টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া লাইন

টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া লাইন হচ্ছে একটি রেলপথ যা টঙ্গী এবং আখাউড়াকে, বাংলাদেশের ভৈরব বাজারের সাথে যুক্ত করেছে। গৌড়ীপুরের মধ্যদিয়ে ভৈরব বাজার থেকে ময়মনসিংহ একটি শাখা লাইন রয়েছে। এই রেলপথটি বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনস্থ একটি রেলপথ।

টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া লাইন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থাসক্রিয়
সেবাগ্রহণকারী অঞ্চলবাংলাদেশ
বিরতিস্থলটঙ্গী
আখাউড়া
বিরতিস্থলসমূহ১৯
ক্রিয়াকলাপ
উদ্বোধনের তারিখ১৯১০–১৪
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
প্রযুক্তিগত
ট্র্যাক গেজ১,০০০ mm (3 ft 3 38 in) metre gauge
চালন গতি?

ইতিহাস

চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে একটি রেলপথ সংযোগের জন্য আসামের চা উৎপাদনকারীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৯১ সালে বঙ্গের পূর্বাঞ্চলে একটি রেলওয়ে ট্রাক নির্মাণ শুরু করে। চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মা)-এর একটি পথ ১৮৯৫ সালে চালু করা হয়। কুমিল্লা–আখাউড়া-কুলাউড়া-বদরপুর অংশ ১৮৯৬-৯৮-এ চালু করা হয় এবং ১৯০৩ সালে লামডিং পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরের রেল ব্যবস্থার সাথে পূর্ব প্রান্তকে সংযোগ করার জন্য, ১৯১০ এবং ১৯১৪ সালের মধ্যে টঙ্গী-আখাউড়া লাইন নির্মাণ করা হয়। যাইহোক, ঐসময়ে মেঘনা নদীর উপর কোন সেতু ছিলনা।[1][2][3]

ভৈরব রেলওয়ে সেতু

মেঘনা রেলওয়ে সেতু

মেঘনা নদীর উপরে অবস্থিত সেতুটি, ভৈরব রেলওয়ে সেতু নামে সমধিক পরিচিত, ১৯৩৭ সালে উদ্বোধন করা হয়, যা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের পথকে সুগম করে।[1]

২০১১-এর নভেম্বরে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় দুটি বেসরকারি কোম্পানির সাথে সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন, বিশদ ডিজাইন এবং মেঘনা নদীর উপরে দ্বিতীয় রেল সেতু ও তিতাস নদীর উপরে দ্বিতীয় রেল সেতু নির্মাণের টেন্ডার পত্র প্রস্তুতকরণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।[4]

১.২-কিলোমিটার দীর্ঘ (০.৭৫ মা) বাংলাদেশ–যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ২০০২ সালে সম্পন্ন হয়, যা ভৈরব বাজার এবং আশুগঞ্জের মধ্যদিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে সংযোগ করেছে।[5]

তথ্যসূত্র

  1. ফিদা, কাজী আবুল (২০১২)। "রেলওয়ে"ইসলাম, সিরাজুল; জামাল, আহমেদ এ.। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (দ্বিতীয় সংস্করণ)। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
  2. "Report on the administration of North East India (1921–22)"পৃ- ৪৬। গুগল বই/ মিত্তাল পাবলিশার্স ডিস্ট্রিবিউশন। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬
  3. সিংহ, এস.এন.; নারাইন, অমরেন্দ্র; কুমার, পূর্ণেন্দু (২০০৬)। Socio Economic and Political Problems of Tea Garden Workers: A Study of Assam। নয়া দিল্লী: মিত্তাল পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৫। আইএসবিএন 81-8324-098-4।
  4. "Deal on 2nd Bhairab, Titas rail bridges construction signed"। Pakistan Defence। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬
  5. "Bhairab Bridge, Bangladesh"। Halcrow। ৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.