ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে
ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইংরেজি: Eastern Bengal Railway, সংক্ষেপে EBR) ব্রিটিশ ভারতের প্রথমভাগের একটা রেল কোম্পানী ছিল ও এটি ১৮৫৭র থেকে ১৯৪২ অবধি বঙ্গ ও অসমে রেলসেবা প্রদান করত।
শিল্প | রেলসেবা |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৫৭ |
বিলুপ্তিকাল | ১৯৪২ |
সদরদপ্তর | কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত |
বাণিজ্য অঞ্চল | বঙ্গ and অসম |
পরিষেবাসমূহ | রেল পরিবহন |
ইতিহাস
প্রশাসনিক, সামরিক ও বৃটিশ বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বৃটিশরা ভারতে রেলসেবা প্রচলন করেছিল। ১৮৫৭ সালে লন্ডনে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানী গঠন করা হয়। প্রায় একই সময়ে অন্য দুটি কোম্পানী- ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ও গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার কোম্পানী ইস্ট ইণ্ডিয়ার সাথে ক্রমে হাওড়া থেকে রাণীগঞ্জ অবধি ও মুম্বাইয়ের থেকে কল্যাণী অবধি পরীক্ষামূলক রেলপথ বানানোর চুক্তিপত্র করেছিল।[1]
১৮৫৮র ৩০ জুলাইতে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সাথে কলকাতার হুগলী নদীর পূর্বপার থেকে (বর্তমানে শিয়ালদহ স্টেশন) রাণাঘাট, দর্শনা, পোড়াদহ হয়ে পদ্মার উপনদী গড়াই নদীর পারে অবস্থিত কুষ্টিয়া অবধি (বর্তমান বাংলাদেশএ) একটি রেলপথ বানাতে চুক্তিবদ্ধ হয়। প্রস্তাবিত রেলপথটির দৈর্ঘ্য ছিল ১১০ মাইল ও সম্ভাব্য খরচ প্রায় ১ মিলিয়ন পাউণ্ড স্টার্লিং বলে নির্দ্ধারণ করা হয়েছিল।[1] কলকাতা থেকে চম্পাহাটি অবধি প্রথম অংশ রেলপথ ১৮৬২র জানুয়ারীতে সমাপ্ত হয়।[2] ১৮৬২র নভেম্বর মাসে রেলপথটি উন্মুক্ত করা হয়। ১৮৬৪তে আধা কিঃমিঃর একটি ছোট শাখা রেলপথ কুষ্টিয়ার থেকে গরাই নদীর বন্দর অবধি নির্মাণ করা হয়। ১৮৬৫তে কুষ্টিয়ার থেকে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের সংগমস্থলে অবস্থিত গোয়ালন্দ ঘাট অবধি রেলপথ সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৮৭০র ৩১ ডিসেম্বরে ভাইসরয় লর্ড মেয়ো এই রেলপথের উদ্বাধন করেন। ১৯০২তে এটিকে অসমএর ধুবুরীঅবধি সম্প্রসারণ করা হয়।[1]
১৮৭৪র থেকে ১৮৭৯র ভিতর "নর্থ বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে" পদ্মা নদীর উত্তরপারে অবস্থিত চারাঘাটের থেকে সান্তাহার, পার্বতীপুর হয়ে চিলাহাটী অবধি একটি ২৫০ কিঃমিঃ দীর্ঘ মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ করে ও ১৮৮১তে এটিকে শিলিগুড়ি অবধি সম্প্রসারণ করা হয়।[3] পার্বতীপুর থেকে দুটি শাখাপথ নির্মাণ করা হয় - একটি পূর্বে কওনিয়া অবধি ও অন্যটি পশ্চিমে দিনাজপুর অবধি। একসময় কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া অবধি নির্মাণ করা ব্রজগেজ রেলপথটি পোরাদাহ স্টেশন থেকে পদ্মার দক্ষিণপারের দামুকদিয়া ঘাট অবধি সম্প্রসারণ করা হয় । দামুকদিয়া ঘাট ও চারাঘাটের মাঝে যাত্রীসাধারণের পদ্মানদী পার হওয়ার জন্য রেলবিভাগ নিজ ফেরীর ব্যবস্থা করেছিল।
তথ্যসূত্র
- "Eastern Bengal Railway"। বাংলাপিডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)।
- "History of EBR"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ 13 মে' 2014। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Complex history of the junctions at Siliguri"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৪।
টেমপ্লেট:পূর্ব ভারতে রেল লাইন