জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়।[1]
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | |
---|---|
![]() | |
![]() ২০০৯ সালে উন্মোচিত লোগো | |
পুরষ্কারের কারণ | চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য |
স্পন্সর | বাংলাদেশ সরকার |
অবস্থান | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুরস্কারদাতা | তথ্য মন্ত্রণালয় |
প্রথম পুরস্কৃত | ৪ এপ্রিল ১৯৭৬ |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
পুরস্কারটি প্রথম ১৯৭৫ সালে প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে, "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার" একটি বড় ইভেন্ট যা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি, নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।
১৯৮১ সালে কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি কারণ জুরি বোর্ড কোন চলচ্চিত্রকে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি। এছাড়া ২০০৮ সালে সরকার একসাথে ৪ বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করে (২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭)।
পুরস্কার হিসেবে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
পুরস্কারসমূহ
- আজীবন সম্মাননা (২০০৯ সাল থেকে প্রদান শুরু)
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র
- শ্রেষ্ঠ পরিচালক
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী
- শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী
- শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনয়শিল্পী
- শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী
- শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক
- শ্রেষ্ঠ সুরকার
- শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী
- শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী
- শ্রেষ্ঠ গীতিকার
- শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার
- শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার
- শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা
- শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক
- শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক
- শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক
- শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক
- শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক
- শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকার
- শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা
- শ্রেষ্ঠ বিশেষ দৃশ্য
বছর অনুযায়ী
- ১৯৭৫ (১ম)
- ১৯৭৬ (২য়)
- ১৯৭৭ (৩য়)
- ১৯৭৮ (৪র্থ)
- ১৯৭৯ (৫ম)
- ১৯৮০ (৬ষ্ঠ)
- ১৯৮২ (৭ম)
- ১৯৮৩ (৮ম)
- ১৯৮৪ (৯ম)
- ১৯৮৫ (১০ম)
- ১৯৮৬ (১১তম)
- ১৯৮৭ (১২তম)
- ১৯৮৮ (১৩তম)
- ১৯৮৯ (১৪তম)
- ১৯৯০ (১৫তম)
- ১৯৯১ (১৬তম)
- ১৯৯২ (১৭তম)
- ১৯৯৩ (১৮তম)
- ১৯৯৪ (১৯তম)
- ১৯৯৫ (২০তম)
- ১৯৯৬ (২১তম)
- ১৯৯৭ (২২তম)
- ১৯৯৮ (২৩তম)
- ১৯৯৯ (২৪তম)
- ২০০০ (২৫তম)
- ২০০১ (২৬তম)
- ২০০২ (২৭তম)
- ২০০৩ (২৮তম)
- ২০০৪ (২৯তম)
- ২০০৫ (৩০তম)
- ২০০৬ (৩১তম)
- ২০০৭ (৩২তম)
- ২০০৮ (৩৩তম)
- ২০০৯ (৩৪তম)
- ২০১০ (৩৫তম)
- ২০১১ (৩৬তম)
- ২০১২ (৩৭তম)
- ২০১৩ (৩৮তম)
- ২০১৪ (৩৯তম)
- ২০১৫ (৪০তম)
- ২০১৬ (৪১তম)
- ২০১৭ (৪২তম)
- ২০১৮ (৪৩তম)
পুরস্কার প্রত্যাখান
"জননী" ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য শাবানাকে নির্বাচন করা হলেও তিনি সে পুরস্কার গ্রহণ করেননি। ১৯৮২ সালে 'বড়ো ভালো লোক ছিল' ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেলেও তা গ্রহণ করেননি সৈয়দ শামসুল হক। সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েও তা নেননি। 'নতুন বউ' ছবিতে অভিনয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯০ সালে গোলাম মুস্তফাকে 'ছুটির ফাঁদে' ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য পুরস্কার দেওয়া হলেও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।[2]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- আজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান
- যারা চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে 'কমলা রকেট' চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে মনোনীত হন মোশাররফ করিম কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/289263.html