যায় এবং ওপারে, তখন পাকিস্তানী দিকে, লাইনটি বুড়িমারীতে সমাপ্ত হয়ে যায়। এখন স্টেশনটি বাংলাদেশের অন্তর্গত।[3]

বিলুপ্ত রেলপথ গমন কেন্দ্র

বুড়িমারী - চ্যাংড়াবান্ধা রেলপথ গমন কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। লাইনের ভারতীয় দিকটি এখন ব্রডগেজ করা হয়েছে এবং নিউ মাল জংশন থেকে চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে চালু রয়েছে। চ্যাংড়াবান্ধা থেকে নতুন কোচবিহার সংযোগের জন্য নতুন লাইন তৈরি করা হয়েছে।[4]

বুড়িমারী-লালমনিরহাট লাইনের বাংলাদেশী দিকটির রেল লাইনের অবস্থা খারাপ এবং ঘন ঘন লাইনচ্যুত হয়ে যেত। দিনে দুটি লোকাল ট্রেন সীমাবদ্ধ গতিবেগে প্রতি ঘণ্টায় ৮–১৪ কিমি বেগে চলত (সাধারণ ভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে চলে)।

তবে ২০১২ সালে, মিটারগেজ লাইনের এই দিকটি লালমনিরহাট পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হয়েছে। এখন প্রতিদিন ৮ টি ট্রেন চলছে এবং বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এখন গতির সীমা ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এই বিভাগের মোট নয়টি স্টেশন পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। [5][6] বাংলাদেশ এখন এই যাত্রাপথটি পুনরুদ্ধার করতে পুরো বিভাগকে সিঙ্গল লাইন (একক লাইন) থেকে ডবল লাইন (দ্বিমুখী লাইন) করেছে। এর জন্য ধরলা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।[7]

বর্তমান অবস্থা

নিউ মাল জংশন এবং চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে লাইনটি এখন (২০১৬) ব্রডগেজে (প্রায় ১.৬৭৬ মিটার) রূপান্তরিত হয়েছে। ২০ শে জানুয়ারী ২০১৬ সাল থেকে, নিউ মাল জংশন হয়ে, শিলিগুড়ি থেকে চ্যাংড়াবান্ধা এই যাত্রাপথে একজোড়া ডিএমইউ চালু করা হয়েছে।[8]

করতোয়া এক্সপ্রেসটি প্রতিদিন বুড়িমারী থেকে সান্তাহার জংশন [গাইবান্ধা-বগুড়া হয়ে) এবং লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে চলে। বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট-রংপুর-পার্বতীপুরের মধ্যে প্রতিদিন ১ টি লোকাল এবং ২ টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে।  [9][10][11]

তথ্যসূত্র
  1. "Introducing Burimari"। lonely planet। ২০১১-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  2. "Bengal Dooars Railway"। Fibis। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০।
  3. "Geography - International"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  4. Mohan Bhuyan। "International Links from India"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  5. "Lalmonirhat-burimari Route −45 trains derail in 5 months – Lack of sleepers, stone makes the run-down track risky."। The Daily Star, 7 February 2009। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  6. "For better railway between Lalmonirhat and Burimari"। The Financial Express, 10 August 2009। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  7. "Tk 14,531 crore BR projects to double capacity"। Priyo Internet Life। ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  8. "Train running on the newly converted New Mal Junction-Changrabandha to start"। North East Frontier Railway। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬।
  9. "Lalmonirhat-burimari Route -45 trains derail in 5 months - Lack of sleepers, stone makes the run-down track risky"। The Daily Star, 7 February 2009। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০।
  10. "Tk 14,531 crore BR projects to double capacity"। Priyo Internet Life। ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১১।
  11. "Inter-city trains from Lalmonirhat"। Bangladesh Railway। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৯।


টেমপ্লেট:Rangpur-geo-stub

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.