জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়ে (ইংরেজি ভাষায়; Republic of Zimbabwe) আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। দেশটি এর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত ১৪শ শতকে পাথরে নির্মিত মহান জিম্বাবুয়ে শহরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত এবং বন্য জীবজন্তুর জন্য দেশটি বিখ্যাত। জিম্বাবুয়ের জনগণকে দুইটি প্রধান জাতিগত ও ভাষাগত দলে ভাগ করা যায় --- ন্‌দেবেলে ও শোনা ভাষা। ন্‌দেবেলেরা প্রধানত দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বাস করে। জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে। শহরটি একটি বাণিজ্যিক খামারপ্রধান জেলার কেন্দ্রে অবস্থিত।

জিম্বাবোয়ে প্রজাতন্ত্র
জিম্বাবুয়ে
পতাকা জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "Unity, Freedom, Work"
"একতা, স্বাধীনতা, কাজ"[1]
জাতীয় সঙ্গীত: Simudzai Mureza wedu WeZimbabwe[2]  (শোনা)
Kalibusiswe Ilizwe leZimbabwe  (ন্ডেবেলে)
"Blessed be the land of Zimbabwe"

জিম্বাবোয়ের ভূমির আশীর্বাদ হক
জিম্বাবুয়ের অবস্থান
রাজধানী
এবং বৃহত্তম নগরী
হারারে
১৭°৫০′ দক্ষিণ ৩১°৩′ পূর্ব
সরকারি ভাষা ইংরেজি
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা (সমূহ) শোনা, ন্ডেবেলে
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ জিম্বাবুয়ান[3]
সরকার রাষ্ট্রপতি শাসন
   রাষ্ট্রপতি এমারাসন নানগাওয়া
   উপরাষ্ট্রপতি খালি
স্বাধীনতা যুক্তরাজ্য থেকে
   প্রতিষ্ঠিত ১৯০১ 
   ঘোষিত ১১ই নভেম্বর ১৯৬৫ 
   পরিচিত ১৮ই এপ্রিল ১৯৮০ 
   বর্তমান সংবিধান ১৫ মে ২০১৩ 
   জল/পানি (%)
জনসংখ্যা
   ২০১৬ আনুমানিক ১৬,১৫০,৩৬২ (৭৩ তম)
   ২০১২ আদমশুমারি ১২,৯৭৩,৮০৮[4]
   ঘনত্ব ২৬/কিমি (১৭০ তম)
/বর্গ মাইল
মোট দেশজ উৎপাদন
(ক্রয়ক্ষমতা সমতা)
2017 আনুমানিক
   মোট $৩৩.৮৭২ বিলিয়ন [5]
   মাথা পিছু $২,২৭৬ [5]
মোট দেশজ উৎপাদন (নামমাত্র) ২০১৭ আনুমানিক
   মোট $১৭.১০৫ billion[5]
   মাথা পিছু $১,১৪৯[5]
জিনি সহগ (১৯৯৫)৫৯.১[6]
উচ্চ
মানব উন্নয়ন সূচক (2015) ০.৫১৬[7]
নিম্ন · ১৫৪ তম
মুদ্রা জিম্বাবুয়ান ডলার a (ZWD)
সময় অঞ্চল কেন্দ্রীয় আফ্রিকার সময়
   গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) পর্যবেক্ষণ করা হয়নি (ইউটিসি{{{utc_offset_DST}}})
গাড়ী চালনার দিক left
কলিং কোড +২৬৩
ইন্টারনেট টিএলডি .zw (বর্তমানে সক্রিয় না)
^a No longer in active use after it was officially suspended by the government due to hyperinflation. The United States dollar, South African rand, Botswanan pula, Pound sterling, and Euro are now used instead. The US dollar has been adopted as the official currency for all government transactions with the new power-sharing regime.

জিম্বাবুয়েতে ২০০০ বছর ধরে মানুষের বাস। বর্তমান জিম্বাবুয়ে এলাকাটি অতীতে একাধিক বৃহত্তর আফ্রিকান রাজত্বের কেন্দ্র ছিল, যাদের মধ্যে আছে মহান জিম্বাবুয়ে, মুতাপা ও রোজওয়ি সাম্রাজ্য। ১৮০০-এর দশক থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ দক্ষিণ রোডেশিয়া নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬৫ সালে এখানকার শ্বেতাঙ্গ অধিবাসীরা রোডেশিয়াকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করলেও যুক্তরাজ্য এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৮০ সালে দেশের সংখ্যাগুরু কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ জিম্বাবুয়ে নামে দেশটিকে স্বাধীন করে।

ইতিহাস

রাজনীতি

১৯৬৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত স্বাধীন জিম্বাবুয়ের দাবীতে রোডেশিয়ান বুশ যুদ্ধ বা জিম্বাবুয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়। ১৯৮০ সালে ল্যাংকাস্টার হাউস এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়।

১৯৮০ সালের পর থেকে ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতাসীন রবার্ট মুগাবে। আশির দশকের শুরুতে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হয় আফ্রিকার এ দেশটি। তখন থেকেই ক্ষমতায় আছেন রবার্ট মুগাবে। বেশ কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ ছিলেন তিনি।

৬ নভেম্বর ২০১৭, ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত এবং ক্ষমতাসীন দল জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিওটিক ফ্রন্ট (জেডএএনইউ-পিএফ) থেকে বহিষ্কার করেন মুগাবে। এর ফলে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

ভূগোল

অর্থনীতি

জিম্বাবুয়ে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম প্লাটিনাম উৎপাদক দেশ (দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়ার পর) ।

জনসংখ্যা উপাত্ত

২০০৯ সাল পর্যন্ত লোকসংখ্যা ১২,৫২৩,০০০ জন । জিম্বাবুয়েতে খৃষ্টধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ট ।

সংস্কৃতি

খেলাধুলা

হারারে শহরে অবস্থিত ৬০,০০০ আসনবিশিষ্ট জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রীড়া স্টেডিয়াম দেশের প্রধান স্টেডিয়াম। ফুটবল খেলার জন্য এই স্টেডিয়ামটি ব্যবহৃত হয়। হারারে শহরে হারারে স্পোর্টস ক্লাব এর নিজস্ব ক্রিকেট মাঠ রয়েছে , যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া বুলাওয়ে শহরে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব এর নিজস্ব ক্রিকেট মাঠ আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "Zimbabwe"The Beaver County Times। ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮১। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১১
  2. "The World Factbook – Zimbabwe"। Central Intelligence Agency।
  3. "Developments in English"International Association of University Professors of English Conference। Cambridge University Press। ৩১ অক্টোবর ২০১৪ Google Books-এর মাধ্যমে।
  4. "Census Results in Brief" (PDF)। Zimbabwe National Statistical Agency। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩
  5. "Zimbabwe"। International Monetary Fund।
  6. "GINI Index"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৩
  7. "2016 Human Development Report" (PDF)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭

বহিঃসংযোগ

সরকারি
সাধারণ তথ্য
সংবাদ
পর্যটন, পরিবেশ, এবং সংস্কৃতি
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.