জেমস অ্যান্ডারসন
জেমস মাইকেল "জিমি" অ্যান্ডারসন (ইংরেজি: James Michael "Jimmy" Anderson; জন্ম: ৩০ জুলাই, ১৯৮২) ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ ক্রিকেটার। এ পর্যন্ত তিনি শতাধিক টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ তিনি পেস বোলার হিসেবেই অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। এপ্রিল, ২০১৫ সাল থেকে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চসংখ্যক উইকেট সংগ্রহকারী হিসেবে রয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন।
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্নলে, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ৩০ জুলাই ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জিমি, জিম, জিমজা, সুইংয়ের রাজা, বার্নলি এক্সপ্রেস[1] ডেইজি[2] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬১৩) | ২২ মে ২০০৩ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭২) | ১৫ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৩ মার্চ ২০১৫ বনাম আফগানিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৯ (পূর্বে ৪০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-বর্তমান | ল্যাঙ্কাশায়ার (দল নং ৯) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ | ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট বোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ১৩ এপ্রিল ২০১৫ |
খেলোয়াড়ী জীবন
ঠিক বিশ বছর বয়সে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে তার অভিষেক ঘটে। ২০০২-০৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ইংল্যান্ড দলে অ্যান্ডারসন অন্তর্ভুক্ত হন। একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেকের সময় তিনি পাঁচজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি তার উজ্জ্বল উপস্থিতি তুলে ধরেন। পরের বছরের গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অভিষেক ঘটে তার। সপ্তদশ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই তিনি ইনিংসে পাঁচ উইকেট লাভ করেছিলেন।[3] আগস্ট, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে তিনি ইংল্যান্ডের সোনার ছেলে হিসেবে আবির্ভূত হন।[4] ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড পিছিয়ে থেকেও ২-২ ব্যবধানে ড্র করে। অ্যান্ডারসন পাঁচ টেস্টের সিরিজে ৩৯.৮৬ গড়ে ১৫ উইকেট লাভ করেছিলেন।[5] এরপর জুনে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওভালে হ্যাট্রিক করেন। প্রথম ইংরেজ হিসেবে তার শিকার ছিলেন আব্দুল রাজ্জাক, শোয়েব আখতার এবং মোহাম্মদ সামি।[6]
পিঠের আঘাতজনিত কারণে ২০০৬ সালের অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে নিয়মিত হন। একদিনের আন্তর্জাতিকে নিয়মিত বোলার হিসেবেও দলে রয়েছেন তিনি।
১৩ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এন্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে ত্রয়োদশ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।[7] দ্বিতীয় ইনিংসে দীনেশ রামদিনকে আউট করে তিনি ইয়ান বোথামের গড়া ৩৮৩ উইকেটের রেকর্ড অতিক্রম করেন। এরফলে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[8] এ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।
কীর্তিগাঁথা
মে, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ইংরেজ বোলার হিসেবে ১ম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের পিটার ফুলটনকে আউট করে জেমস অ্যান্ডারসন তিনশত উইকেট লাভ করেন।[9] বর্তমানে তিনি আইসিসি কর্তৃক প্রণীত টেস্ট বোলার র্যাঙ্কিং প্রথায় ৭ম স্থানে অবস্থান করছেন।[10]
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অনুষ্ঠিত ১ম একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড দল হেরে গেলেও বিজে ওয়াটলিংয়ের উইকেট লাভ করে বিরল কীর্তিগাঁথা গড়েন। এরফলে তিনি ইয়ান বোথামকে পাশ কাটিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[11]
মে, ২০১৬ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনবদ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। লিডসের মাঠে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।[12] খেলায় তার সংগৃহীত ১০/৪৫ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে-কোন ইংরেজ বোলারের মধ্যে সর্বোত্তম।[13] ২য় টেস্টে নিজস্ব ৪৫০তম টেস্ট উইকেট পান।[14]
তথ্যসূত্র
- Simon Hughes (9 June 2008)। "James Anderson's search for perfection"। London: Telegraph.co.uk Online। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 27 June 2008. - Rob Smyth (9 October 2009)। "Cricinfo James Anderson"। ESPN Cricinfo। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 1 August 2010. - "1st Test: England v Zimbabwe at Lord's, May 22-24, 2003"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- Freddie Auld (6 August 2003)। "Don't panic!"। Cricinfo.com। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 28 May 2008. - "Statsguru – JM Anderson – ODI Batting – Career summary"। Cricinfo.com। Retrieved on 28 May 2008.
- Andrew Miller (20 June 2003)। "Anderson and Trescothick batter Pakistan to defeat"। Cricinfo.com। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) Retrieved on 4 September 2008. - "England, Alastair Cook and Jonathan Trott face stern West Indies test"। The Guardian। ১২ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫।
- "James Anderson breaks Sir Ian Botham's England wicket record"। BBC Sport (British Broadcasting Corporation)। ১৭ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৫।
- "James Anderson takes 300th Test wicket for England"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৭ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩।
- রিলায়েন্স র্যাঙ্কিং.কম, সংগ্রহ: ৩ মার্চ, ২০১৩ খ্রিঃ
- "James Anderson 'honoured' to overhaul Sir Ian Botham's England record"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৮।
- Jayaraman, Shiva (২০ মে ২০১৬)। "Anderson passes Kapil; Bairstow's Leeds form"। ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৬।
- Jayaraman, Shiva (২১ মে ২০১৬)। "First since Trueman; an average of 4.5"। ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৬।
- Seervi, Bharath (৩০ মে ২০১৬)। "Cook's 10k, Anderson's 450, Sri Lanka's four defeats in a row"। ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৬।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে জেমস অ্যান্ডারসন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জেমস অ্যান্ডারসন
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জেমস অ্যান্ডারসন
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)