ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (পূর্ব নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) ওয়েস্ট ইন্ডিজ অঞ্চলের পেশাদার ও শৌখিন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা পরিষদ। এক ডজনেরও অধিক ইংরেজি ভাষা-ভাষী ক্যারিবিয় দেশ ও নির্ভরশীল এলাকাসমূহ নিয়ে গঠিত ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত। ১৯২০-এর দশকের শুরুতে এ সংস্থাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নামে গঠিত হয় যা এখনও মাঝে-মধ্যে পরিচিতি পেয়ে আসছে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুদা এলাকার সেন্ট জন্সে এ সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত।

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ক্রীড়াক্রিকেট
কার্যক্ষেত্রজাতীয়
সংক্ষেপেডব্লিউআইসিবি
প্রতিষ্ঠাকাল১৯২০-এর দশক (1920-এর দশক)
অধিভুক্তআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
অধিভুক্তের তারিখ৩১ মে ১৯২৬ (1926-05-31)
সদর দফতরসেন্ট জন্স
সভাপতি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা

ক্যারল হুইলবি-ম্যাক্সওয়েল
চেয়ারম্যানহোয়াইক্লিফ (ডেভ) ক্যামেরন
মুখ্য নির্বাহীমাইকেল মুইরহেড
সচিব

ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা

মাইকেল সিপারসড
প্রশিক্ষকফিল সিমন্স
স্থলাভিষিক্তওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড
(প্রতিষ্ঠা)১৯২৬ (1926)
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
www.windiescricket.com

ইতিহাস

১৮৮০-এর দশক থেকে আন্তঃ-উপনিবেশ প্রতিযোগিতা ও খেলা আয়োজনের জন্য কোন কেন্দ্রীয় পরিচালনা সংস্থা না থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট একাদশ ইংল্যান্ড, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। কিন্তু ঐ অঞ্চলে একই ধরনের সংস্থা থাকায় অনানুষ্ঠানিকভাবে বড় ক্লাব দলগুলোর সাথে সংঘাতে পরিণত হয়।[1] এ প্রেক্ষিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারগণ একটি সংস্থা গঠনের উপযোগিতা উপলদ্ধি করেন। কিন্তু ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য থাকায় তা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের অন্যতম সদস্য ও পরবর্তীকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার আর. এইচ. মল্যাট এ সমস্যা দূরীকরণে এগিয়ে আসেন। তিনি অনেকগুলো অঞ্চলে প্রতিনিধিত্ব করে সংস্থাগুলোকে একত্রিত করার প্রয়াস চালিয়ে সফলকাম হন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নামের সংস্থাটি গঠন করেন। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত খসড়া সভাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কনফারেন্স নামে ১৯২৬ সালে পরিচিতি পায়।

১৯২৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[2] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ক্রিকেট দলের অন্যান্য দেশের বিপক্ষে টেস্ট সফর ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা পরিচালনায় এ সংস্থা মূখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ক্রিকেটে আঞ্চলিক চার দিনের প্রতিযোগিতা এবং ঘরোয়া একদিনের (লিস্ট এ) প্রতিযোগিতা ডব্লিউআইসিবি কাপ আয়োজন করে সংস্থাটি। স্যার অ্যালেন স্ট্যানফোর্ডের সম্মানার্থে টুয়েন্টি২০ পদ্ধতির ক্রিকেটে ঘরোয়া স্ট্যানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায়ও সম্পৃক্ততা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের।

সদস্য সংস্থা

  • বার্বাডোস ক্রিকেট সংস্থা (বিসিএ)
  • গায়ানা ক্রিকেট বোর্ড (জিসিবি)
  • জ্যামাইকা ক্রিকেট সংস্থা (জেসিএ)
  • ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট বোর্ড (টিটিসিবি)
  • লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট সংস্থা (এলআইসিএ); নিয়ন্ত্রিত সংস্থা:
    • অ্যাঙ্গুইলা ক্রিকেট সংস্থা
    • অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুদা ক্রিকেট সংস্থা
    • ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস ক্রিকেট সংস্থা
    • মন্তেসেরাত ক্রিকেট সংস্থা
    • নেভিস ক্রিকেট সংস্থা (নেভিস দ্বীপপুঞ্জ থেকে একমাত্র)
    • সেন্ট কিটস ক্রিকেট সংস্থা (সেন্ট কিটস দ্বীপপুঞ্জ থেকে একমাত্র)
    • সেন্ট মার্টেন ক্রিকেট সংস্থা
    • ইউনাইটেড স্টেটস ভার্জিন আইল্যান্ডস ক্রিকেট সংস্থা
  • উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (ডব্লিউআইসিবিসি); নিয়ন্ত্রিত সংস্থা:
    • ডমিনিকা ক্রিকেট সংস্থা
    • গ্রেনাডা ক্রিকেট সংস্থা
    • সেন্ট লুসিয়া ক্রিকেট সংস্থা
    • সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস ক্রিকেট সংস্থা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তাগণ

ডব্লিউআইসিবি সভাপতি (পুরুষ)

  • স্যার হ্যারল্ড অস্টিন
  • লরেন্স টি ইয়ারউড (লরি ইয়ারউড)
  • ফ্রেদেরিক জি. গ্র্যান্ট (ফ্রেড গ্র্যান্ট)
  • রবার্ট কার্ল নানেস: ১৯৪৫-১৯৫২
  • স্যার এরল দো সান্তোস
  • জন সেন্ট ফেলিক্স ড্যায়ার: ১৯৬০-১৯৬৬
  • টম পিয়ার্স
  • রবার্ট সেসিল মার্লে
  • জেফ স্টলমেয়ার: ১৯৭৪-১৯৮১
  • অ্যালান রে: ১৯৮১-১৯৮৮
  • স্যার ক্লাইড ওয়ালকট: ১৯৮৮-১৯৯৩
  • ক্যাপ্টেন পিটার শর্ট: ১৯৯৩-১৯৯৬
  • প্যাট্রিক (প্যাট) রুসো: ১৯৯৬-২০০১
  • রেভারেন্ড ওয়েসলি (ওয়েস) হল: ২০০১-২০০৩
  • টেডি গ্রিফিথ: ২০০৩-২০০৫
  • কেনেথ (কেন) গর্ডন: ২০০৫-২০০৭
  • জুলিয়ান হান্ট: ২০০৭-২০১৩
  • হোয়াইক্লিফ (ডেভ) ক্যামেরন: ২০১৩-বর্তমান

ডব্লিউআইডব্লিউসিবি সভাপতি (মহিলা)

  • ক্যারল হুইলবি-ম্যাক্সওয়েল

মাঠ

২৮,০০০ দর্শকশন বিশিষ্ট কেনসিংটন ওভাল এর সর্ববৃহৎ মাঠ।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জী

  • Michael Manley, A History of West Indies Cricket, 1988 (revised edition by Donna Symmonds, London, Andre Deutsch, 2002 ( আইএসবিএন ০২৩৩০৫০৩৭X ) )
  • Hilary Beckles et al., A spirit of dominance: cricket and nationalism in the West Indies, Canoe Press, 1998 ( আইএসবিএন ৯৭৬৮১২৫৩৭৩ )

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.