ককবরক ভাষা

ককবরক ভাষা (তিপ্রাকক বা ত্রিপুরি ভাষা নামেও পরিচিত) ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে বসবাসরত ত্রিপুরি জাতির লোকদের মাতৃভাষা। ককবরক শব্দটি দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত। কক অর্থ "ভাষা" আর বরক অর্থ "মানুষ", বিশেষিত অর্থে ত্রিপুরি জাতির মানুষ; অর্থাৎ ককবরক কথাটির অর্থ ত্রিপুরি মানুষের ভাষা।

ককবরক
দেশোদ্ভবভারত এবং বাংলাদেশ
অঞ্চলত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, বাংলাদেশ
জাতিতত্ত্বত্রিপুরি
মাতৃভাষী
696,000 (1997)
চীনা-তিব্বতি
পূর্ব নাগরী বর্ণমালা
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা
 ভারত (ত্রিপুরা)
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-৩trp

ইতিহাস

ককবরক ভাষাটি বিভিন্ন রূপে ১ম শতাব্দী থেকেই এই অঞ্চলে প্রচলিত। ঐ শতকে ত্রিপুরার রাজাদের ইতিহাস লিখিত আকারে প্রথম সংরক্ষণ করা শুরু হয়। যে লিপিতে ককবরক ভাষাটি লেখা হত, তার নাম কোলোমা লিপি। ত্রিপুরার রাজাদের কাহিনী রাজরত্নকর নামের গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হয়। বইটি আদিতে দুর্লবেন্দ্র চোনতাই কোলোমা লিপি ব্যবহার করে ককবরক ভাষাতে রচনা করেছিলেন।

পরবর্তীতে শুক্রেশ্বরবাণেশ্বর নামের দুই ব্রাহ্মণ গ্রন্থটিকে প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় ও পরে ১৪শ শতকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। ককবরক ভাষায় লেখা আদিগ্রন্থটির আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ১৪শ শতক থেকে ২০শ শতক পর্যন্ত ককবরক ভাষাকে স্থানীয় মানুষের মুখের ভাষায় পর্যবসিত করা হয় এবং বাংলা ভাষাকে ত্রিপুরার রাজদরবারের ভাষা বানানো হয়।

১৯৭৯ সালে ককবরক ভাষাকে ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এটিকে ভারতের একটি জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

http://www.ethnologue.com/show_language.asp?code=trp

https://web.archive.org/web/20070809221818/http://kohm.twipra.com/

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.