গারো ভাষা
গারো ভাষা বা মান্দি ভাষা একটি চীনা-তিব্বতি ভাষা। এটি ভারতের মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের গারো পাহাড় এলাকার অধিবাসীদের প্রধান ভাষা। এটি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও প্রচলিত। মেঘালয়ের প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্যে অসমে প্রচলিত বোড়ো ভাষা-র সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। গারো ভাষা লাতিন লিপিতে লেখা হয়।
Garo | |
---|---|
A·chik (আ·চিক) | |
দেশোদ্ভব | ভারত and বাংলাদেশ |
অঞ্চল | Meghalaya, Assam, বাংলাদেশ |
জাতিতত্ত্ব | Garo |
মাতৃভাষী | 1.0 million (2001–2005)[1]
|
চীনা-তিব্বতি
| |
উপভাষাসমূহ |
|
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | Meghalaya (India) |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | grt |
গ্লোটোলগ | garo1247 [2] |
উপভাষা
গোত্র ভেদে গারোদের মধ্যে আলাদা আলাদা উপভাষার প্রচলন রয়েছে। আচিক উপভাষাটি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা এবং ভারতের মেঘালয় অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত গারোদের মাতৃভাষা। তাদের নিজস্ব ভাষায় 'আচিক' শব্দের অর্থ পাহাড়। অন্যান্য উপভাষার মধ্যে আছে আবেং, আওয়ে, চিসাক, দাক্কা, গাঞ্চিং, কামরূপ, মাতচি। বাংলাদেশে আবেং উপভাষাটিও প্রচলিত; এই উপভাষার সাথে কোচ ভাষার মিল আছে। বাংলাদেশের গারোরা আবেং উপভাষাতে কথা বললেও আচিক উপভাষাতে লিখে থাকে। আওয়ে উপভাষাটি অসমে প্রচলিত, তবে এখন বিলুপ্তির পথে; সেখানকার গারোরা মান্য গারো ভাষাই ব্যবহার করেন।