খগেন্দ্রনাথ দাস
খগেন্দ্রনাথ দাস (১৮৯২ - ১৯২৭) একজন বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।
খগেন্দ্রনাথ দাস | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯২ |
মৃত্যু | ১৯২৭ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
বিপ্লবী কর্মকান্ড
খগেন্দ্রনাথ দাসের জন্ম চারগাছ, ত্রিপুরায়। পিতার নাম রমেশচন্দ্র দাস। ঢাকার বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষ স্থাপিত 'মুক্তিসংঘে'র সদস্য ছিলেন। মুক্তিসংঘের কলকাতা শাখার ভার ছিল বিপ্লবী শ্রীশ পালের ওপর। খগেন্দ্রনাথ তাকে সাহায্যের জন্যে আরো কয়েকজন বিপ্লবীর সাথে কলকাতায় আসেন। আত্মোন্নতি সমিতি ও মুক্তি সংঘ এই দুই গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। ১৯২২ সালে জগদ্দল এলাকার আলেকজান্ডার জুট মিলের অত্যাচারী ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট ও'ব্রায়েন শ্রমিক হত্যা করেছিল। মুক্তি সংঘের বিপ্লবীরা প্রতিশোধার্থে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। এই কার্যোদ্ধার করতে খগেন্দ্রনাথ দাস তিনমাস ওই জুট মিলে শ্রমিকের ছদ্মবেশে কাজ করতে থাকেন যদিও এই পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায় এবং তিনি ও হরিদাস দত্ত পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে দেড় বছর কারাবাস হয়। তিনি বিপ্লবী দল বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[1]
রডা অস্ত্রলুন্ঠন
খগেন্দ্রনাথ দাসের অন্যতম কৃতিত্ব প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রডা কোম্পানির মাউজার পিস্তল ও গুলি লুঠ। এই কাজের হোতা শ্রীশচন্দ্র মিত্র ওরফে হাবু মিত্রের সাথে তিনি, হরিদাস দত্ত এবং শ্রীশ পাল সক্রিয় ভূমিকা নেন। দিনের বেলা দুঃসাহসিক উপায়ে গরুর গাড়ির গাড়োয়ান সেজে তারা অস্ত্র লুঠ করে আনেন বিপ্লবীদের গোপন আস্তানায়। এই অস্ত্র পরে নানা ভাবে সশস্ত্র বিপ্লবীদের হাতে ছড়িয়ে পড়েছিল।[2] এই দুঃসাহসিক ডাকাতির কথা পুলিশ জানতে পারে কিন্তু তার বিরুদ্ধে সেরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলায় জড়াতে না পারলেও বিনাবিচারে নানা জায়গায় আটক ও অন্তরীন করে রাখা হয় তাকে[1]।
তথ্যসূত্র
- প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১২২, ১২৩।
- এই সময়, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "তাঁর জাতীয়তাবাদকে শুধু নথিপত্র দিয়ে ধরা কঠিন"। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);