জেরোমি টেলর
জেরোমি এভারটন টেলর (ইংরেজি: Jerome Taylor; জন্ম: ২২ জুন, ১৯৮৪) জামাইকার সেন্ট এলিজাবেথের প্যারিশে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে ডোয়েন ব্র্যাভো, ড্যারেন পাওয়েল ও ইয়ান ব্রাডশ’র সাথে ফাস্ট বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেরোমি টেলর। ঐ প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সুপার এইট পর্বে উত্তীর্ণ হলেও তার দল সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেরোমি এভারটন টেলর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট এলিজাবেথ, জামাইকা | ২২ জুন ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২০ জুন ২০০৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ১১ জুন ২০০৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২১ মার্চ ২০১৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩-বর্তমান | জামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-বর্তমান | চিটাগং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | স্টানফোর্ড সুপারস্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
খেলোয়াড়ী জীবন
জামাইকার পক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নেবার পর ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে ডাক পান। ২০০৩ সালে ‘ক্যারিব বিয়ার সিরিজে’ সবচেয়ে উদীয়মান ফাস্ট বোলার হিসেবে মনোনীত হন। ঐ সিরিজে ২০.১৪ রান গড়ে ২১ উইকেট পান। তন্মধ্যে সেরা অর্জন ছিল ৫৯ রানে ৮ উইকেট দখল করা। টেলর প্রথমবারের মতো খেলায় দশ উইকেট পান।
২০০৬ সালে টেলর নিজেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের দলে প্রতিষ্ঠিত করেন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ডিএলএফ কাপে শীর্ষস্থানীয় উইকেট-লাভকারীর মর্যাদা পান।
নভেম্বর, ২০০৬ সালে মুলতানে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে ৫ উইকেট পান। ২০০৭ মৌসুমের শেষদিকে বহিরাগত খেলোয়াড়ের পরিবর্তে লিচেস্টারশায়ার দলে যোগ দেন। কাউন্টি ক্রিকেটে থাকাকালীন সময়ে সমূদয় ব্যয়ভার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যবসায়িক অংশীদার ডিজিসেল বহন করে।
২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্ত ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পান। ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডস, ড্যারেন পাওয়েলের সাথে অল-রাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভোকে নিয়ে দলের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে তিনি নির্ভরযোগ্যতা ও পেসের গতি নিয়ে টেলর টেস্ট ও ওডিআইয়ে মিতব্যয়ী ও সেরা বোলিং গড়ের অধিকারী।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য নির্বাচিত হন। প্রাথমিক পর্বে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে চার উইকেট লাভ করেন। গ্রুপ পর্বে দলের উদ্বোধনী খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ মর্যাদার অধিকারী হন টেলর।[1] জয়ের জন্য ১৪ বলে ২১ রানের লক্ষ্য নিয়ে থাকা তৎকালীন বিশ্বের সেরা ওডিআই ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মাইকেল হাসিকে ১৩ রানে বোল্ড করেন। পরের বলে ব্রেট লি’কে এলবিডব্লিউ করে ওভার শেষ করেন।[2] চূড়ান্ত ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড হগকে বোল্ড করে হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। শুরুতে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিংকে বোল্ড করেন। খেলায় তিনি ৪৯ রানে চার উইকেট নিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিকে তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।
আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডে আবেদন জানানোর পর জুলাই, ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।[3] ২০১৬ সালের শুরুতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরফলে ভারত সফর থেকে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
আন্তর্জাতিক রেকর্ড
টেস্টে পাঁচ-উইকেট প্রাপ্তি
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৫০ | ৭ | ![]() | সাবিনা পার্ক | কিংস্টন | জামাইকা | ২০০৬ |
২ | ৫/৯১ | ৯ | ![]() | মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম | মুলতান | পাকিস্তান | ২০০৬ |
৩ | ৫/১১ | ২৩ | ![]() | সাবিনা পার্ক | কিংস্টন | জামাইকা | ২০০৯ |
৪ | ৬/৪৭ | ৪১ | ![]() | সাবিনা পার্ক | কিংস্টন | জামাইকা | ২০১৫ |
ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট প্রাপ্তি
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৪৮ | ৩৯ | ![]() | কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব | বুলাওয়ে | জিম্বাবুয়ে | ২০০৭ |
আন্তর্জাতিক পুরস্কারসমূহ
টেস্ট ক্রিকেট
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার
- ছকে কট. বলতে ক্যাচ ও স্ট্যাম্প বলতে স্ট্যাম্পিংকে বুঝানো হয়েছে।
# | সিরিজ | মৌসুম | খেলায় অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
১ | ১ম টেস্ট – নিউজিল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ | 2008/09 | 1st Innings – 23-7-61-1; 106 (107 balls, 17x4, 3x6). 2nd Innings - DNB. | Drawn.[4] |
২ | 1st Test – England in West Indies Test Series | 2008/09 | 1st Innings – 20-4-74-3; 8 (28 balls, 1x4). 2nd Innings - 9-4-11-5; DNB. | ![]() |
একদিনের আন্তর্জাতিক
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার
# | সিরিজ | মৌসুম | খেলায় অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
১ | Sri Lanka in West Indies | 2003 | 4 runs, 11 wickets. (5 Matches) | ![]() |
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার
ক্রমিক নং | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | খেলায় অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | Zimbabwe | Antigua Recreation Ground, Antigua | 29 April 2006 | 10-2-19-2; DNB | ![]() |
২ | Zimbabwe | Antigua Recreation Ground, Antigua | 30 April 2006 | 6 (4 balls, 1x4) ; 10-3-24-4 | ![]() |
৩ | Sri Lanka | Harare Sports Club, Harare | 4 December 2007 | 9.5-1-18-3; DNB | ![]() |
৪ | Pakistan | Queens Sports Club, Bulawayo | 7 December 2007 | 10-0-48-5; DNB | ![]() |
টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার
# | সিরিজ | তারিখ | প্রতিপক্ষ | খেলায় অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | West Indies in South Africa | 16 December 2007 | South Africa | 3-1-6-3 ; DNB | ![]() |
তথ্যসূত্র
- Rajesh, S (১৮ অক্টোবর ২০০৬)। "Taylor hat-trick sinks Australia"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০০৬।
- LG ICC Rankings, Cricketratings.net, 18 October 2006
- "Jerome Taylor quits Test cricket"। Cricbuzz। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১২।
- "West Indies tour of New Zealand, 2008/09 – Scorecard of 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- "England tour of West Indies, 2008/09 – Scorecard of 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- "West Indies tour of Zimbabwe and South Africa, 2007/08"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৫।
- "Zimbabwe tour of West Indies, 2006 – Scorecard of 1st match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- "Zimbabwe tour of West Indies, 2006 – Scorecard of 2nd match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- "West Indies tour of Zimbabwe and South Africa, 2007/08 – Scorecard of 3rd match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- "West Indies tour of Zimbabwe and South Africa, 2007/08 – Scorecard of 4th match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/319112.html