আখাউড়া-কুলাউড়া-ছাতক লাইন
আখাউড়া-কুলাউড়া-ছাতক লাইন হচ্ছে একটি রেলপথ যা আখাউড়া এবং ছাতককে, বাংলাদেশের কুলাউড়ার সাথে যুক্ত করেছে। এই রেলপথটি বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনস্থ একটি রেলপথ।
আখাউড়া-কুলাউড়া-ছাতক লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অবস্থা | সক্রিয় |
সেবাগ্রহণকারী অঞ্চল | বাংলাদেশ |
বিরতিস্থল | আখাউড়া ছাতক |
বিরতিস্থলসমূহ | ৩৮ |
ক্রিয়াকলাপ | |
উদ্বোধনের তারিখ | আখাউড়া-কুলাউড়া: ১৮৯৬–৯৮, কুলাউড়া–সিলেট: ১৯১২–১৫, সিলেট–ছাতক ১৯৫৪ |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
প্রযুক্তিগত | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ mm (3 ft 3 3⁄8 in) metre gauge |
চালন গতি | ? |
আখাউড়া-কুলাউড়া-ছাতক লাইন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সূত্র: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র |
ইতিহাস
চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে একটি রেলপথ সংযোগের জন্য আসামের চা উৎপাদনকারীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৯১ সালে বঙ্গের পূর্বাঞ্চলে একটি রেলওয়ে ট্রাক নির্মাণ শুরু করে। চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মা)-এর একটি পথ ১৮৯৫ সালে চালু করা হয়। কুমিল্লা–আখাউড়া-কুলাউড়া-বদরপুর অংশ ১৮৯৬-৯৮-এ চালু করা হয় এবং ১৯০৩ সালে লামডিং পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়।[1][2][3]
কুলাউড়া-সিলেট অংশটি ১৯১২-১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়, শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ শাখা লাইন ১৯২৮সালে, শায়েস্তাগঞ্জ-বল্লা শাখা লাইন ১৯২৮ সালে এবং সিলেট-ছাতক বাজার লাইন ১৯৫৪ সালে প্রবর্তন করা হয়।[4]
বাংলাদেশের শাহবাজপুর এবং ভারতের মহিসাসনের মধ্যে একটি মিটারগেজ রেলসেবা বিদ্যমান রয়েছে।[5]
রেলব্যবস্থা
ঢাকা এবং সিলেটের মধ্যে সরাসরি কিছু রেল সেবা রয়েছে, যেমন- পারাবত, জয়ন্তিকা এবং উপবন। এই পথে ওয়ান-ওয়ে ভ্রমণে সাত ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে।[6] সিলেট থেকে চট্টগ্রামেও এই পথে ট্রেন চলাচল করে।[7]
সিলেটের নতুন রেলওয়ে স্টেশন ২০০৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। এ.কে. রফিক উদ্দিন আহমেদ, এই প্রকল্পের প্রধান স্থপতি হিসেবে প্রকৌশল এবং প্ল্যানিং কনসাল্টেন্ট লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব করেন।[8]
কাছাকাছি স্থান
মাধবকুণ্ড দক্ষিণবাগ রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে, যা রিক্সায় চড়ে যাওয়া যায়। সিলেট এবং শ্রীমঙ্গল থেকেও এখানে যাওয়া যায়।[7]
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের তামাবিল-ডাউকি স্থল সীমান্ত-ক্রসিং সিলেট থেক ৫৫ কিলোমিটার উত্তরদিকে অবস্থিত।[7]
তথ্যসূত্র
- ফিদা, কাজী আবুল (২০১২)। "রেলওয়ে"। ইসলাম, সিরাজুল; জামাল, আহমেদ এ.। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (দ্বিতীয় সংস্করণ)। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।
- "Report on the administration of North East India (1921–22)"। পৃ- ৪৬। গুগোল বই/ মিত্তাল পাবলিশার্স ডিস্ট্রিবিউশন। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- এস.এন.সিংহ, অমরেন্দ্র নারায়ণ, পূর্ণেন্দু কুমার। "Socio Economic and Political Problems of Tea Garden Workers: A Study of Assam, Published 2006, ISBN 81-8324-098-4"। পৃ- ১০৫। মিত্তাল পাবলিকেশন্স, নয়া দিল্লী। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- "সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"। বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- "ভূগোল– আন্তর্জাতিক"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- "নাজিমগড় রিসোর্ট"। ২০ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- স্টুয়ার্ট বাটলার। "বাংলাদেশ"। পৃ- ১৫০। লোনলি প্ল্যানেট/ গুগোল বই। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।
- "New Sylhet Railway Station will provide modern amenities"। নিউজ ফ্রম বাংলাদেশ, ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৬।