রোহিঙ্গা ভাষা

রোহিঙ্গা ভাষা (/ˈrɪnə/, /ˈrhɪnə/, /ˈrɪŋjə/, or /ˈrhɪŋjə/),[3] বা রোয়াইঙ্গা বার্মার (মায়ানমার) আরাকান রাজ্যের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথ্য ভাষা।[4][5] বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষার সাথে এই ভাষার সাদৃশ্য বিদ্যমান।

রোহিঙ্গা
رُاَࣺينڠَ Ruáingga
দেশোদ্ভববার্মা, বাংলাদেশ
অঞ্চলবার্মার আরাকান, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম
মাতৃভাষী
1.8 million (2012)[1]
ইন্দো-ইউরোপীয়
আরবি লিপি, হানিফি লিপি
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-৩rhg
গ্লোটোলগrohi1238[2]

লিপি

আরবি লিপি,[6] উর্দু বর্ণমালা, হানিফি, বর্মী বর্ণমালা এবং লাতিন লিপি ব্যবহার করে নতুন প্রচলিত রোহিঙ্গালিশ সহ বিভিন্ন ভাবে রোহিঙ্গা ভাষা লেখা হয়।

আরবী লিপি

আরবী লিপিতে লিখিত রোহিঙ্গা ভাষার প্রচলন দুইশত বছরের অধিক প্রাচীন। আরাকান রাজ্য ব্রিটিশ শাসনাধীনে থাকার সময়ে (১৮২৬-১৯৪৮) রোহিঙ্গা জনগণ লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজী এবং উর্দু ব্যবহার করতো। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীনতা লাভ করার পরে সকল দাপ্তরিক কাজে বর্মী ভাষা ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৬০ এর দিকে রোহিঙ্গা শিক্ষাবিদগণ তাদের ভাষার সাথে মানানসই লিখন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে শুরু করেন।

১৯৭৫ সালে আরবি অক্ষর ব্যবহার করে লিখন পদ্ধতি চালু করা হয়। আরবী অক্ষর ব্যবহারে কিছু ঘাটতি দেখা দেওয়ার অনেকে উর্দু লিপি ব্যবহার শুরু করেন। কোনটাই আশানুরূপ ফল বয়ে আনতে সমর্থ হয় নাই। অধিকাংশ রোহিঙ্গা জনগণ লিখিত রূপ পড়তে উভয় পদ্ধতিতে বিরূপ পরিস্থিতির স্বীকার হলো।

বর্তমানকালে আরবি অক্ষরের উপর ভিত্তি করে রোহিঙ্গা ইউনিকোড তৈরী করার প্রচেষ্টা চলছে। [7]

হানিফি লিপি

মৌলানা হানিফ এবং তার সহকর্মীগণ আরবী বর্ণমালার সঙ্গে অল্প কিছু রোমান এবং বর্মী অক্ষর যুক্ত করে নতুন ধরনের এক লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ইসলামী শিক্ষাবিদগণ এই পদ্ধতি গ্রহণ করেন। কিন্তু অক্ষরগুলো কাছাকাছি হওয়ার মনে রাখার জন্য স্মৃতিশক্তি এবং লেখার ক্ষেত্রে অধিক সচেতনতা প্রয়োজন হওয়ার এই পদ্ধতি সমালোচার শিকার হয়। সমালোচনা সত্ত্বেও বর্তমানে হানিফি লিপিই লেখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইউনিকোডে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চলছে।[8]

রোমান লিপি

ই.এম. সিদ্দিক শুধুমাত্র লাতিন অক্ষর ব্যবহার করে ভিন্ন পদ্ধতির লিখন পদ্ধতি প্রচলনের উদ্যোগ নেন। এই লিখন পদ্ধতিটি রোহিঙ্গালিশ নামে পরিচিত। এতে ২৬ টি রোমান হরফ ব্যবহার করা হয়েছে।

চিত্রঃ রোহিঙ্গা অক্ষর ছক
A aB bC cÇ çD dE eF f
G gH hI iJ jK kL lM m
N nÑ ñO oP pQ qR rS s
T tU uV vW wX xY yZ z

তথ্য সূত্র

  1. এথ্‌নোলগে রোহিঙ্গা (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
  2. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Rohingya"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
  3. টেমপ্লেট:OED
  4. What is Rohingyalish or Rohingya Language?, RohingyaLanguage.com, ২০১২-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১১
  5. Rohingya Language, WorldLanguage.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১১
  6. Mohammed Siddique Basu। Starting with Rohingyalish
  7. Priest, Lorna A.; Hosken, Martin; SIL International (২০১০-০৮-১২)। "Proposal to add Arabic script characters for African and Asian languages" (PDF)। পৃষ্ঠা 13–18, 34–37।
  8. Pandey, Anshuman (২০১২-০৬-২০)। "Preliminary Proposal to Encode the Rohingya Script" (PDF)

আরো দেখুন

বহিঃসংযোগ

রোহিঙ্গা ভাষা সম্পর্কে আরো পড়তে আগ্রহী হলে নিচের লিংকসমূহ অনুসরণ করুনঃ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.