নীলসাগর এক্সপ্রেস
নীলসাগর এক্সপ্রেস হল বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি প্রথমে নীলফামারী থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে চলাচল করত, পরে চিলাহাটি ও কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৫২৬ কিলোমিটার (৩২৭ মাইল) |
যাত্রার গড় সময় | ০৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭৬৫ / ৭৬৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন, |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ১২ |
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ mm (5 ft 6 in) |
পরিচালন গতি | ১০০ কিমি/ঘন্টা |
ইতিহাস
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০০৭ সালে ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে নীলফামারী রুটে চালু করেন তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার।[1] ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে চালুর করার কথা থাকলেও নীলফামারী-চিলাহাটি পুরাতন রেল পরিকাঠামোর কারণে নীলফামারী থেকে যাত্রা শুরু করে। যার ফলে উত্তরাঞ্চলের মানুষ মানব-বন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করে।[2] পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১০ সালে সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটিতে একটি ওয়াশপিটসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেললাইনের উন্নয়ন করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে চলাচল শুরু করে।[1]
রুট ও বিরতিস্থান
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা
- বিমানবন্দর স্টেশন
- জয়দেবপুর
- টাঙ্গাইল
- যমুনা সেতু পূর্ব
- যমুনা সেতু পশ্চিম
- মুলাডুলি
- নাটোর
- আহসানগঞ্জ
- সান্তাহার
- আক্কেলপুর
- জয়পুরহাট
- বিরামপুর
- ফুলবাড়ী
- পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন
- নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন
- ডোমার রেলওয়ে স্টেশন
- চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন
তথ্যসূত্র
- "নীলসাগর এখন চলবে চিলাহাটি থেকে"। প্রথম আলো।
- "নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন"। মানবকণ্ঠ।
বহিঃসংযোগ
- বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট