অনুরূপা দেবী
অনুরূপা দেবী (৯ সেপ্টেম্বর ১৮৮২- ১৯ এপ্রিল ১৯৫৮) একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক।
অনুরূপা দেবী | |
---|---|
জন্ম | ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৮২ |
মৃত্যু | ১৯ এপ্রিল ১৯৫৮ |
পরিচিতির কারণ | বাঙালি ঔপন্যাসিক |
পুরস্কার | কুন্তলীন পুরস্কার, জগৎ্তারিণী স্বর্ণপদক,ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক |
জন্ম ও পরিবার
অনুরূপা দেবীর পিতার নাম মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায় এবং পিতামহ ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ভূদেব মুখোপাধ্যায়। তার দিদি ইন্দিরা দেবী ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং কবি। তিনি তার আইন ব্যবসায়ী স্বামী শিখরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মজঃফরপুরে বসবাস করতেন।[1]
সাহিত্যচর্চা
অনুরূপা দেবী তার পিতামহ ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও দিদি ইন্দিরা দেবীর অণুপ্রেরণায় সাহিত্য চর্চা আরম্ভ করেন। তার প্রথম কবিতা ঋজুপাঠ অবলম্বনে রচিত। রাণী দেবী ছদ্মনামে তার রচিত প্রথম গল্প কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রকাশিত হয়। ১৩১১ বঙ্গাব্দে তার রচিত প্রথম উপন্যাস টিলকুঠি নবনূর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৩১৯ বঙ্গাব্দে তার উপন্যাস পোষ্যপুত্র ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিনি বিখ্যাত হন।[1]
সমাজ সংস্কারক
অনুরূপা দেবী একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি কাশী এবং কলকাতায় কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি একাধিক নারীকল্যাণ আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মহিলা সমবায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। নারীর অধিকার আন্দোলনের তিনি একজন পুরোধা ছিলেন।[1]
রচনা
তার রচিত উপন্যাস মন্ত্রশক্তি, মা, মহানিশা, পথের সাথী, বাগদত্তা নাটকে রূপান্তরিত হয়েছিল। তিনি ৩৩টি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। জীবনের স্মৃতিলেখা তার অসমাপ্ত রচনা।[1]
উপন্যাস
|
|
অন্যান্য
- সাহিত্যে নারী,
- স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি,
- বিচারপতি,
- জীবনের স্মৃতিলেখা
সম্মাননা
- প্রথম প্রকাশিত গল্পের জন্য কুন্তলীন পুরস্কার[2] লাভ।
- শ্রীভারতধর্ম মহামন্ডল থেকে 'ধর্মচন্দ্রিকা' উপাধি লাভ (১৯১৯)।
- শ্রীশ্রীবিশ্বমানব মহামন্ডল থেকে 'ভারতী' উপাধি লাভ (১৯২৩)।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক 'জগৎ্তারিণী স্বর্ণপদক' লাভ (১৯৩৫)।
- 'ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক' লাভ (১৯৪১)।
- 'লীলা লেকচারার' পদে অধিষ্ঠিত (১৯৪৪)
মৃত্যু
তিনি ১৯ এপ্রিল, ১৯৫৮ সালে মারা যান।
তথ্যসূত্র
- সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সাহিত্য সংসদ আইএসবিএন ৮১-৮৫৬২৬-৬৫-০
- সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৮।